নারী ধর্ষণ বেড়েই চলেছে কারণ কি?
Md Shelon Hossain
প্রথমেই, জেনে নেই একজন ধর্ষক, নারী ধর্ষণ
করার শিক্ষা কোথায় পাই? আর সাহসটা যোগান দেয় কে?
ধর্ষণ হলো একটি নাস্তিকীয় শিক্ষা কারণ নাস্তিক ধর্মে, ফ্রি সেক্স তথা ধর্ষণ, করা দোষের
কিছু নয়।
বিস্তারিত :
(১) ফ্রি
সেক্স তথা, ধর্ষণের
সপক্ষে নাস্তিকদের যুক্তি গুলো হলো।
নাস্তিকরা ব্যাক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। নাস্তিকীয় ব্যাক্তি স্বাধীনতার যুক্তি অনুযায়ী, একজন ধর্ষক যদি
নারী ধর্ষণ করতে চায় সেটা তার ব্যাক্তি স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে, তাই ধর্ষকের
ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না।
যে ধর্ষককে বাঁধা দেবে নাস্তিকদের চোখে নাস্তিকদের
যুক্ত সেই অপরাধী বলে গণ্য হবে।
(২) ধর্ষণের স্বপক্ষে
নাস্তিকদের যুক্তি পশুদের ও জীবন আছে, মানুষের ও জীবন আছে, তাই নাস্তিক
পশু আর মানুষের মাঝে কোন পার্থক্য খুঁজে পায় না। তাই পশুরা যদি, যখন খুশি তখন, যাকে ইচ্ছা
তাকে, ধর্ষণ করতে
পারে তাহলে নাস্তিকরা কোন পারবে না?
এভাবেই নাস্তিকরা ধর্ষণের সপক্ষে যুক্তি দাঁড় করিয়ে
থাকে। নারী ধর্ষণের
প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এবং ধর্ষণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। নাস্তিকদের
যুক্ত অনুযায়ী
ধর্ষক আরও উদ্বুদ্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক।
(৩)
নাস্তিকদের যুক্তি মানুষ যার সাথে ইচ্ছা অনুযায়ী যৌন সম্পর্ক করতে
পারে, এটা
নাস্তিকদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা, তাদের যুক্তি অনুযায়ী, কেউ ধর্ষক
হতে চাইলে এখানে দোষের কিছু নেই।
(আমি মুসলিম আমার
জবাব), মানুষ যদি
পশুদের মতো, অর্থাৎ
নাস্তিকদের মতো যার তার সাথে যৌন সম্পর্ক করতে চায়, তাহলে প্রত্যেকটি নারী হবে ধর্ষিতা, প্রতিনিয়ত, নারীরা হবে
নরপশুদের স্বীকার।
(8) নাস্তিক
কুরুচিপূর্ণ সাহিত্যিকরা তাদের নিজেদের মেয়েকেই ধর্ষণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকে
।
কারণ, নাস্তিক ধর্মে ধর্ষণ করা দোষের কিছু নয় কোন
দালিলিক নিষেধাজ্ঞা নেই।
সম্প্রতি সময়ে আমারা দেখতে পাচ্ছি, নারী ধর্ষণের
পরিমাণ বেড়ে গেছে কারণ নাস্তিকদের উত্থান ঘটেছে। নাস্তিকদের উত্থান ঘটার আগে, কখনও এতো
বেশি পরিমাণ নারী
ধর্ষণের ঘটনা, ঘটেনি।
কোন মানুষ নাস্তিক না হয়ে নারী
ধর্ষণ করতে পারে না কারণ একমাত্র নাস্তিক ধর্মে ধর্ষণ করা বৈধ, দালিলিক ভাবে
অবৈধ অথবা কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
আর কিছু নাস্তিক অর্থাৎ পশু গুলো
ফ্রি সেক্স, তথা ধর্ষণের
প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পরোক্ষ ভাবে
হলেও, ধর্ষণের
সপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দাঁড় করিয়ে ।
আপনারা একটু লক্ষ্য করে দেখুন তো, পঞ্চাশ বছর
আগেও মুসলিম দেশ গুলোতে কোন অবৈধ সন্তান খুঁজে পাওয়া যাইনি, এখনও কিন্তু
জারজ সন্তান অগনিত, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। নাস্তিকদের উত্থান ঘটার পর থেকে এই সন্তান গুলো কোথায় থেকে আসছে কিভাবে আসছে?
আমরা এটা বুঝি।
(১) নাস্তিকদের
লিভটুগেদারের মাধ্যমে, তাঁরা অবৈধ
সন্তান জন্ম দিচ্ছে কিন্তু তাদের দায়িত্ব নিচ্ছে না, পিতৃ পরিচয়
দিচ্ছে না সেই সন্তানটি জারজ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
(২) নাস্তিকদের
ফ্রী সেক্সের কারণে, অবৈধ ভাবে
গর্ভবতী হচ্ছে নাস্তিক নারীরা, কিন্তু সেই গর্ভের সন্তান কার সেটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ নাস্তিক নারী
আর পাবলিক টয়লেটের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, যে যখন ইচ্ছা ব্যাবহার করতে
পারে, কখন কে তার
গর্ভে সন্তান জন্ম দিয়ে গেছে, নাস্তিক নারীরা
খুঁজেও পাইনা, নাস্তিক
নারীদের সেক্স পার্টনার তো দুই একজন থাকে না হাজার ও
থাকে।
(৩) নাস্তিকদের
নারী স্বাধীনতা, নাস্তিকরা
নারী স্বাধীনতার নামে, ফ্রি সেক্স তথা, নারী ধর্ষণের
স্বাধীনতা আদায় করছে। নারী ভোগের স্বাধীনতা আদায় করছে।
নাস্তিক নারীদেরকে তাদের
নিষিদ্ধ পল্লীর ব্যবসার কাজে লাগিয়ে দিচ্ছে, আর সেই নাস্তিক নারীদের সাথে
সাধারণ নারী গুলো, প্রতিনিয়ত
হচ্ছে ধর্ষণের শিকার।
এভাবেই বেড়ে চলেছে নারী ধর্ষণ।
বলতে পারেন যারা মুসলিম তাদের মধ্যে কোন ধর্ষক পাওয়া
যাচ্ছে? সহজ উওর
তাঁরা তো নাস্তিকদের রুলস মোতাবেক নারী ধর্ষণ করছে। সে ইসলামিক আইন
মানছে না ইসলাম বহির্ভূত কাজ করেছে তাই সেই ব্যাক্তির দোষ ইসলামের উপর
বর্তায় না। কিন্তু নাস্তিকতার উপর বর্তায়, কারণ নাস্তিক্যবাদে
ধর্ষণ অথবা কোন অপরাধই, অপরাধ নয়।
আপনি যদি ধর্ষক মুক্ত সমাজ চান, তাহলে আপনাকে
নাস্তিক মুক্ত সমাজ গড়তে হবে বিকল্প কোন রাস্তা নেই।
0 Comments
Thanks for your comment