সর্বশেষ

2/recent/ticker-posts

আল্লাহ কি নিরাকার? নাকি আকৃতি আছে? সুফিগণ আকিদা রাখে মহান আল্লাহ নিরাকার।

আল্লাহ কি নিরাকার? নাকি আকৃতি আছে?



সুফিদের আকিদার ক্ষেত্রে আর একটি সংশয় হল আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামীন নিরাকার। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বীদাহ হলো, আল্লাহর সিফাতকে তাঁর কোন মাখ্লুকের সাথে সাদৃশ্য না করে তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। কোরআন মাজিদের বিভিন্ন আয়াত ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস ও সলফে সালেহীনগনের বিশ্বাস থেকে ও বুঝা যায় যে, আল্লাহ সুবাহানাহুয়াতালার চেহারা, হাত, পা, চক্ষু, যাত বা সত্তা,
সুরাত বা আকারের আছে। কিন্তু আকরের ধরন যানা নেই কারন পৃথিবীর কিছুই তার সাদৃশ্য নয়। (সুরা শুরা-৪২:১১)।
আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালার আকার আছে তার অন্যতম প্রমান হল তার হাত আছেআল্লাহ তায়ালা বলেন,
قَالَ يَـٰٓإِبۡلِيسُ مَا مَنَعَكَ أَن تَسۡجُدَ لِمَا خَلَقۡتُ بِيَدَىَّ‌ۖ أَسۡتَكۡبَرۡتَ أَمۡ كُنتَ مِنَ ٱلۡعَالِينَ (٧٥قَالَ أَنَا۟ خَيۡرٌ۬ مِّنۡهُ‌ۖ خَلَقۡتَنِى مِن نَّارٍ۬ وَخَلَقۡتَهُ ۥ مِن طِينٍ۬ (٧٦
 অর্থঃ  (প্রতিপালক) বললেন, “ হে ইবলিস! আমি আমার দুহাত দিয়ে যাকে তৈরি করেছি তাকে সিজদা করতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছে? তুমি কি বড়াই করছো, না তুমি কিছু উচ্চ মর্যাদার অধিকারী?”  (সুরা সোয়াদ ৩৮:৭৫)
আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালার হাত আছে প্রমান সরূপ দেখতে পারেন জুমার-৬৭; মায়েদা- ৬৪; ইমরান- ২৬ & ৭২; ফাতহা-১০; মুলত-১। 
আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালার চেয়ারা আছে:: আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামিন বলেনঃ
كُلُّ مَنۡ عَلَيۡہَا فَانٍ۬ (٢٦وَيَبۡقَىٰ وَجۡهُ رَبِّكَ ذُو ٱلۡجَلَـٰلِ وَٱلۡإِكۡرَامِ (٢٧)
অর্থঃ  (কিয়ামতের দিন) ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে ।  (হে রাসুল) আপনার মহিমাময় ও মহানুভব রবের চেহারা অর্থাৎ সত্ত্বাই একমাত্র বাকি থাকবে(আর রহমান-৫৫:২৫,২৬)। 
আল্লাহ্‌তালার চেয়ারা আছে প্রমান সরূপ দেখতে পারেন: সুরা কিয়ামাহ-২২,২৩ কাসাস-৮৮।
আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালার চোখ আছে:: আল্লাহ্‌ তাআলা নবী মূসা (আঃ) কে লক্ষ্য করে বলছেনঃ
 أَنِ ٱقۡذِفِيهِ فِى ٱلتَّابُوتِ فَٱقۡذِفِيهِ فِى ٱلۡيَمِّ فَلۡيُلۡقِهِ ٱلۡيَمُّ بِٱلسَّاحِلِ يَأۡخُذۡهُ عَدُوٌّ۬ لِّى وَعَدُوٌّ۬ لَّهُ ۥ‌ۚ وَأَلۡقَيۡتُ عَلَيۡكَ مَحَبَّةً۬ مِّنِّى وَلِتُصۡنَعَ عَلَىٰ عَيۡنِىٓ (٣٩
 অর্থঃ  আমি নিজের পক্ষ থেকে তোমার প্রতি ভালোবাসা সঞ্চার করেছিলাম এবং এমন ব্যবস্থা করেছিলাম যাতে তুমি আমার  চোখের সামনে প্রতিপালিত হও।" (সূরা ২০:৩৯)।
আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালার চোখ আছে প্রমান সরূপ দেখতে পারেন:  সুরা আত তুর-৪৮, শুরা-১১।
আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালার ‘পা’ আছে:: আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালা বলেনঃ
 يَوۡمَ يُكۡشَفُ عَن سَاقٍ۬ وَيُدۡعَوۡنَ إِلَى ٱلسُّجُودِ فَلَا يَسۡتَطِيعُونَ (٤٢
অর্থঃ  "কিয়ামতের দিনে আল্লাহর হাঁটুর নিম্নাংশ উন্মোচিত করা হবে এবং সাজদা করার জন্য সকলকে আহবান করা হবে, কিন্তু তারা তা করতে সমর্থ হবে নাসুরা কালাম ৬৮:৪২)।
সকল কোরআনের আয়াত ও হাদীস আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামীন যে নিরাকার নন তার অকাট্য প্রমান  বহন করে। আল্লাহ সুবাহানাহুয়াতাআলা কোরআনে তাঁর সিফাত, যাত ও গুনাবলীর বর্ননা করেছেন। তাঁর নিজস্ব সত্তার হাত, পা, মুখ, দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণ শক্তি, তাঁর সন্তুষ্টি ও ক্রোধ ইত্যদি উল্লেখ করেছেন। রাসুল সাল্লাল্লকহু আলাইহি োওয়া সাল্লাম তা বর্ননা করেছেন এবং সাহাবি (রাজি) ও সলফে ছালেহিন যেভাবে বুঝেছেন। তার দ্বারা বুঝা যায় আল্রাহর নির্দিষ্ট আকার আছে। আছে। তিনি নিরাকার হলে এসব কিছু থাকার কথা নয়। মুমিনগণ কিয়ামাতের দিন তাকে দেখতে পাবে। জান্নাতের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নিমাত হবে আল্লাহর দীদার । (কিয়ামাহ ৭৫:২২-২৩)। যা দেখা যায় তার আকার থাকে, কাজেই আল্লাহ আকার আছে। এখন প্রশ্ন হল আল্লাহর যেহেতু আকার আছে তাহলে তার আকার কেমন? এ প্রশ্নের উত্তর স্বয়ং আল্লাহই দিচ্ছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ 
 فَاطِرُ ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَٱلۡأَرۡضِ‌ۚ جَعَلَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٲجً۬ا وَمِنَ ٱلۡأَنۡعَـٰمِ أَزۡوَٲجً۬ا‌ۖ يَذۡرَؤُكُمۡ فِيهِ‌ۚ لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَىۡءٌ۬‌ۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ (١١
আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, যিনি তোমাদের আপন প্রজাতি থেকে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন, অনুরূপ অন্যান্য জীবজন্তুর ও (তাদের নিজ প্রজাতি থেকে ) জোড়া বানিয়েছেন এবং এই নিয়মে তিনি তোমাদের প্রজন্মের বিস্তার ঘটান৷ বিশ্বজাহানের কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়৷ তিনি সব কিছু শোনেন ও দেখেন৷ (সুরা শুয়ারা-৪২:১১
আল্লাহ সম্পর্কে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ বলেন আল্লাহর ইয়াদ (হাত) আছে, ওয়াজহ (মুখমন্ডল) আছে,নফস (সত্তা) আছে কারন কুরআনে আল্লাহ এগুলো উল্লেখ করছেন। কুরআনে আল্লাহ যা কিছু উল্লেখ করেছেন যেমন হাত, মুখমন্ডল, নফস ইত্যাদি সবই তার বিশেষন কোন স্বরূপ বা প্রকৃতি নির্নয় ছাড়া। আবু (হানিফা রচিত আল ফিকহুল আকবারের বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর পৃষ্ঠা – ২২৫)।( https://sites.google.com/site/authenticislaminbangla/suphibada/suphidera-bhranta-akidasamuha-ebam-tara-asaratara-pramana-01)
আল্লাহ’র আকার আছে, না নিরাকার ?
এ প্রশ্নে ২ মতবাদী পাওয়া যায় ১) আল্লাহ’র কোন আকার নেই অর্থাৎ নিরাকার ২) আল্লাহর আকার আছে, তা কেমন/কিরুপ সৃষ্টিকে জানান নাই । অর্থাৎ আকার আছে, কেমন জানি না ।
কোন মতবাদটি কুরআন ও সহীহ হাদিস সম্মত ? এটা বুঝার জন্য কিছু দলিল দেওয়া হল । আপনারা নিজের ক্বলবে/অন্তঃকরনে/বিবেগ দ্বারা গভীরভাবে চিন্তা করে, বুঝে আপনার আক্বীদা/মূল বিশ্বাস কে শুদ্ধ করে নিন । আক্বীদা ঠিক না হলে কোন ইবাদত কবুল হয় না ।
আল্লাহ’র চেহারা/মুখ এর দলিল-(বিস্তারিত দেখেন সুরাঃ বাকারা-১১৫; সুরা আল কাসাস-৮৮; সুরাঃ আর রহমান-২৭)
অনেক আয়াতে আছে আল্লাহ কথা বলেন, ফেরেস্তারাদের, নবী রাসুলদের, এমনকি ইবলিশ শয়তানের সাথেও বলেছেন ।
হাদিস দেখেন বুখারী ইঃফাঃ ৬৯৩৬; বুখারী তাওঃ ৭৪০৬, ৭৪৪৪; আবু দাউদ ইঃফাঃ ৪৯৬৮; নাসাঈ ৪৯১; তিরমিজী ইঃফাঃ ৩৪৫, ২৫৩০, ২৯৫৭-৫৮, ৩৫৭০; মাজাহ ১৯৫-৯৬, ৩৮০১)
আল্লাহর চোখ এর দলিল (দেখান নিসা ৫৮,১০৮, ১৩৪; মায়েদা ৭১; হুদ ৩৭; আনআম ১০৩; ইসরাইল ১; ২৯, ৯৬; কাহাফ ২৬; হজ্জ্ব ৬১, ৭৫; মুমিনুন ২৭; ফুরকান ২০; লুকমান ২৮; আহজাব ৯, ৫৫; মুমিন ২০, ৫৫; শুরা ১১; ফাতাহ ২৪, হুজরাত ১৮; কমার ১৪; হাদিদ ৪, ২৫; মুজদালা ১; মুমতাহানা ৩)
হাদিস বুখারী ইঃফাঃ ২৮৪০, ৩১০১, ৪০৬০, ৫৭৪২, ৬৬৪২, ৬৬৪৬, ৬৯০৩-৪; বুখারী তাওঃ ৪৪০২, ৬১৭৫, ৭১২৭, ৭১৩১, ৭৪০৭-৮; মুসলিম ইঃফাঃ ২৩৬, ৭০৯৫, ৭০৯৭; আবু দাউদ ইঃফাঃ ৪২৬৫, ৪২৬৯, ৪৬৮২; মাজাহ ৪০৭৭, তিরমিজী ইঃফাঃ ২২৩৮, ২২৪৪, ২২৪৮; রিয়াযুস স্ব-লেহিন ২১০, ১৮২৮ ।
আল্লাহ’র শ্রবন সত্ত্বা/ অঙ্গ এর দলিল (দেখেন সূরা বাকারা ১২৪, ১৩৭, ১৮০, ২২৭, ২২৪, ২৫৬; ইমরান ৩৪, ১২১; নিসা ৫৮, ১০৮, ১৩৪, ১৪৮, মায়েদা ৭৬; আনআম ১৩, ১১৫; আরাফ ২০০; আনফাল ১৭, ৪২, ৫৩, ৬১; তওবা ৯৮, ১০৩; ইউনুস ৩৪, ৬৫ ইব্রাহিম ৩৯; ইসরাইল ১; কাহাফ ২৬; আম্বিয়া ৪; হজ্জ্ব ৬১, ৭৫; নূর ২১, ৫৯; শুআরা ২২০; আনকাবুত ৫, ৬০; লুকমান ২৮; সাবা ৫০; মুমিন ২০, ৫৫; হা মিম সেজদা ৩৬; শুরা ১১; দুখান ৬; হুজুরাত ১; মুজাদালা ১)
হাদিস বুখারী ইঃফাঃ ২৭৮৪, ৩৮৯০, ৫৯৪২, ৫৯৬৭, ৬১৫৭, ৬৬৮৩; বুখারী তাওঃ ২৯৯২, ৪২০২, ৬৩৮৪, ৬৪০৯, ৬৬১০, ৭৩৮৬; মুসলিম ইঃফাঃ ৬৬১৬, ৬৬১৮; আবু দাউদ ইঃফাঃ ১৫২৭; তিরমিজী ইঃফাঃ ৩৩৭৪, ৩৪৬১; রিয়াযুস স্ব-লেহিন ৯৮৬)
আহ্ললহ’র হাত এর দলিল (দেখেন সূরা বাকারা ১২০; ইমরান ৭৩; নায়েদা ৬৪; আনআম ৫৯; আরাফ ১৫৮; মুমিনুন ৮৮; নমল ৪৭; লুকমান ২২; সাদ ৭৫; জুমার ৬৭; জুখরুফ ৪০; ফাতাহ ১০; মুলক ১)
হাদিস বুখারী ইঃফাঃ ১৩, ৪৩২৭, ৪৪৪৮-৪৯, ৬০৭৫, ৬৮৪৬, ৬৮৭৮, ৬৯০৭-০৯, ৬৯৫৭, ৭০০৫; বুখারী তাওঃ ১৪, ২১৭০, ৪৮১১-১২, ৬৫১৯, ৭২১৬, ৭৩৪৭, ৭৪১১ ৭৪১৯, ৭৪৬৫; মুসলিম ইঃফাঃ ১৫, ২১৮১, ২২১৪, ৬৭৮৯, ৬৭৯৩-৯৬; আবু দাউদ ইঃফাঃ ৪৬৫৭; মাজাহ ৫, ১৯২, ১৯৭-৯৮, ১৮৪২, ২৯৫৭; তিরমিজী ইঃফাঃ ৩০৪৫, ৩২৪১; আল লুলু ওয়াল মারজান ৮; হাদিসে কুদসি ৭৩-৭৫)
আল্লাহ’র পা- সূরা ক্বলাম এর আয়াত ৪২ নং এর ব্যাখ্যায় হাদিসে এসেছে, ক্বিয়ামতে আল্লাহ পায়ের গোছা বের করে দিবেন । মুমিনরা সেজদা করবে, গুনাহগাররা সেজদা করতে পারবে না ।
হাদিস বুখারী ইঃফাঃ ৪৫৫৪, ৬২০৬, ৬৯৩২; বুখারী তাওঃ ৪৯১৯, ৬৬৬১, ৭৪৩৯; রিয়াযুস স্ব-লেহিন ১৮১৯, আত তিরমিজী ৩২৭২; আল লুলু ওয়াল মারজান ১১৫, হাদিসে কুদসি ৭৯, ৬৮)
***জান্নাতীরা আল্লাহকে দেখতে পাবে । নিরাকার বাদীরা বা জাহান্নামীরা আল্লাহকে কোন আকারেই দেখতে পাবে না ।
হাশরের ময়দানে আল্লাহু তায়ালা স্ব-আকৃতে জান্নাতীদের দেখা দিবে । জান্নাতীরা তাকিয়ে থাকবে প্রতিপালকের দিকে (সূরা কিয়ামা ২৩ দ্রঃ) ।
(যারা নিরাকার বলে তারা বরং) প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতের (দেখার) কথা অবিশ্বাস করে (রুম 8)
হাদিসেও দেখুন আল্লাহ স্ব-আকৃতিতে দেখা দিবে-বুখারী ইঃফাঃ ৭৬৯, ৬৯৩১; বুখারী তাওঃ ৮০৬, ৭৪৩৯; মুসলিম ইঃফাঃ ৩৫১, ৩৪৮; তিরমিজী ইঃফাঃ ২৫৫১; মাজাহ ১৭৯, ৪৩৩৬; আল লুলু ওয়াল মারজান ১১৪; হাদিসে কুদসি ৭১ ।
আলোচনা
আল্লাহর আকার সম্পর্কে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেনঃ আল্লাহর মুখমন্ডল ও দেহ আছে যেমন মহান আল্লাহ কুরআনে বর্ণনা করেছেন ।
কুরআনের বর্ণনায় আল্লাহর চেহারা, হাত, দেহের যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা আল্লাহর দৈহিক বৈশিষ্ট্য । আমরা তাঁর ঐ সকল অঙ্গের বিষোদ বিবরণ অবগত নই ।
কেউ যেন আল্লাহর হাতকে কুদরতী হাত বা তাঁর নেয়ামত না বলে । কেননা তাতে তাঁর সিফাত বা গুণাবলীকে অস্বীকার করা হয় ।
আর যারা কুদরতী হাত বলে তারা কাদরিয়াহ ও মু’আমিলাহ সম্প্রদায়ের লোক (ইমাম আবু হানীফার ফিকাহুল আকবার মোল্লাহ আলী কারী হানাফীর শরাহসহ দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ বৈরুত-৫৮-৫৯ পৃঃ)
মহান আল্লাহর আকার রয়েছে । তাঁর আকার কেমন, তাঁর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেমন, এটা তিনি আমাদেরকে বলে দেননি ।
আমাদের বিশ্বাস তাঁর আকৃতি, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তাঁর শান অনুযায়ী হবে ।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর সৃষ্টিকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে-
কোন কিছুই তাঁর সাদৃশ্য নেই (সুরাঃ আশ-শুরা-১১)***
উপরোক্ত দলিল প্রমানে স্পষ্ট বুঝা গেল ২ নং মতবাদটি কুরআন ও সহীহ হাদিস সম্মত ।
বিঃদ্রঃ কিন্তু বর্তমানে নব্য এক মতবাদীর উদ্ভব হয়েছে, তারা দুই মতবাদের কোনটার পক্ষে নাই বলে নানা ধরনের যুক্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি এড়িয়ে যায় । সাবধান কুরআন ও সহীহ হাদিসে স্পষ্ট বর্ণিত বিষয়কে উপেক্ষা/অস্বীকার/অবজ্ঞা করে নাস্তিক্য মতবাদী হয়েন না ।
হে আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন । আমীন । (কুরআন ও ছহীহ হাদিছের তাবলীগ পেজ থেকে)