আল্লাহ কি সর্বত্রবিরাজমান? নাকি আরশে আছেন?
সুফিবাদিদের আকিদা হল, আল্লাহতায়ালা সর্বত্র বিরাজমান মনে করা।
সুফিবাদে
বিশ্বাসিদের আকিদা হল মহান আল্লাহতায়ালা স্বসত্তায় সর্বত্র সবকিছুতে বিরাজমান। তাদের
এ আকিদা একটি বাতিল আকিদা। এ সম্পর্কে জালতে হলে আল্লাহ
তাআলার মারেফাত বা পরিচয় জানা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
তার মারেফাত বা পরিচয়ের একটা দিক হল তিনি
কোথায় আছেন। কেউ
যদি নিজেস্ব জ্ঞান বুদ্ধি আর কল্পনা দ্বারা মানব সত্বার অবস্থানের মত আল্লাহর অবস্থান কল্পনা করে তবে শির্ক হবে।
কারন বিশ্বজাহান সৃষ্টির আগেও তিনি ছিলেন আর মানুষের কল্পনা বিশ্বজাহানের বাহিরে
যেতে পারেনা। সে
হিসেবে তিনি কোথায় সে বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জন আমাদের জন্য ওয়াজিব। এ ব্যাপারে
অধিকাংশ সাধারন
মুসলিমের ধারনা তিনি সর্বত্র সবকিছুতে বিরাজমান।
তাই আসুন এ বিষয়ে কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীস বক্তব্য জানার চেষ্টা করি। আল্লাহ রব্বুল আলামিন
আরশের উপর সমুন্নত আছেন এ সম্পর্কিত কুরআনেয় আয়াত সমুহ:
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى
অর্থঃ দয়াময় আল্লাহ আরশের উপর সমুন্নত হয়েছেন।” (সূরা ত্বহা-২০:৫)।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন:
الَّذِي
خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ
اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ الرَّحْمَنُ فَاسْأَلْ بِهِ خَبِيرًا
অর্থ: (আল্লাহ) যিনি আসমান জমিন ও
এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত,
তাকে জিজ্ঞেস কর। (সূরা ফুরকান ২৫:৫৯)।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন আরশের উপর সমুন্নত আছেন এ
সম্পর্কিত আয়াত: সূরা সাজদা -৪; সূরা ইউনুস -৩; সূরা রাদ
-২; সূরা আরাফ -৫৪; সূরা মুলক -১৭; সূরা নিসা -১৫৮; সূরা মাআরিজ -৮; সূরা নাহল
-৫০; সূরা মুমিন -৩৭; সূরা বাকারা -৯৭; সূরা আশ শুয়ারা -১৯৩-১৯৪।
আল্লাহ
রব্বুল আলামিন সবার নিকটে আছেন,
যেদিকেই মুখ ফিরাই সেদিকেই রয়েছেন, সত্যবাদিদের সাথেও আছেন। আল্লাহ রব্বুল আলামিন
বলেন:
أَلَمۡ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا فِى
ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَمَا فِى ٱلۡأَرۡضِۖ مَا يَڪُونُ مِن نَّجۡوَىٰ ثَلَـٰثَةٍ
إِلَّا هُوَ رَابِعُهُمۡ وَلَا خَمۡسَةٍ إِلَّا هُوَ سَادِسُہُمۡ وَلَآ أَدۡنَىٰ
مِن ذَٲلِكَ وَلَآ أَڪۡثَرَ
إِلَّا هُوَ مَعَهُمۡ أَيۡنَ مَا كَانُواْۖ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا عَمِلُواْ
يَوۡمَ ٱلۡقِيَـٰمَةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَىۡءٍ عَلِيمٌ (٧)
আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিটি জিনিস সম্পর্কে অবগত, সে ব্যাপারে তুমি
কি সচেতন নও? যখনই তিন ব্যক্তির মধ্যে কোন গোপন কানাঘুষা হয়,
তখন সেখানে আল্লাহ অবশ্যই চতুর্থজন হিসেবে উপস্থিত থাকেন৷ যখনই পাঁচজনের
মধ্যে গোপন সলাপরামর্শ হয় তখন সেখানে ষষ্ঠ জন হিসেবে আল্লাহ অবশ্যই বিদ্যমান থাকেন৷ গোপন সলাপরামর্শকারীরা সংখ্যায়
এর চেয়ে কম হোক বা বেশী হোক, এবং তারা যেখানেই থাকুক, আল্লাহ তাদের
সাথে থাকেন৷ তারপর
কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দেবেন তারা কি কি করেছে৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ৷ (মুজাদালাহ
৫৮:৭)।
আল্লাহ
রব্বুল আলামিন বলেন:
وَلِلَّهِ ٱلۡمَشۡرِقُ وَٱلۡمَغۡرِبُۚ فَأَيۡنَمَا
تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجۡهُ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ وَٲسِعٌ عَلِيمٌ۬ (١١٥)
অর্থ: পূর্ব এবং পশ্চিম আল্লাহ তায়ালারই। সুতরাং যেদিকেই মুখ
ফিরাও,
সেদিকেই রয়েছেন
আল্লাহ তায়ালা। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী সর্বজ্ঞাত। (বাকারা ২:১১৫)।
মহান আল্লাহ সবার নিকটে আছেন
এ সম্পর্কিত আয়াত: সুরা বাকারা ১৫৩,১৯৪ এবং সুরা ক্বফ-৫০:১৬।প্রথম দুই আয়াতসহ অনেক আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ রব্বুল আলামিন আরশের উপর সমুন্নত আছেন। পরের দুই আয়াতসহ অনেক আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সাথে আছেন। তাহলে এই আয়াতগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা কী?
আল্লাহ রব্বুল আলামিন নিজেই এর
ব্যাখ্যা দিয়েছেন ::আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন:
هُوَ الَّذِي
خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى
الْعَرْشِ يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا
يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا يَعْرُجُ فِيهَا وَهُوَ
مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
অর্থ: তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমন্ডল
সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমুন্নত
হয়েছেন। তিনি জানেন যা ভূমিতে
প্রবেশ করে ও যা ভূমি থেকে নির্গত হয় এবং যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা আকাশে
উত্থিত হয়। তিনি তোমাদের সাথে আছেন
তোমরা যেখানেই থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা
দেখেন।” (সূরা হাদীদ : ৫৭:৪)।
ভাল করে
লক্ষ করুন হাদীদের এই আয়াতের প্রথমে বললেন তিনি আরশের উপর সমুন্নত আছেন। পরের
আয়াতেই আমাদের সাথে আছেন। তাহলে
আল্লাহ কি আত্বভোলা (নাউজুবিল্লাহ)। তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। এ আয়াতের তাফসির
আয়াতেরই শেষাংশ আর তা হল ‘আল্লাহ আল্লাহ তা দেখেন।
মহান আল্লাহ তা‘আলা তাঁর জ্ঞান, শ্রবণ, দর্শন
ও ক্ষমতার মাধ্যমে সকল সৃষ্টির সাথে আছেন। অর্থাৎ তিনি সপ্ত আসমানের উপর অবস্থিত ‘আরশের উপর থেকেই সব কিছু দেখছেন, সব কিছু শুনছেন,
সকল বিষয়ে জ্ঞাত আছেন। সুতরাং তিনি দূরে থেকেও যেন কাছেই আছেন।
সাথে থাকার অর্থ, গায়ে গায়ে লেগে থাকা নয়। মহান আল্লাহ মূসা ও হারূন আলাইহিমাস সালামকে ফির‘আওনের নিকট যেতে বললেন, তারা ফির‘আওনের অত্যাচারের আশংকা ব্যক্ত করলেন। আল্লাহ তাদের সম্বোধন করে বললেন, ‘‘তোমরা ভয় পেও না। নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি। (অর্থাৎ)
শুনছি এবং দেখছি।”(সূরা ত্ব-হা ২০:৪৬)। এখানে ‘‘সাথে থাকার অর্থ এটা নয় যে, মূসা আলাইহিস সালাম-এর সাথে মহান আল্লাহ তা‘আলাও ফির‘আওনের দরবারে গিয়েছিলেন। বরং ‘‘সাথে থাকার ব্যাখ্যা
তিনি নিজেই করছেন এই বলে যে, ‘‘শুনছি এবং দেখছি।”অতএব আল্লাহর সাথে ও কাছে থাকার অর্থ হলো জ্ঞান, শ্রবণ,
দর্শন ও ক্ষমতার মাধ্যমে, আর স্ব-সত্তায় তিনি ‘আরশের উপর রয়েছেন।
তা হলে প্রশ্ন হল “মহান আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান” কথাটা কি সঠিক?
“মহান আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান” বাক্যটির অর্থ যদি হয় ‘‘মহান আল্লাহ স্ব-সত্তায় সর্বত্র বিরাজমান” তা হলে বাক্যটি সরাসরি
বাতিল।
তবে শর্ত সাপেক্ষে বলা যাবে যে তিনি সর্বত্র বিরাজমান। যেমন যদি কেউ
বলে, মহান আল্লাহ তার জ্ঞান,
শ্রবণ, দর্শন ও ক্ষমতা দ্বারা সর্বত্র
বিরাজমান তবে সঠিক হবে। শত শত কিলোমিটার দুর থেকে যে লাইভ টেলিকাষ্ট দেখি আর ভাবি
এত আমার চোখের সামনেই ঘটছে।কারন আমান জ্ঞান, শ্রবন, দর্শন ঐ ঘটনার সাথে সরাসরি
জড়িত।
৫৮ নম্বর মুজাদালাহর
০৭ নম্বর আয়াতে তো বললেন, ‘তিন জনের মধ্যে কখনও কোন গোপন শলা পরামর্শ হতে পারে না, যেখানে তিনি চতুর্থ ব্যক্তিরূপে উপস্থিত নাই এবং পাঁচ ব্যক্তির মধ্যেও হয়
না যাতে ষষ্ঠ জন হিসেবে তিনি তাদের মধ্যে উপস্থিত থাকেন না”। এ আয়তের প্রথমে বলেছেন, ‘আল্লাহ আকাশ
ও পৃথিবীর প্রতিটি জিনিস সম্পর্কে অবগত’ অর্থাৎ তিনি জ্ঞান দ্বারা উপস্থিত থাকেন।
সূরা
বাকারা ১১৫ নম্বর আয়াতের তাফসীরে বিশ্ববিখ্যাত তাফসীরবীদ
হাফেজ ইমাদুদ্দিন ইবনু কাসীর রাহিমাহুল্লাহ “তাফসীর ইবনু কাসীরে” বলেনঃ আল্লাহ তা 'আলা হতে কোন জায়গা শূন্য নেই, এর
ভাবার্থ যদি আল্লাহ তা 'আলার ‘ইলম’ বা অবগতি হয় তাহলে অর্থ সঠিক হবে, যে
কোন স্থানেই আল্লাহ পাকের ইলম হতে শূন্য নেই। আর যদি এর ভাবার্থ হয় ‘আল্লাহ তা আল্লাহ সত্তা’ তবে এটা সঠিক হবে না। কেন না, আল্লাহ
রাব্বুল আলামীন যে, তার সৃষ্টি জীবের মধ্য হতে
কোন জিনিষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন তা থেকে তার পবিত্র সত্তা বহু ঊর্ধে। (তাফসিরে
ইবনে কাসির প্রতম খন্ড পৃষ্ঠা ৩৭২)।
আবু মুতি আল হাকাম ইবনে আব্দুল্লাহ আল বালাখি বলেন, আমি ইমাম আবু
হানিফা রাহিমাহুল্ল কে জিজ্ঞসা করে ছিললাম কেউ যদি বলে, আমি জানিনা আল্লাহ্ কোথায়
পৃথিবীতে না আসমানে,তাহলে তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছেন সে কাফির কেননা আল্লাহ্ বলেছেন, "পরম করুণাময় আরশের উপর সমাসীন। (সুরা ত্বহা ২০:৫)। আবু মুতি বলেছেন অতপর
আমি তাকে জিজ্ঞস করে ছিলাম যে, কেউ যদি বলে, আল্লাহ্ উপরে অধিষ্ঠিত, কিন্তু আমি জানিনা আরশ কোথায় অবস্থিত আকাশে না পৃথিবীতে তাহলে তার
সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছেন, যদি সে
ব্যক্তি কাফির কেননা সে এ কথা অস্বীকার করে যে, ‘পরম করুণাময় আরশের উপর সমাসীন’। (আল ফিকহুল আকবার: বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা পৃষ্ঠা -২৬১; ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ.)
আরও বহু আয়াত ও হাদীস রয়েছে
যেগুলো দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় আল্লাহ তায়ালা সব জায়গায় বিরাজমান নন।
বরং তার ক্ষমতা, রাজত্ব, পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ, জ্ঞান,
দৃষ্টি ইত্যাদি সর্বত্র ও সব কিছুতে বিরাজমান। কিন্তু তিনি স্বত্বাগতভাবে,
সাত আসমানের উপর আরশে আযীমে সমুন্নোত। আর
এটাই হল বিশুদ্ধ আকীদা। আল্লাহ্ সম্পর্কে এর বিকল্প চিন্তা করা শির্ক। অথচ আল্লাহ রব্বুল আলামিন
বলেন:
هُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي
سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي
الْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا يَعْرُجُ
فِيهَا وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
অর্থ:
“তিনি নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডল সৃষ্টি করেছেন
ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমুন্নত হয়েছেন। তিনি জানেন যা
ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা ভূমি থেকে নির্গত হয় এবং যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা
আকাশে উত্থিত হয়। তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। তোমরা যা কর,
আল্লাহ তা দেখেন।” (সূরা হাদীদ -৫৭: ৪)
(তিনি তোমাদের
সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। এর তাফসীর বা ব্যাখ্যা এ আয়াতেরই শেষাংশ। আর তা
হলোঃ তোমরা যা কর, আল্লাহ
তা দেখে)।
আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান নয় তার
প্রমানে এই আয়াতগুলি যথেষ্টঃ সূরা ত্বহা ২০:৫; সুরা ফুরকান ২৫:৫৯; সুরা সেজদা
৩১:৪; সুরা আরফ ৭:৫৪; সুরা ইউসুফ ১০:৩; সুরা রাদ ১৩:২; সুরা মুলক ৬৭: ১৬-১৭; সুরা
নিসা ৪:১৫৮। এ ছাড়া আমাদের সমাজে প্রচলিত চার মাযহাবের চারজন মুজতাহিদ আলেম আবু
হানিফা (রহঃ)
ইমাম মালিক (রহঃ), ইমাম শাফিঈ
রহঃ ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর আকিদা ছিল মহান আল্লাহ আরশে সমুন্নোত আছেন।
কুরআনের কিছু আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, তিনি ধৈর্যশীল,
মুত্তাকি ও সতকর্মশীলদের সাথে রয়েছেন। এর অর্থ অধিকাংশ মুফাস্সিরগন বলেছেন, তিনি বান্দার সমর্থন, সাহায্য ও হিফাজতের মাধ্যমে সাথে থাকার
কথা বলেছেন। আবার কিছু আয়াতে বান্দার সাথে থাকার কথা বলেছেন, যার অর্থ হলো, মহান আল্লাহ জ্ঞান,
শ্রবণ, দর্শন ও ক্ষমতার মাধ্যমে বান্দার সাথে
আছেন। কিন্তু তিনি স্বত্বাগতভাবে, সাত আসমানের উপর আরশে আযীমে সমুন্নোত। আর এটাই হল বিশুদ্ধ আকীদা। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হক জানা ও তা মানার তাওফীক দিন। আমিন। বিস্তারিত জানান
জন্য আল্লাহআলার অবস্থান কোথায় অধ্যায় পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
(https://sites.google.com/site/authenticislaminbangla/suphibada/suphidera-bhranta-akidasamuha-ebam-tara-asaratara-pramana-01)