সর্বশেষ

2/recent/ticker-posts

কুরানে ব্ল্যাকহোল: আল্লাহ এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন কোন ধরণের অসঙ্গতি বা ফাঁটল ব্যতিত(Quran 67:3)! তিনি কি ব্ল্যাক হোলের(Black Hole) ব্যাপারে কিছু জানতেন না?

#Camlúsian-53
#MSRM-16
#Qn: কুরানে ব্ল্যাকহোল: আল্লাহ এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন কোন ধরণের অসঙ্গতি বা ফাঁটল ব্যতিত(Quran 67:3)! তিনি কি ব্ল্যাক হোলের(Black Hole) ব্যাপারে কিছু জানতেন না?
.
#Ans:পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ
الَّذِیۡ خَلَقَ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ؕ مَا تَرٰی فِیۡ خَلۡقِ الرَّحۡمٰنِ مِنۡ تَفٰوُتٍ ؕ فَارۡجِعِ الۡبَصَرَ ۙ ہَلۡ تَرٰی مِنۡ فُطُوۡرٍ ﴿۳﴾
তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি?
[And] who created seven heavens in layers. You do not see in the creation of the Most Merciful any inconsistency. So return [your] vision [to the sky]; do you see any breaks?
-Sura Al-Mulk, Ayah 3
কোন কোন অনুবাদক فُطُورٍ শব্দকে ‘ফাঁটল’ অনুবাদ করেছেন।আবার কেউ কেউ ‘ত্রুটি’, ‘অসামঞ্জস্যতা’ অনুবাদ করেছেন।
.
##️⃣ব্ল্যাকহোল এর পরিচিতি#️⃣#️⃣
ব্ল্যাক হোল কি ত্রুটি, বা ফাঁটলজাতীয় কিছু? মোটেও না।
.
১৯৬৯ সালে আমেরিকান বিজ্ঞানী জন হুইলার(John Wheeler) সর্বপ্রথম Black Hole(কৃষ্ণবিবর) কথাটি ব্যবহার করেন। এ জিনিসটি সম্পর্কে এরও পূর্বে, ১৮৮৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন মিচেল(John Mitchell) ধারণা প্রদান করেন। তিনি বলেন, একটি নক্ষত্র বা তারকায়(Star) যদি যথেষ্ট ভর ও ঘনত্ব থাকে, তাহলে তার মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র এত শক্তিশালী হবে যে, আলো সেখান থেকে নির্গত হতে পারবে না।সেই তারকার পৃষ্ঠ থেকে নির্গত আলো বেশি দূর যাওয়ার আগেই তারকাটির প্রবল মহাকর্ষীয় আকর্ষণ তাকে পেছনে টেনে নিয়ে আসবে।এরকম বহুসংখ্যক তারকা রয়েছে বলে মিচেল ধারণা করেছিলেন।ঐ সব তারকা থেকে আলো আসতে পারে না বলে আমরা এদের দেখতে পাই না।তবে এদের মহাকর্ষ আকর্ষণ আমাদের বোধগম্য হয়। এই সমস্ত বস্তুপিণ্ডকে বলা হয় ব্ল্যাক হোল।
.
কাজেই আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ব্ল্যাক হোল হচ্ছে নক্ষত্র বা তারকার একটি অবস্থা বা পর্যায় যে পর্যায়ে এ থেকে আলো নির্গত হতে পারে না।
কুরআনে বলা হচ্ছে:
الَّذِیۡ خَلَقَ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ؕ مَا تَرٰی فِیۡ خَلۡقِ الرَّحۡمٰنِ مِنۡ تَفٰوُتٍ ؕ فَارۡجِعِ الۡبَصَرَ ۙ ہَلۡ تَرٰی مِنۡ فُطُوۡرٍ ﴿۳﴾
তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি?
[And] who created seven heavens in layers. You do not see in the creation of the Most Merciful any inconsistency. So return [your] vision [to the sky]; do you see any breaks?
-Sura Al-Mulk, Ayah 3
প্রসঙ্গসহ পড়লে স্পষ্ট বোঝা যায় যে এখানে নিখুঁতভাবে সৃষ্ট আকাশমণ্ডলীর কথা বলা হচ্ছে এবং এই সৃষ্টিতে যে কোন খুঁত নেই সে কথা বলা হচ্ছে।
ব্ল্যাক হোল কোন ফাঁটল নয়, কিংবা এটি আল্লাহর সৃষ্টির কোন ত্রুটি নয়। বরং এটি আল্লাহর সৃষ্টিকুলেরই একটি উপাদান।
.
‘বিজ্ঞানমনস্ক’(!) হবার দাবিদার যেসব মানুষ এই আয়াত থেকে বৈজ্ঞানিক ভুল খুঁজতে যায়, তারা যে আসলে বিজ্ঞান সম্পর্কে কতটা অজ্ঞ, তাদের দাবি থেকেই সেটা পরিষ্কার বোঝা যায়।