সর্বশেষ

2/recent/ticker-posts

কসম কত প্রকার ও তার কাফফারা কী?

  • কসম কত প্রকার ও তার কাফফারা কী?
  • -----------------------------
  • উত্তরঃ JE Hachib
  • আসসালামু আলাইকুম।
  • প্রথমত,
  • → কসম কয়েক প্রকার হতে পারে।
  • 👉যে ব্যাক্তি এমনভাবে জেনে বুঝে কসম করলো যে," ভবিষ্যতে সে কোন একটি কাজ করবে, কিন্তু দেখা গেল যে, সে কাজটি করলো না, এ প্রকারের কসমকেই [ এয়ামিনে মুন 'আকেদা] বলে। এ প্রকারের কসম করলে কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব বা ফরজ। এ কসম সম্পর্কে মহান আল্লাহ বিস্তারিত ভাবে বলেনঃ

  • "আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করবেন না তোমাদের অনর্থক কসমের জন্য,( অর্থাৎ যে সব কসম মানুষের কথার সাথে এমনিতেই বের হয়ে পড়ে, এসব কসমকে আল্লাহ অনর্থক কসম বলেছেন) কিন্তু পাকড়াও করবেন ঐ কসমের জন্য যা তোমরা দৃঢ়তার সাথে সংকল্প করে থাকো। অতএব এর কাফফারা এই যে দশজন মিসকিনকে খাদ্য খাওয়াবে, মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা তোমাদের পরিবারকে দিয়ে থাকো। অথবা, তাদেরকে কাপড় প্রদান করবে,অথবা একজন কৃতদাস মুক্ত করে দিবে। যে ব্যাক্তি সামর্থ্য রাখে না সে তিনদিন সাওম(রোজা) পালন করবে। এটাই তোমাদের কাফফারা। ( সূরা মায়েদা ৮৯ এবং সূরা বাকারা ২২৫ নং আয়াত)

  • দ্বিতীয়ত,
  • →[এয়ামিনে গুমুস]
  • বলা হয় ঐ ব্যাক্তির কসমকে যে ব্যাক্তি অতীতে কোন কাজ করেছে, অথচ পরে জেনে বুঝে মিথ্যা কসম করে বলে যে, আমি করিনি, এরুপ কসম করা মহা পাপ তথা কবিরা গোনাহ। এসব কসমের কোন কাফফারা নেই। একমাত্র খালেস নিয়তে খাটি তওবা ব্যাতিত।
  • তৃতীয়ত,
  • → [এয়ামিনে লগভ]
  • বলা হয় এমন কসমকে, যা দৃঢ় সংকল্প ছাড়াই এমনিতে মানুষ কথাবার্তা বলার সময় মুখ ফোসকে বেরিয়ে পড়ে। এসব কসমে পাপ হয় না এবং কাফফারা দেওয়া ও ওয়াজিব হয় না।
  • এসম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
  • " তোমাদের অনর্থক কসমের জন্য পাকরাও করা হবে না।(সূরা মায়েদা ৮৯ ও সূরা বাকারা ২২৫)
  • উল্লেখ্য এসব কসম করতে হবে আল্লার নামে, আল্লাহ ব্যাতিত কারো নামে কসম করা শিরক।
  • এসম্পর্কে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) বলেন," যে ব্যাক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করল, সে শিরক করলো"। ( আবু দাউদঃ ৩২৫৩)
  • তবে ((💕কোরআন মাজিদের💕)) কসম করা যাবে কি না সে সম্পর্কে মতবিরোধ থাকলেও সঠিক কথা হলো, কোরআন যেহেতু সৃষ্টি নয়, তথা মহান আল্লাহর বানী, সেহেতু যদি কেউ এভাবে কসম করে যে, আল্লাহর কোরআনের কসম বা আল্লাহর কালামের কসম তাহলে তা শিরক হবে না। কিন্তু যখন কোরআন যখন হাতে করে কসম করবে, তখন এভাবে বলতে হবে যে," এই কিতাবের ভিতরের আল্লাহর বানীর কসম, কারন কিতাবের ভিতরের কালাম বা বানী গুলো শুধুই আল্লাহর, আর কাগজ পাতি নয়।কারন সেগুলো বিভিন্ন ছাপাখানায় থেকে বের হয়। তাই কোরআন হাতে করে কসম করতে হলে নিয়ত করতে হবে শুধু আল্লাহর বানীর।
  • এছাড়া কোন মাখলুকাতের নামে কসম করা যাবে না। যেমনঃ নবী, রাসূল, ফেরেস্তা, কাবা শরীফ,কোন অলী,পীর ফকির, নিজ সন্তান বা কারো মাথায় হাত রেখে,পিতা মাতার, কোন বস্তুর ইত্যাদি কোন কিছুর কসম করা হারাম ও শিরক।উল্লেখ্য বৈধ কসম ও বিনা প্রয়োজনে বেশি বেশি কসম করা মাখরু বা ঠিক নয়। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,
  • " তোমরা তোমাদের কসমের হেফাজত করো"(সূরা মায়েদাঃ৮৯)
  • আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আরো বলেন,
  • "(হে নবী) আপনি প্রত্যেক অধিক হারে কসম কারী লাঞ্চিত ব্যাক্তিদের আনুগত্য করবেন না।(সূরা কলমঃ১০)
  • সংকলনে,
  • ওয়াহিদুল ইসলাম বিন আব্দুস সাকূর সালাফি।
  • সম্পাদনায়,
  • শায়খ আকতারুল আমান বিন আব্দুস সালাম মাদানী।
  • কালেশন,
  • FairIslam(সহিহ ইসলাম)

Post a Comment

0 Comments