#Counter_From_Campúsian-1
#Qn: একমাত্র কুরআনেই সম্ভব, পরীক্ষক একজন ছাত্রকে শিখিয়ে পড়িয়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে অন্যদেরকে সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করাতে! সেখানে অন্যরা ফেইল করবে না তো কি করবে?
#Ans:"দাদা এখানে আল্লাহ কে মেনেই নিয়েছেন উনি ওই সময় পরীক্ষা নিয়েছেন।অথচ মূল ব্যাপার কি ছিল?? পরীক্ষা না এক আনুষ্ঠানিকতা!!"
চলুন দেখে নেয়া যাক।
আদম আঃ কে সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের জানিয়ে দেন যে যখন আদমকে (আঃ) রুহ ফুঁকে দেয়া হবে তখনই যেন ফেরেশতারা আদমকে (আঃ) সেজদা করে ৷ তাহলে কিসের পরীক্ষা? কিসের জয়লাভ? কিসের পরাজয়???কিসের প্রতারনা?কিসের পরীক্ষা?? দাদাদের স্ট্যান্ডার্ড ভুল।
প্রমাণ :
وَ اِذۡ قَالَ رَبُّکَ لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنِّیۡ خَالِقٌۢ بَشَرًا مِّنۡ صَلۡصَالٍ مِّنۡ حَمَاٍ مَّسۡنُوۡنٍ ﴿۲۸﴾
আর আপনার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদেরকে বললেনঃ আমি পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুষ্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্ট একটি মানব জাতির পত্তন করব।
-Sura Al-Hijr, Ayah 28
فَاِذَا سَوَّیۡتُہٗ وَ نَفَخۡتُ فِیۡہِ مِنۡ رُّوۡحِیۡ فَقَعُوۡا لَہٗ سٰجِدِیۡنَ ﴿۲۹﴾
অতঃপর যখন তাকে ঠিকঠাক করে নেব এবং তাতে আমার রূহ থেকে ফঁুক দেব, তখন তোমরা তার সামনে সেজদায় পড়ে যেয়ো।
-Sura Al-Hijr, Ayah 29
নিচের আয়াতগুলো ভালো করে লক্ষ্য করেন:
قَالَ مَا مَنَعَکَ اَلَّا تَسۡجُدَ اِذۡ اَمَرۡتُکَ ؕ قَالَ اَنَا خَیۡرٌ مِّنۡہُ ۚ خَلَقۡتَنِیۡ مِنۡ نَّارٍ وَّ خَلَقۡتَہٗ مِنۡ طِیۡنٍ ﴿۱۲﴾
আল্লাহ বললেনঃ আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি, তখন তোকে কিসে সেজদা করতে বারণ করল? সে বললঃ আমি তার চাইতে শ্রেষ্ট। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা।
-Sura Al-A'raf, Ayah 12
قَالَ فَاہۡبِطۡ مِنۡہَا فَمَا یَکُوۡنُ لَکَ اَنۡ تَتَکَبَّرَ فِیۡہَا فَاخۡرُجۡ اِنَّکَ مِنَ الصّٰغِرِیۡنَ ﴿۱۳﴾
বললেন তুই এখান থেকে যা। এখানে অহংকার করার কোন অধিকার তোর নাই। অতএব তুই বের হয়ে যা। তুই হীনতমদের অন্তর্ভুক্ত।
-Sura Al-A'raf, Ayah 13
এই আয়াতটি দেখতে পারেন ৷ এখানে নাস্তিকদের বক্তব্য অনুযায়ী পরীক্ষার পর শয়তান কি বলছে??
আমি শ্রেষ্ঠ!! কেন বলল? সেতো পরীক্ষায় ফেইল করেছে? তাহলে শ্রেষ্ঠ রইল কি ভাবে? মূলত শ্রেষ্ঠত্বের পরীক্ষা নেয়াই হয় নাই ৷ যদি তাই হত, তবে ফেইল করার পর ইবলিস নিজেকে শ্রেষ্ঠ দাবি করতে পারত না ৷
অতএব, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে পাস করার ধারনা মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয় ৷
কোরআন ভাল ভাবে না পড়ার কারনে, নাস্তিকরা এই ধারনা করছে ৷
এবার কিছু বিশ্লেষন দেখে নেয়া যাক চলুন
وَ اِذۡ قَالَ رَبُّکَ لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنِّیۡ جَاعِلٌ فِی الۡاَرۡضِ خَلِیۡفَۃً ؕ قَالُوۡۤا اَتَجۡعَلُ فِیۡہَا مَنۡ یُّفۡسِدُ فِیۡہَا وَ یَسۡفِکُ الدِّمَآءَ ۚ وَ نَحۡنُ نُسَبِّحُ بِحَمۡدِکَ وَ نُقَدِّسُ لَکَ ؕ قَالَ اِنِّیۡۤ اَعۡلَمُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۰﴾
আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।
-Sura Al-Baqarah, Ayah 30
লক্ষ্য করুন, আদমকে আঃ সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ আদম এবং সন্তানদের খলিফা হিসেবে ঘোষনা করেছেন ৷যখন সকলের নেতা হয়,তখনই খলিফা বলার সুযোগ রয়েছে ৷
আল্লাহ তায়ালা আদমকে সৃষ্টির পূর্বেই খলিফা বানাবেন বলাতে কি প্রমাণ হয়? উনি আদমকে নেতা বানাবেন।
আল্লাহর প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ফেরেস্তাদের জবাব কি ছিল??
قَالُوۡا سُبۡحٰنَکَ لَا عِلۡمَ لَنَاۤ اِلَّا مَا عَلَّمۡتَنَا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَلِیۡمُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۳۲﴾
তারা বলল, তুমি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে তুমি যা আমাদিগকে শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।
-Sura Al-Baqarah, Ayah 32
ফেরেশতাদের জবাব লক্ষ্য করুন ৷ উনারা এর বিরোধিতা করছেন এবং বলছেন যে আদম এর বংশধরেরা পৃথিবীতে দাঙ্গা হাঙ্গামা করবে ৷
আল্লাহ বললেন, আমি যা জানি তোমরা তা জাননা ৷
এরপর বলা হয়েছে,
وَ عَلَّمَ اٰدَمَ الۡاَسۡمَآءَ کُلَّہَا ثُمَّ عَرَضَہُمۡ عَلَی الۡمَلٰٓئِکَۃِ ۙ فَقَالَ اَنۡۢبِـُٔوۡنِیۡ بِاَسۡمَآءِ ہٰۤؤُلَآءِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۳۱﴾
আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক।
-Sura Al-Baqarah, Ayah 31
দেখুন এই আয়াতে বলছেন, যে সত্যবাদী হলে আমাকে এগুলোর নাম বল! বলেননি যে "আজকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ হবে কিংবা তোমাদের পরীক্ষা করা হবে কে শ্রেষ্ঠ!"।কারন, খলিফা হিসেবে আদম এবং তার সন্তানদের আগেই ঘোষনা করা হয়ে গেছে ৷ বরং ফেরেশতা কি বলেছে লক্ষ্য করুন ৷ তারা বলছে, আপনি আমাদের যা শিখিয়েছেন, তার চেয়ে বেশি আমরা জানি না ৷
তারমানে মূলত ফেরেশতাদের ও আল্লাহ তায়ালা অনেক কিছু শিক্ষা দিয়েছেন ৷কিন্তু আদম কে যা শিখিয়েছেন তা ফেরেশতাদের শিক্ষা দেন নাই এবং ফেরেশতাদের যা শিখিয়েছেন, তা আদমকে শিক্ষা দেন নাই ৷
এর দ্বারাই আল্লাহ তায়ালা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে জীন, ফেরেশতা এবং আদমের কাজ সম্পূর্ণ ভিন্ন ৷ এবং ফেরেশতারা যেই আশংকা করেছিল, তাও সঠিক নয় ৷
মূলত, একজন ডাক্তার যা শিখে, তা ইঞ্জিনিয়ার তা শিখে না ৷ একজন ইঞ্জিনিয়ার যা শিখে তা একজন কাঠ মিস্ত্রি শিখে না ৷ প্রত্যেকের কাজ এবং শিক্ষা ভিন্ন ৷ কোন ভাল শিক্ষক সকল ধরনের ছাত্রকে একই ধরনের শিক্ষা দিতে পারে না
قَالَ یٰۤاٰدَمُ اَنۡۢبِئۡہُمۡ بِاَسۡمَآئِہِمۡ ۚ فَلَمَّاۤ اَنۡۢبَاَہُمۡ بِاَسۡمَآئِہِمۡ ۙ قَالَ اَلَمۡ اَقُلۡ لَّکُمۡ اِنِّیۡۤ اَعۡلَمُ غَیۡبَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۙ وَ اَعۡلَمُ مَا تُبۡدُوۡنَ وَ مَا کُنۡتُمۡ تَکۡتُمُوۡنَ ﴿۳۳﴾
তিনি বললেন, হে আদম, ফেরেশতাদেরকে বলে দাও এসবের নাম। তারপর যখন তিনি বলে দিলেন সে সবের নাম, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আসমান ও যমীনের যাবতীয় গোপন বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল করেই অবগত রয়েছি? এবং সেসব বিষয়ও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর, আর যা তোমরা গোপন কর!
-Sura Al-Baqarah, Ayah 33
দেখুন, এই আয়াতে আদমকে বললেন সকল কিছু বলার জন্য এবং আদম তা বলে দিল ৷ তখন আল্লাহ তায়ালা 30 নাম্বার আয়াতের কথা স্মরন করিয়ে দিল ৷ বলল, দেখ আমি যা জানি তা তুমরা তা জাননা ৷
এই কথা বলে আল্লাহ বুঝাতে চেয়েছেন যে আল্লাহ তায়ালার পরিকল্পনা, ফেরেশতাদের ধারনার মত নয় ৷ বরং সম্পূর্ণ অন্যরকম!
কিন্তু একবারও বলেন নাই, যে তোমরা আদমের কাছে পরাস্ত হয়েছ! এবং ফেরেশতারা ও কখনও আদমের চেয়ে শ্রেষ্ঠ দাবি করে নাই ৷
তাহলে কেন হবে শ্রেষ্ঠত্বের পরীক্ষা?
সুতরাং আদমকে ( আঃ) সৃষ্টির আগেই খলিফা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে
অতএব নাস্তিকদের প্রশ্ন ফাঁসের দাবি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ৷
#Qn: একমাত্র কুরআনেই সম্ভব, পরীক্ষক একজন ছাত্রকে শিখিয়ে পড়িয়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে অন্যদেরকে সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করাতে! সেখানে অন্যরা ফেইল করবে না তো কি করবে?
#Ans:"দাদা এখানে আল্লাহ কে মেনেই নিয়েছেন উনি ওই সময় পরীক্ষা নিয়েছেন।অথচ মূল ব্যাপার কি ছিল?? পরীক্ষা না এক আনুষ্ঠানিকতা!!"
চলুন দেখে নেয়া যাক।
আদম আঃ কে সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের জানিয়ে দেন যে যখন আদমকে (আঃ) রুহ ফুঁকে দেয়া হবে তখনই যেন ফেরেশতারা আদমকে (আঃ) সেজদা করে ৷ তাহলে কিসের পরীক্ষা? কিসের জয়লাভ? কিসের পরাজয়???কিসের প্রতারনা?কিসের পরীক্ষা?? দাদাদের স্ট্যান্ডার্ড ভুল।
প্রমাণ :
وَ اِذۡ قَالَ رَبُّکَ لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنِّیۡ خَالِقٌۢ بَشَرًا مِّنۡ صَلۡصَالٍ مِّنۡ حَمَاٍ مَّسۡنُوۡنٍ ﴿۲۸﴾
আর আপনার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদেরকে বললেনঃ আমি পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুষ্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্ট একটি মানব জাতির পত্তন করব।
-Sura Al-Hijr, Ayah 28
فَاِذَا سَوَّیۡتُہٗ وَ نَفَخۡتُ فِیۡہِ مِنۡ رُّوۡحِیۡ فَقَعُوۡا لَہٗ سٰجِدِیۡنَ ﴿۲۹﴾
অতঃপর যখন তাকে ঠিকঠাক করে নেব এবং তাতে আমার রূহ থেকে ফঁুক দেব, তখন তোমরা তার সামনে সেজদায় পড়ে যেয়ো।
-Sura Al-Hijr, Ayah 29
নিচের আয়াতগুলো ভালো করে লক্ষ্য করেন:
قَالَ مَا مَنَعَکَ اَلَّا تَسۡجُدَ اِذۡ اَمَرۡتُکَ ؕ قَالَ اَنَا خَیۡرٌ مِّنۡہُ ۚ خَلَقۡتَنِیۡ مِنۡ نَّارٍ وَّ خَلَقۡتَہٗ مِنۡ طِیۡنٍ ﴿۱۲﴾
আল্লাহ বললেনঃ আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি, তখন তোকে কিসে সেজদা করতে বারণ করল? সে বললঃ আমি তার চাইতে শ্রেষ্ট। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা।
-Sura Al-A'raf, Ayah 12
قَالَ فَاہۡبِطۡ مِنۡہَا فَمَا یَکُوۡنُ لَکَ اَنۡ تَتَکَبَّرَ فِیۡہَا فَاخۡرُجۡ اِنَّکَ مِنَ الصّٰغِرِیۡنَ ﴿۱۳﴾
বললেন তুই এখান থেকে যা। এখানে অহংকার করার কোন অধিকার তোর নাই। অতএব তুই বের হয়ে যা। তুই হীনতমদের অন্তর্ভুক্ত।
-Sura Al-A'raf, Ayah 13
এই আয়াতটি দেখতে পারেন ৷ এখানে নাস্তিকদের বক্তব্য অনুযায়ী পরীক্ষার পর শয়তান কি বলছে??
আমি শ্রেষ্ঠ!! কেন বলল? সেতো পরীক্ষায় ফেইল করেছে? তাহলে শ্রেষ্ঠ রইল কি ভাবে? মূলত শ্রেষ্ঠত্বের পরীক্ষা নেয়াই হয় নাই ৷ যদি তাই হত, তবে ফেইল করার পর ইবলিস নিজেকে শ্রেষ্ঠ দাবি করতে পারত না ৷
অতএব, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে পাস করার ধারনা মূর্খতা ছাড়া কিছুই নয় ৷
কোরআন ভাল ভাবে না পড়ার কারনে, নাস্তিকরা এই ধারনা করছে ৷
এবার কিছু বিশ্লেষন দেখে নেয়া যাক চলুন
وَ اِذۡ قَالَ رَبُّکَ لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنِّیۡ جَاعِلٌ فِی الۡاَرۡضِ خَلِیۡفَۃً ؕ قَالُوۡۤا اَتَجۡعَلُ فِیۡہَا مَنۡ یُّفۡسِدُ فِیۡہَا وَ یَسۡفِکُ الدِّمَآءَ ۚ وَ نَحۡنُ نُسَبِّحُ بِحَمۡدِکَ وَ نُقَدِّسُ لَکَ ؕ قَالَ اِنِّیۡۤ اَعۡلَمُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۰﴾
আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।
-Sura Al-Baqarah, Ayah 30
লক্ষ্য করুন, আদমকে আঃ সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ আদম এবং সন্তানদের খলিফা হিসেবে ঘোষনা করেছেন ৷যখন সকলের নেতা হয়,তখনই খলিফা বলার সুযোগ রয়েছে ৷
আল্লাহ তায়ালা আদমকে সৃষ্টির পূর্বেই খলিফা বানাবেন বলাতে কি প্রমাণ হয়? উনি আদমকে নেতা বানাবেন।
আল্লাহর প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ফেরেস্তাদের জবাব কি ছিল??
قَالُوۡا سُبۡحٰنَکَ لَا عِلۡمَ لَنَاۤ اِلَّا مَا عَلَّمۡتَنَا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَلِیۡمُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۳۲﴾
তারা বলল, তুমি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে তুমি যা আমাদিগকে শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।
-Sura Al-Baqarah, Ayah 32
ফেরেশতাদের জবাব লক্ষ্য করুন ৷ উনারা এর বিরোধিতা করছেন এবং বলছেন যে আদম এর বংশধরেরা পৃথিবীতে দাঙ্গা হাঙ্গামা করবে ৷
আল্লাহ বললেন, আমি যা জানি তোমরা তা জাননা ৷
এরপর বলা হয়েছে,
وَ عَلَّمَ اٰدَمَ الۡاَسۡمَآءَ کُلَّہَا ثُمَّ عَرَضَہُمۡ عَلَی الۡمَلٰٓئِکَۃِ ۙ فَقَالَ اَنۡۢبِـُٔوۡنِیۡ بِاَسۡمَآءِ ہٰۤؤُلَآءِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۳۱﴾
আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক।
-Sura Al-Baqarah, Ayah 31
দেখুন এই আয়াতে বলছেন, যে সত্যবাদী হলে আমাকে এগুলোর নাম বল! বলেননি যে "আজকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ হবে কিংবা তোমাদের পরীক্ষা করা হবে কে শ্রেষ্ঠ!"।কারন, খলিফা হিসেবে আদম এবং তার সন্তানদের আগেই ঘোষনা করা হয়ে গেছে ৷ বরং ফেরেশতা কি বলেছে লক্ষ্য করুন ৷ তারা বলছে, আপনি আমাদের যা শিখিয়েছেন, তার চেয়ে বেশি আমরা জানি না ৷
তারমানে মূলত ফেরেশতাদের ও আল্লাহ তায়ালা অনেক কিছু শিক্ষা দিয়েছেন ৷কিন্তু আদম কে যা শিখিয়েছেন তা ফেরেশতাদের শিক্ষা দেন নাই এবং ফেরেশতাদের যা শিখিয়েছেন, তা আদমকে শিক্ষা দেন নাই ৷
এর দ্বারাই আল্লাহ তায়ালা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে জীন, ফেরেশতা এবং আদমের কাজ সম্পূর্ণ ভিন্ন ৷ এবং ফেরেশতারা যেই আশংকা করেছিল, তাও সঠিক নয় ৷
মূলত, একজন ডাক্তার যা শিখে, তা ইঞ্জিনিয়ার তা শিখে না ৷ একজন ইঞ্জিনিয়ার যা শিখে তা একজন কাঠ মিস্ত্রি শিখে না ৷ প্রত্যেকের কাজ এবং শিক্ষা ভিন্ন ৷ কোন ভাল শিক্ষক সকল ধরনের ছাত্রকে একই ধরনের শিক্ষা দিতে পারে না
قَالَ یٰۤاٰدَمُ اَنۡۢبِئۡہُمۡ بِاَسۡمَآئِہِمۡ ۚ فَلَمَّاۤ اَنۡۢبَاَہُمۡ بِاَسۡمَآئِہِمۡ ۙ قَالَ اَلَمۡ اَقُلۡ لَّکُمۡ اِنِّیۡۤ اَعۡلَمُ غَیۡبَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۙ وَ اَعۡلَمُ مَا تُبۡدُوۡنَ وَ مَا کُنۡتُمۡ تَکۡتُمُوۡنَ ﴿۳۳﴾
তিনি বললেন, হে আদম, ফেরেশতাদেরকে বলে দাও এসবের নাম। তারপর যখন তিনি বলে দিলেন সে সবের নাম, তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আসমান ও যমীনের যাবতীয় গোপন বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল করেই অবগত রয়েছি? এবং সেসব বিষয়ও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর, আর যা তোমরা গোপন কর!
-Sura Al-Baqarah, Ayah 33
দেখুন, এই আয়াতে আদমকে বললেন সকল কিছু বলার জন্য এবং আদম তা বলে দিল ৷ তখন আল্লাহ তায়ালা 30 নাম্বার আয়াতের কথা স্মরন করিয়ে দিল ৷ বলল, দেখ আমি যা জানি তা তুমরা তা জাননা ৷
এই কথা বলে আল্লাহ বুঝাতে চেয়েছেন যে আল্লাহ তায়ালার পরিকল্পনা, ফেরেশতাদের ধারনার মত নয় ৷ বরং সম্পূর্ণ অন্যরকম!
কিন্তু একবারও বলেন নাই, যে তোমরা আদমের কাছে পরাস্ত হয়েছ! এবং ফেরেশতারা ও কখনও আদমের চেয়ে শ্রেষ্ঠ দাবি করে নাই ৷
তাহলে কেন হবে শ্রেষ্ঠত্বের পরীক্ষা?
সুতরাং আদমকে ( আঃ) সৃষ্টির আগেই খলিফা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে
অতএব নাস্তিকদের প্রশ্ন ফাঁসের দাবি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ৷