#Counter_post_118
#Qnr_Milton Khan
Replied by: Zianur Rahman
#Qn_1)
নবী কি আসলেই নবী?
আল্লাহ , ঈশ্বরের অস্তিত্ব শুধু মানুষের মনে, বাস্তবে তাহাকে কোথাও দেখা মেলেনি
আজ পর্যন্ত।
#Qn_2)
এই প্রশ্নটি মনে আসার
কারন বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে করোনা । করোনা আবারো প্রমাণ করে দিল - ধর্মগুলো সব
রূপ কথা ছাড়া কিছু নয়।
#Qn_3) মন্দির মসজিদ
থেকে হাসপাতাল, বিজ্ঞানাগার, স্কুল কলেজ
মানুষের বেশী দরকার। আজ আবার প্রমাণিত হল - মুমিনেরা বিজ্ঞান বিষয়ে যা বলে তা
তাদের মন গড়া কেচ্ছা কাহিনী বৈ অন্য কিছু নয়।
#Qn_4) [নবী কি
সত্যবাদী কি না সেটা যাচাই করলেই সব মিথ্যা বেরিয়ে যাবে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মদিনায় ঢুকতে পারবে না দাজ্জাল, আর না কোনো ম’হা’মা’রি। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৭৩১)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মদিনায় ঢুকতে পারবে না দাজ্জাল, আর না কোনো ম’হা’মা’রি। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৭৩১)
#Qn_5) মুফতি আমির হামজা বলেন - পাঁচ ওয়াক্ত যারা নামাজ পড়ে তাদের
করোনায় ধরবে না। যদি ধরে তাহলে কোরআন মিথ্যা হয়ে যাবে।
#Qn_6) এবার আসি কাজী
ইব্রাহীমের কথায় - কাজী সাহেব তো কিছুদিন ধরে যে সব বোমা ফাটিয়েছে তা কম বেশী সবাই
জানে।
#Qn_7) বর্তমানে ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে নবী থেকে শুরু
করে সবাই মানুষকে ঠকিয়েই গেছে। নবী যেহেতু ভুল বলেছে তাই ধর্ম, কোরআন, হাদিস সব মিথ্যা । প্রমাণিত ।
Answer:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيم
শুরু করছি পরম করুনাময় আল্লাহর নামে যার হাতে আমার প্রান,
শুরু করছি পরম করুনাময় আল্লাহর নামে যার হাতে আমার প্রান,
উত্তরঃ প্রথম
লাইনে লিখতেই তিনি ভুল করেছেন কারণ এই ভদ্রলোক বিশ্বাস করেন না আল্লাহ এবং নবীকে
তাহলে সেখানে প্রশ্নই আসেনা নবী আসল কি আসল না।
চলুন নবী অর্থ কি
জেনে নেই?
আভিধানিক অর্থঃ ঈশ্বরের দূত, পয়গম্বর।
পারিভাষিক
সজ্ঞাঃ ইসলামী পরিভাষায়
যারা আল্লাহর বাণী তার বান্দাদের কাছে পৌঁছান এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী
বান্দাদের সৎপথে পরিচালিত করেন, তাদের নবী-রাসূল
বলা হয়।
যাহোক আমার আলোচ্য
বিষয় এটি নয়, এখন উনার পরবর্তীর কথা
নিয়ে আলোকপাত করা যাক।
২) পরবর্তী লাইন,
এই প্রশ্নটি মনে
আসার কারন বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে করোনা । করোনা আবারো প্রমাণ করে দিল -
ধর্মগুলো সব রূপ কথা ছাড়া কিছু নয়।
উত্তরঃ এখানে করোনাভাইরাস প্রমাণ করে যে শক্তিমান
সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন তিনি তার সামান্য একটি উপমা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তার
অস্তিত্ব। বিষয়টি স্পষ্ট হবে একটি হাদিস দ্বারা চলুন হাদিসটি দেখে নেয়,
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার
সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন
না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে
প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার
লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের
উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসীবত এবং যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে
বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভু-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না
থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের
অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন
এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব
মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযীলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের
পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন। [৩৩৫১]
ফুটনোটঃ
[৩৩৫১] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১০৬।
[৩৩৫১] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১০৬।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০১৯
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
এ হাদিস থেকে স্পষ্ট যে এই আযাব আল্লাহ পাঠিয়েছেন এবং সেটি
আমাদের কারণে এবং ভবিষ্যতে পাঠাবেন।
পরবর্তী লাইন,
৩) মন্দির মসজিদ থেকে হাসপাতাল, বিজ্ঞানাগার,
স্কুল কলেজ মানুষের বেশী দরকার। আজ আবার প্রমাণিত হল - মুমিনেরা বিজ্ঞান বিষয়ে
যা বলে তা তাদের মন গড়া কেচ্ছা কাহিনী বৈ অন্য কিছু নয়।
উত্তরঃ এখানে মন্দির-মসজিদ, স্কুল-কলেজ একসাথে করে ফেলছেন হাইফেন না দিয়ে যাহোক আমি
উনার লেখার মধ্যে বহু ভুল আছে সে গুলি নিয়ে আলোচনা করবো না কথাটি এই কারণে বললাম
পড়াশুনার দৌরাত্ব। তিনি সৃষ্টি কর্তার অস্তিত্ব দেখতে চেয়েছেন। জানিনা চাক্ষুষ কিংবা
অস্তিতের শক্তি কিনা। যেহেতু তিনি নাস্তিক সেহেতু চাক্ষুষ চেয়েছেন, উত্তরে বলব আপনি
পৃথীবিতে যেটি দেখতে পাবেন সেটি সৃষ্টি, আল্লাহকে পরকালে দেখা যাবে।
চলুন বুঝিয়ে বলি, আল্লাহকে দেখতে চাওয়া একটা পাগলামী ছাড়া কিছু নয়। পরিষ্কার
করি, আপনার স্যার
আপনাকে পরীক্ষা নিচ্ছেন আর সামনে উত্তর পত্র ধরে রেখেছেন এটি কি তাহলে পরীক্ষা
ক্ষেত্র? উত্তর না। দুনিয়া
হচ্ছে আমাদের জন্য পরীক্ষা ক্ষেত্র আর সেখানে আল্লাহ, কেয়ামত, জান্নাত-জাহান্নাম
ও অন্যান্য এগুলি পরীক্ষার ১ নং প্রশ্ন যেটিকে ইসলামে ঈমান বলা হয়। যদি আল্লাহকে
আপনি বা আমরা দেখতে পাইতাম তাহলে এই ধরণের প্রশ্ন আসত না যে সৃষ্টি কর্তা আছে কি
নাই। তবুও আপনি যদি কোরআন কে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আল্লাহ মিথ্যা
প্রমাণিত হবে কারণ কোরআন আল্লাহর সিফাত। আর সেটি কখন সম্ভব নয়।
আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে(Does God Exist ?)= https://www.youtube.com/watch?v=MqtUoRaH_C8&t=204s
এবার আসি দ্বিতীয় পয়েন্টে আপনি যদি ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে
চান তাহলে উপরে হাদিসটি আবার পড়ুন। আমি হাজার প্রমাণ দিতে পারবো। তবে যেহেতু আপনার
প্রশ্ন করোনা ভাইরাস নিয়ে এজন্য আমি ঐদিকে যাচ্ছিনা।
এবার আসি শেষ অংশে, অজ্ঞতার একটা লিমিট থাকা দরকার এমন অজ্ঞ মানুষ হয় কিভাবে? মুমিনরা বিজ্ঞান
বিষয়ে যা বলে তা তাদের মন গড়া কেচ্ছা কাহেনী এই লাইন পড়ে বড্ড হাসি পাচ্ছে। প্রথমত, দেখি মুমিন বলতে
কি বোঝায়? মুমিন একটি আরবি শব্দ, যা মূলত আরবি ঈমান শব্দটি থেকে এসেছে। এর শাব্দিক অর্থ "বিশ্বাসী" মুমিন বলতে
বিশ্বাসী বুঝায়। এ অর্থে অধিকাংশ বিজ্ঞানী বিশ্বাসী ছিলেন। তবে এখানে মুমিন বলতে মুসলিম কে
বুঝায়ছেন এবং এই শব্দটি মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য।
এই কথা মেনে কয়েকজন মুসলিম বিজ্ঞানির নাম উল্লেখ করছি ও
তাদের অবদান। লেখা লম্বা হওয়ার কারণে সংক্ষেপ করছি।
মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের ঐতিহ্যের ওপর রচিত ‘১০০১ Inventions’
গ্রন্থটির সম্পাদক ও ফাউন্ডেশন অব সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড
সিভিলাইজেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর সালিম আল হাসানি বলেন,একদা স্পেন থেকে
পর্তুগাল এবং ইতালি থেকে চীন পর্যন্ত যে মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল এবং সেই
সাথে আধুনিক পৃথিবী স্থাপনে মুসলিম বিজ্ঞানীদের বিষ্ময়কর সব আবিষ্কারের কাহিনী এ গ্রন্থটিতে
লিপিবদ্ধ আছে, তিনি বলেন, এ বইটি পড়লে মানুষ বিশ্ব জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান
সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবে। ‘১০০১ Inventions’ গ্রন্থটিতে মুসলমানদের এক হাজার ১টি
আবিষ্কারের বর্ণনা রয়েছে। হাসানি এ গ্রন্থ থেকে পৃথিবী পাল্টে দেয়ার মতো মুসলিম
বিজ্ঞানীদের সেরা ১০টি আবিষ্কারের কাহিনী বর্ণনা করেছেন।
কয়েকটির সংক্ষিপ্ত,
সার্জারি : সার্জারি চিকিৎসার ক্ষেত্রে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান অপরিসীম। আনুমানিক ১০০০ সালের দিকে বিশ্বনন্দিত সার্জারি চিকিৎসক ছিলেন আল জাহরাত্তয়ি। তিনি সার্জারির ওপর প্রায় পনেরোশ’ পৃষ্ঠার একটি গ্রন্থ রচনা করেন। পরবর্তী পাঁচশ’ বৎসর পর্যন্ত এ বইটি ইউরোপে সার্জারি চিকিৎসার ক্ষেত্রে মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তিনিই সর্বপ্রথম সিজার অপারেশন করেছিলেন এবং শল্য চিকিৎসায় ব্যবহৃত ফরসেপ বা চিমটে জাতীয় অস্ত্র উদ্ভাবন করেন।
ফ্লাইং মেশিন : বিশিষ্ট মুসলিম বিজ্ঞানী আব্বাস ইবনে ফিরনাস ওড়ার যন্ত্র আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন এবং সেটির সাহায্যে তিনি আকাশে উড়তে সমর্থ হয়েছিলেন। নবম শতকের দিকে তিনি পাখির আকৃতির মতো বিশাল একটি কষ্টিউম তৈরি করেন এবং স্পেনের কর্ডোভার মসজিদের মিনার থেকে এ যন্ত্রের সাহায্যে তিনি শূন্যে ঝাঁপ দেন এবং কিছু সময় আকাশে উড়তে সক্ষম হন। তাই বলা চলে রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের আগেই তিনি আকাশে উড়ার বিরল কৃতিত্ব দেখান।
বীজগণিত : বীজগণিতের ওপর প্রথম গ্রন্থটি রচনা করেন পার্সিয়ার বিশ্ববিখ্যাত মুসলিম গণিতবিদ আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল খোয়ারিজম, সপ্তম শতকে তার রচিত গ্রন্থটির নাম ‘আল জাবর ওয়াল মুকাবলা, এ বইটি থেকেই মূলত বীজগণিত বা অ্যালজেবরা নামের উৎপত্তি। তার রচিত বীজগণিতের ওপর ভিত্তি করেই আধুনিক গণিতের যাত্রা শুরু হয়। গাণিতিক সংখ্যার বাইরে বিভিন্ন প্রতীকের মাধ্যমে অঙ্ক ধারণা তার মাথা থেকেই আসে। আল খোয়ারিজমিই প্রথম গণিতবিদ যিনি সংখ্যার ওপর ‘পাওয়ার’-এর প্রবর্তন করেন।
অপটিকসা বা আলোকবিদ্যা : মুসলমানদের দ্বারাই আধুনিক আলোকবিদ্যার শিক্ষার ভিত্তি রচিত হয়েছিল। এক হাজার সালের দিকে বিশ্ববিখ্যাত মুসলিম পদার্থবিদ ইবনে আল হাইছাম প্রমাণ করেন যে, বস্তু থেকে প্রতিফলিত আলো মানুষের চোখে প্রবেশের পরই কেবল মানুষ সে বস্তু দেখতে পায়। তার এ মতবাদ ইউক্লিড ও টলেমির ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দেয়। এ দু’জন বলেছিলেন, চোখের নির্গত আলো দ্বারাই কেবল মানুষ কোনো বস্তু দেখতে পায়। বিশ্ববিখ্যাত মুসলিম পদার্থবিদ ইবনে আল হাইছাম মানুষের চোখের সাথে ক্যামেরার সাদৃশ্যও আবিষ্কার করেন।
হাসপাতাল : আধুনিক বিশ্বে রোগীর চিকিৎসার জন্য যে হাসপাতাল ব্যবস্থা প্রচলিত আছে তা সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা করেন মুসলমানরা। নবম শতকে মিসরে এ হাসপাতাল ব্যবস্থার সূচনা হয়। ১৮৭২ সালে আহমদ ইবনে তুলুন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় মিসরের রাজধানী কায়রোতে। বিনামূল্যে এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হতো। কায়রো থেকেই পরবর্তীতে এ ধরনের হাসপাতাল বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।( তথ্য সহায়িকাঃ http://www.dailysangram.com)
কয়েকজন মুসলিম বিজ্ঞানির নাম জেনে নেই,
জ্যোতির্বিদ
মূল নিবন্ধ: মুসলিম জ্যোতির্বিদ
সিন্দ
ইবন আলী (?-৮৬৪),আলী কুশজী (১৪০৩-১৪৭৪, আহমদ খানি
(১৬৫০-১৭০৭, ইব্রাহিম আল
ফাজারী (?-৭৭৭), মুহাম্মাদ আল ফাজারী (?-৭৯৬ বা ৮০৬, আল খাওয়ারিযমী
, গণিতবিদ (৭৮০-৮৫০, আবু মা'শার আল-বালখী
(৭৮৭-৮৮৬), আল-ফারগানী
(৮০০/ ৮০৫-৮৭৫), আল ফারাবী
(৮৭২-৯৫০),)আবু জাফর আল-খাযিন (৯০০-৯৭১), ওমর খৈয়াম
(১০৪৮-১১৩১),আল মারওয়াজী (৯ ম শতাব্দী,আবু মাহমুদ আল খুজান্দি (৯৪০-১০০০,আবু আল-ওয়াফা আল-বুযজানী(৯৪০-৯৯৮),ইবন ইউনুস
(৯৫০-১০০৯, আল বিরুনী
(৯৭৩-১০৪৮),ইবন সিনা
(৯৮০-১০৩৭, আবু ইসাক ইব্রাহিম আল-জারকালী (১০২৯-১০৮৭),আল-খাযিনী নাসির আল-দীন
তুসী ( ১২০১-১২৮৭, কুতুব আল-দীন আল-শিরাজী (১২৩৬-১৩১১),শামস আল-দীন আল সমারকান্দি (১২৫০-১৩১০,ইবনে আল শাতির (১৩৫০-১৩৭৫, শামস আল-দীন আবু আব্দুল্লাহ আল- খলিযী
(১৩২০-৮০),জামশেদ আল-কাশি (১৩৮০-১৪২৯),উলুগ বেগ
(১৩৯৪-১৪৪৯, তাকি আল-দিনা মুহাম্মদ ইবনে মা'রুফ (১৫২৬-১৫৮৫), হ্যালি অ্যাবনেগেল (১০ ম এবং ১১
শতকের),আবোলফাদল হারাউই (১০ শতকের), মুয়ায়দুল-দীন আল-উর্দী ( ১২০০-১২৬৬ প্রমুখ।
জীববিজ্ঞানী, নিউরোলজিস্ট ও
মনোবিজ্ঞানী
আরও তথ্যের জন্য দেখুন: ইসলামী মানসিক চিন্তাভাবনা
আজিজ সানজার,
নোবেল পুরস্কার
জয়ী প্রথম মুসলিম আহমাদ রেজা দেফর (1948-), ইরানী
ফার্মাসোলজিস্ট ইবনে শিরিন
(654-728) আল-কিন্দি,
সাইকোথেরাপি
ও সংগীত থেরাপিতে অগ্রদূত আলী ইবন সাহল রব্বান আল-তাবারী, মনস্তাত্ত্বিক , ক্লিনিকাল সাইকিয়াট্রিক এবং ক্লিনিকাল সাইকোলজি এর অগ্রদূত আহমেদ ইবনে সাহল আল-বাখি, মানসিক স্বাস্থ্য,জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞান, জ্ঞানীয় থেরাপি, সাইকোফিজিওলজি এবং সাইকোসোমেটিক ঔষধ এর অগ্রগামী আল ফারাবী,
সামাজিক
মনোবিজ্ঞান এবং চেতনার
অগ্রদূত আলী ইবন আব্বাস আল-মাজুসি (হালি আব্বাস), নিউরোআনোটোমি এর অগ্রদূত,
নিউরোবায়োলজি এবং নিউরোফিজিওলজি আবুল কাসিম আল
জাহরাউয়ি , নিউরোসার্জারির অগ্রদূত]
হাসান ইবনে
আল-হাইসাম, নিরক্ষীয় মনোবিজ্ঞান, সাইকোফিজিক্স, ঘটনাবলী এবং ভিজ্যুয়াল ধারনা এর প্রতিষ্ঠাতা আল বিরুনী,
প্রতিক্রিয়া সময় এর অগ্রদূত ইবনে সিনা,
নিউরোসাইকাট্রি, চিন্তা পরীক্ষা, আত্ম-সচেতনতা এবং আত্ম-উপলব্ধির অগ্রদূত ইবনে যুহর,
স্নায়ুবিজ্ঞান
ও নিউরোফার্মাকোলজির
অগ্রদূত ইবনে রুশদ, পারকিনসন রোগের অগ্রদূত ইবনে তুফায়েল,
তবুল রাসা
এবং প্রকৃতি বনাম পুষ্টিকর এর অগ্রদূত সৈয়দ জিয়াউর রহমান, পরিবেশ ফার্মাকোভিলেজেন্সর অগ্রদূত মোহাম্মদ সামির হোসেন, তত্ত্ববিদ, লেখক এবং মুসলিম বিজ্ঞানী।
রসায়নবিদ ও আলকেমিস্ট
খালিদ ইবনে ইয়াজীদ (মৃত্যু ৭০৪ সালে), জাফর আল-সাদিক
(৭০২-৭৬৫, জাবির ইবন
হাইয়ান (৭২১-৮১৫),রসায়ন
এর জনক আব্বাস ইবনে
ফিরনাস (৮১০-৮৮৭), আল-কিন্দি
(৮০১-৮৭৩, আল-মাজ্রিতি
(fl. ১০০৭-১০০৮), ইবনে মিসকওয়াহ (৯৩২-১০৩০), আল বিরুনী
(৯৭৩-১০৪৮), ইবনে সিনা
(৯৮০-১০৩৭, আল-খাজিনী
(fl. ১১১৫-১১৩০), নাসির আল দীন
তুসী (১২০১-১২৭৪),ইবনে খালদুন
(১৩৩।২-১৪০৬, সালিমুজ্জামান সিদ্দিকী (১৮৯৭-১৯৯৪), আল খোয়ারিজমি
(৭৮০-৮৫০), আহমেদ এইচ। জেইয়েল (১৯৪৬-২০১৬),
মিশরীয় রসায়নবিদ এবং
১৯৯৯ সালে রসায়নে নোবেল
পুরস্কার আব্বাস শাফেঈ (১৯৩৭-২০১৬), মোস্তফা এল সাঈদ (১৯৩৩- , আবদুল কাদের খান
(১৯৩৬-, আতাউর রহমান ওমর এম ইয়াহী (১৯৬৫-) সারা আকবর প্রমূখ।
ভূগোল ও ভূতত্ত্ববিদ
আরও তথ্যের জন্য দেখুন: মুসলিম কৃষিবিপ্লব
- আল-মাসুদী, " আরবের হেরোডোটাস", ঐতিহাসিক ভূগোলরের অগ্রদূত, আল-কিন্দি, পরিবেশ বিজ্ঞানের অগ্রদূত ইবনে আল জাজার আল-তামিমি আল-মাসীহি আলী ইবন রিদওয়ান,আল-ইদ্রিসি,আহমেদ ইবনে ফাদলান,আল বিরুনী,ভূ-গণিতের জনক, সাংস্কৃতিক ইতিহাস, এবং প্রথম ভূতত্ত্ববিদ ও নৃবিজ্ঞানী",ইবনে সিনা, আব্দ আল-লতিফ আল-বাগদাদি,ইবনে রুশদ,ইবনে আন নাফীস,ইবনে জুবায়ের,ইবনে বতুতা,ইবনে খালদুন,পিরি রেইস,ইভিলিয়া শেলেবী প্রমুখ।
গণিতবিদ
মাসাতোশি গুন্ডুজ ইকদা (১৩২৬ টোকিও -২৩ আঙ্কারা),কাহিট আরএফ
১৯১০ সেলানিক - ১৯৯৭
ইস্তাম্বুল,আলী কুশজী,আল হজয ইবনে ইউসুফ ইবনে মাতার,খালিদ খালিদ ইবনে ইয়াজীদ (কালিদ),আল খারিজমি
বীজগণিত এবং অ্যালগরিদম
এর জনক,'আবদুল হামিদ ইবনে তুর্ক,আবু আল হাসান ইবনে আলী ক্বালাসদী ( ১৪১২-১৪৮২), সিম্বলিক
অ্যালজেব্রা এর অগ্রদূত,আবু কমিল শুজা ইবনে আসলাম,আল-আব্বাস ইবনে সাইদ আল-জাওয়ারী,আল-কিন্দি,বনু মুসা,
৯ম শতাব্দীর ,জাফর মুহাম্মদ ইবনে মুসা ইবনে শাকির,আহমাদ ইবনে মুসা ইবনে শাকির,আল হাসান ইবনে মুসা ইবনে শাকির,আল-মাহানী,আহমদ ইবনে ইউসুফ,আল-মাজারী,আল বাত্তানী,আল ফারাবী,আল-নায়রিজি,আবু জাফর আল-খাজিন,আবু ' এল-হাসান আল-উকিলিদিসি,আল-সাঘানী,আবু সাহল আল-কুহী,আবু মাহমুদ আল-খুজান্দি,আবু আল-ওয়াফা আল-বুজজনি,ইবনে সাহল,আল-সিজি,ইবনে ইউনূস,আবু নাসর মনসুর,কুশিয়র ইবনে লাব্বান,আল কারজী,হাসান ইবনে
আল-হাইসাম,আল বিরুনী,ইবনে তাহির আল-বাগদাদি,আল-নাসাউ,আল-জয়য়ানি,আবু ইশক ইব্রাহিম আল-জারকালী,আল-মুআতমান ইবনে হুদ,ওমর খৈয়াম,নাসির আল-দিনা
আল-তুসি - ১৩শ শতাব্দীর ফার্সি
গণিতজ্ঞ ও দার্শনিক,উলুগ বেগ, আল-সামওয়াল আল-মাগরিবি (১১৩০-১১৮০) প্রমূখ।
দার্শনিক
পদার্থবিদ
মীমার সিনান
(১৪৮৯-১৫৮৮),জাফর আল-সাদিক,
৮ম শতাব্দী,বনু মুসা,
৯ম শতাব্দীর ,জাফর মুহাম্মদ ইবনে মুসা ইবনে শাকির,আব্বাস ইবনে
ফিরনাস, ৯ম শতাব্দী,আল-সাঘানী
(মৃঃ ৯৯০),হাসান ইবনে
আল-হাইসাম , ১১শ শতাব্দী ইরাকি বিজ্ঞানী, অপটিক্স
এর জনক[২৪] ও পরীক্ষামূলক পদার্থবিদ্যা[২৫] এবং"প্রথম বিজ্ঞানী"
বিবেচনা করা হয়।[২৬],আল বিরুনী,
১১শ শতাব্দী, পরীক্ষামূলক বলবিদ্যা
এ অগ্রগামী],ইবনে সিনা,১১শ শতাব্দী,আল-খাজিনি,
১২শ শতাব্দী,ইবনে রুশদ
, ১২শ শতাব্দী ,আন্দালুসিয়ার
গণিতজ্ঞ, দার্শনিক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ,আল-জাজারী,
১৩শ শতাব্দীর সিভিল
ইঞ্জিনিয়ার,ইবনে আল-শাতের, ১৪শ শতাব্দীর,তাকি-আল-মুহাম্মদ ইবনে মাওরুফ, ১৭শ শতাব্দীর,সাক ডিন মহোমেট, ১৮শ শতাব্দীর,আব্দুস সালাম,
২০ শতকের পাকিস্তানী
পদার্থবিজ্ঞানী, বিজয়ী ১৯৭৯ সালে
নোবেল পুরস্কার,ফজলুর খান,
২০ শতকের বাংলাদেশী
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার,আলী জাওয়ান,
২০ শতাব্দীর আইআর
অ্যানিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী,বিজে হাবিবি,
২0 তম শতাব্দীর ইন্দোনেশিয়ান মহাকাশ প্রকৌশলী ও
সভাপতি,আব্দুল কালাম,
ভারতীয় আণবিক প্রকৌশলী, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং ভারত এর ১১ তম রাস্ট্রপতি,মেহরান কারদার, ইরানী তাত্ত্বিক
পদার্থবিজ্ঞানী,মুনির নঈফ ফিলিস্তিনি-আমেরিকান
কণা পদার্থবিজ্ঞানী,আব্দুল কাদির খান, পাকিস্তানি ধাতববিদ
এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানী,রিয়াজউদ্দীন, পাকিস্তানি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী,সমার মুবারকামান্দ, সামার মুবারকামান্দ, গামার
স্প্রেট্রোস্কোপি এবং লিনিয়ার এক্সিলারেটর এর পরীক্ষামূলক উন্নয়নের জন্য পরিচিত
পাকিস্তানী পরমাণু বিজ্ঞানী,শহীদ হোসেন বোখারী, পাকিস্তানী গবেষক
সমান্তরাল এবং বিতরিত কম্পিউটিং,সুলতান
বাশিরউদ্দীন মাহমুদ, পাকিস্তানী পরমাণু প্রকৌশলী এবং পারমাণবিক পদার্থবিদ,আলি মুশারাফা, মিশরীয় পরমাণু পদার্থবিজ্ঞানী,সামিরা মুসা,
মিশরীয় পরমাণু পদার্থবিদ,মুনির আহমেদ খান, পাকিস্তানী
পরমাণু বিজ্ঞানী,কেরিম কেরিমো, সোভিয়েত স্পেস প্রোগ্রাম এর প্রতিষ্ঠাতা, প্রথম মানব স্পেসফ্লাইট ভস্টক 1
এর পিছনের একজন প্রধান
স্থপতি, এবং প্রথম স্পেস স্টেশন এর প্রধান
স্থপতি।,ফারুক এল-বাজ, নাসা বিজ্ঞানী প্রথম চন্দ্র অবতরণ এর সাথে অ্যাপোলো প্রোগ্রাম জড়িত ছিলেন।,]কামরুন ভাফ
, ইরানী তাত্ত্বিক
পদার্থবিদ এবং স্ট্রিং থিওরিস্ট, প্রমূখ।
ডাক্তার
আলী ইবনে সাহল রাব্বান আল-তাবারী, চিকিৎসা বিশ্বকোষ
এর অগ্রদূত।,ইসহাক বিন আলী আল রাহবি (854-931), পিয়ার রিভিউ এবং মেডিক্যাল পিয়ার রিভিউ এর অগ্রদূত।,আলী ইবনে আব্বাস আল-মাজুসি (মৃঃ ৯৯৪), ধাত্রীবিদ্যা এবং পেরিনেটোলজি
এর অগ্রদূত[],আবুল কাসিম আল
জাহরাউয়ি আধুনিক সার্জারি,
এবং নিউরোসার্জারি
এর জনক,[৫] ক্রনিটোমি,[৩২] হেম্যাটোলজি [৩৩] and ডেন্টাল সার্জারি[৩৪],হাসান ইবনে
আল-হাইসাম চোখের অস্ত্রোপচার ,চাক্ষুষ ব্যবস্থা[৩৫] এবং চাক্ষুষ উপলব্ধি[৩৬] এর অগ্রগামী।,ইবনে সিনা
(৯৮০-১০৩৭) - আধুনিক ঔষধ এর জনক,[৩৭] ইউনানী
ঔষধের প্রতিষ্ঠাতা,[৩৩] পরীক্ষামূলক ঔষধ , প্রমাণ ভিত্তিক ঔষধ, ফার্মাসিউটিকাল বিজ্ঞান, ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি এর অগ্রদূত,[৩৮] অ্যারোমাথেরাপি,[৩৯] পলসোলজি এবং
স্ফগমোলজি,[৪০] এবং একজন দার্শনিক।,ইবনে জুহর
(আভেনজোয়ার) - পরীক্ষামূলক সার্জারির জনক[৪১] এবং পরীক্ষামূলক শারীরবৃত্তীয় , পরীক্ষামূলক শারীরবৃত্তীয়, মানুষের ব্যবচ্ছেদ,
অটোপস
এর অগ্রদূত[৪২] এবং ট্র্যাচোটিমি[৪৩],মেহমেট ওজ
বিখ্যাত আমেরিকান-তুর্কি
হার্ট সার্জন, হেলথ কর্পস
প্রতিষ্ঠাতা ও
চেয়ারম্যান,মোহাম্মদ সামির হোসেন, একজন তাত্ত্বিক [ লেখক এবং অন্যতম মুসলমান বিজ্ঞানী[৪৪]মৃত্যুর উদ্বেগ (মনোবিজ্ঞান) গবেষণা,ইবনে নাফীস (১২১৩–১২৮৮), রিসার্চ্যুটরি
ফিজিওলজি এর জনক, পরীক্ষামূলক শারীরস্থান
পরিচলনের অগ্রগামী] এবং নাফিসিয়ান শারীরস্থান,শারীরবৃত্ত
এর প্রতিষ্ঠাতা,] পালসোলজি এবং
স্পাইগমোলজি[,ফ্রেডেরিক আকবর মাহোমেদ (মৃঃ ১৮৮৪), হাইপারটেনশন
এবং ক্লিনিকাল ট্রায়াল এর গবেষণায়
উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন[৪৯],মুহাম্মদ বি ইউনুস, " আধুনিক ফাইব্রোমালজিয়া দর্শনের
জনক"[
,শেখ মুজাফফর শুকর, মহাশূন্যে জৈবপদার্থ গবেষণা এর অগ্রদূত,আগা (হাকিম) মুহাম্মদ বাকির, ইউনানী
ঔষধের প্রধান, প্রধান চিকিৎসক
মহারাজা,কাশ্মীর,হাকিম সৈয়দ জিল্লুর রহমান - ইউনানী
ঔষধ বিশেষজ্ঞ লেখক এবং বনে সিনা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা, প্রমূখ।
অর্থনীতিবিদ ও সমাজ বিজ্ঞানী
আরও তথ্যের জন্য দেখুন: Islamic economics
in the world
আল বিরুনী
(973–1048), প্রথম নৃবিজ্ঞানী"[১৯] ও Indology এর জনক[৫৬],ইবনে মিসকাওয়াহ (জ. 1030),
অর্থনীতিবিদ,আল মাকরিজি
(1364–1442), অর্থনীতিবিদ,আখতার হামিদ খান,
পাকিস্তানি
সমাজ বিজ্ঞানী; ক্ষুদ্রঋণ
এর অগ্রদূত,মুহাম্মদ ইউনুস,
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী
বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ; pioneer of microfinance,শাহ আব্দুল
হান্নান, দক্ষিণ এশিয়ায়
ইসলামী ব্যাংকের অগ্রদূত,মাহবুব উল হক, পাকিস্তানি
অর্থনীতিবিদ; developer of Human Development Index and founder of Human Development Report[৫৮] প্রমূখ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী
তকিউদ্দিন আল নাভানি প্রমূখ।
এভাবে শত শত নাম
দেওয়া যাবে বিজ্ঞানে যাদের অবদান অপরিসীম। আমি কয়েকজনের নাম তুলে ধরেছি।
এ সম্পর্কে জানতে, কোরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান https://www.youtube.com/watch?v=ludtuXT0S2I&t=1s
পরবর্তী লাইন,
৪) [নবী কি সত্যবাদী কি না সেটা যাচাই করলেই সব মিথ্যা
বেরিয়ে যাবে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মদিনায় ঢুকতে পারবে না দাজ্জাল, আর না কোনো ম’হা’মা’রি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৩১)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মদিনায় ঢুকতে পারবে না দাজ্জাল, আর না কোনো ম’হা’মা’রি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৩১)
অর্থাৎ এখানে
পরিস্কার নবী বলে দিয়েছে - মদিনায় কোন মহামারী ঢুকবে না। আসলেই কি চলুন দেখে আসি -
" করোনায় মৃত ব্যক্তির বয়স ৫৮ বছর। তিনি আফগানিস্তানের নাগরিক। সোমবার রাতে তার স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটলে মদিনার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।"
স্পষ্ট প্রমাণ মদিনায় করোনায় একজন মারা গেছে। তাহলে নবীর কথা মিথ্যা প্রমাণিত । নবীর হাদিস যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে নবী , কোরআন, হাদিস সবই কি মিথ্যা প্রমাণিত হল না ? ]
" করোনায় মৃত ব্যক্তির বয়স ৫৮ বছর। তিনি আফগানিস্তানের নাগরিক। সোমবার রাতে তার স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটলে মদিনার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।"
স্পষ্ট প্রমাণ মদিনায় করোনায় একজন মারা গেছে। তাহলে নবীর কথা মিথ্যা প্রমাণিত । নবীর হাদিস যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে নবী , কোরআন, হাদিস সবই কি মিথ্যা প্রমাণিত হল না ? ]
উত্তরঃ-দাদা পথমে আপনাকে জানতে হবে মহামারী অর্থ কি? একটু পড়লে আপনি জানতে পারতেন। চলুন আমি
জানাচ্ছি,
মহামারী
আভিধানিক অর্থঃ মহামারী /বিশেষ্য পদ/ মড়ক, যে সংক্রামক রোগে বহু লোক
মরে।
পারিভাষিকঃ যে কোন সংক্রামক রোগ যা দ্রুতগতিতে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে
পড়ে এবং অনেক লোককে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়।
মহামারী বলতে কি
বুঝায়?
চলুন দেখি, একটি মহামারী
(গ্রিক ἐπί epi
"উপরে বা উপরে" এবং δῆμος
জনসাধারণ "মানুষ")
সংক্রামক রোগের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে একটি স্বল্প সময়ের মধ্যে, সাধারণত দুই সপ্তাহ বা তার কম সময়ের মধ্যে জনসংখ্যার একটি বৃহৎ সংখ্যক লোককে। উদাহরণস্বরূপ, মেনিংকোকাল ইনফেকশনগুলিতে প্রতি হেক্টর প্রতি 100,000 জন লোকের মধ্যে 15 টির বেশি ক্ষেত্রে আক্রমণের হার একটি মহামারী বলে
মনে করা হয়।(উৎস Encyclopedia Mypedia)
উপরে মহামারীর
বিশ্লেষণ থেকে এটি স্পষ্ট যে সৌদি আরবে এমন কিছু ঘটেনি। আলহামদুলিল্লাহ। আর ভবিষতে
ও ঘটবেনা,
ইন শা আল্লাহ।
আর তাছাড়া
ইনসাইক্লোপিডিয়ার ডেফিনিশন অনুযায়ী সেখানে শেষে মনে হয় উল্লেখ করা হয়েছে যেটি
সন্দেহ থেকে যায়।
এখন আমরা হাদিসে আসলে মহামারি বলতে কি বুঝিয়েছে,
▍মক্কা-মদীনায় কি ‘করোনা’ প্রবেশ করতে পারবে?•
•
বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকের মধ্যেই এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ একটি হাদীছে মক্কা-মদীনায় মহামারী প্রবেশ করবে না মর্মে বক্তব্য এসেছে। অথচ করোনা ভাইরাসের কারণে অন্যান্য জায়গার মতো মক্কা-মদীনার মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শপিং মলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি মক্কা-মদীনা সহ গোটা সঊদী আরবে কারফিউ জারী করা হয়েছে। তাহলে বিষয়টা কী?
রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
عَلَى أَنْقَابِ المَدِينَةِ مَلاَئِكَةٌ لاَ يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ، وَلاَ الدَّجَّالُ
❝মদীনার প্রবেশপথ সমূহে ফেরেশতা প্রহরায় নিয়োজিত। অতএব, মহামারী (الطَّاعُونُ) এবং দাজ্জাল সেখানে প্রবেশ করবে না।❞ [ ছহীহ বুখারী, হা/১৭৫৯; ছহীহ মুসলিম, হা/৩২২০ ]।
সম্মানিত পাঠক!
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন, তার শতভাগ সঠিক ও সত্য; এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। লক্ষ্য করুন! হাদীছটিতে ‘ত্ব‘ঊন’ (الطَّاعُونُ) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। শব্দটির ব্যাখ্যায় ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘ত্ব‘ঊন’ হচ্ছে ঘা-পাঁচড়া, যা বগল, কনুই, হাত, আঙ্গুল সহ সারা শরীরে বের হয়। এর কারণে শরীর ফুলে যায় এবং তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। সেই ঘাগুলো যেন অগ্নিশিখা নিয়ে বেরিয়ে আসে। এর চারপাশে কালো, সবুজ বা লালচে (খয়রী) রং ধারণ করে। এর সাথে হৃৎযন্ত্রের কম্পন ও বমি হয়। [ আল-মিনহাজ, ১৪/২০৪ ]।
ক্বাযী আয়ায রহিমাহুল্লাহও ‘ত্ব‘ঊন’-এর ব্যাখ্যায় ঘা-পাঁচড়ার কথা বলেছেন। [ ইবন হাজার, ফাতহুল বারী, ১০/১৮০ ]।
অন্যান্য আলেম-উলামার পক্ষ থেকেও এমন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। উলামায়ে কেরামের এ ব্যাখ্যা কিন্তু একটি হাদীছের সাথেও মিলে যায়, যেখানে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, ত্ব‘ঊন কী? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, غُدَّةٌ كَغُدَّةِ الْبَعِيرِ ‘উটের ফোঁড়ার মতো ফোঁড়া’ [ মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫১১৮, সনদ ‘জাইয়্যেদ’ ]।
অতএব, ত্ব‘ঊন একটি বিশেষ অসুখ, যার নির্দিষ্ট লক্ষণ ও উপসর্গ রয়েছে। সে কারণে সব মহামারী ‘ত্ব‘ঊন’ নয়।
মহামারীর আরেকটি আরবী হচ্ছে, ‘অবা’ (الْوَبَاء)। তবে, ‘অবা’ শব্দটি নির্দিষ্ট কোনো মহামারীকে বুঝায় না; বরং সব ধরনের মহামারী এর আওতাভুক্ত হতে পারে। হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী রহিমাহুল্লাহ ‘ত্ব‘ঊন’ ও ‘অবা’-এর মধ্যে পার্থক্য করেছেন [ বিস্তারিত দ্রষ্টব্য: ফাতহুল বারী, ১০/১৮০-১৮১ ]।
অতএব, প্রত্যেক ‘ত্ব‘ঊন’ অবা; কিন্তু প্রত্যেক ‘অবা’ ত্ব‘ঊন নয়।
আর মক্কা-মদীনায় যা প্রবেশ করতে পারবে না, তা হচ্ছে ‘ত্ব‘ঊন’; ‘অবা’ নয়। হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী রহিমাহুল্লাহ এমন কথাই বলেছেন। [ ফাতহুল বারী, ১০/১৮০ ]।
বিশ্ববিখ্যাত ফতওয়ার ওয়েবসাইট islamqa–এর ১৩১৮৮৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তরেও একথাই বলা হয়েছে [ লিঙ্ক: https://islamqa.info/ar/answers/131887/ ]।
ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘মক্কা-মদীনায় কখনও ত্ব‘ঊন প্রবেশ করেনি’ [ আযকার, পৃ: ২৭৬ ]।
অতএব, বর্তমান বিশ্বের মরণঘাতি করোনা ভাইরাস মক্কা-মদীনায় প্রবেশ করতে পারে। কারণ করোনা ভাইরাস হচ্ছে ‘অবা’; ‘ত্ব‘ঊন’ নয়। বরং মক্কা-মদীনায় ‘অবা’ (ত্ব‘ঊন ছাড়া অন্যান্য মহামারী) প্রবেশ করেছে।
আবুল আসওয়াদ বলেন,
أَتَيْتُ المَدِينَةَ وَقَدْ وَقَعَ بِهَا مَرَضٌ وَهُمْ يَمُوتُونَ مَوْتًا ذَرِيعًا
একবার আমি মদীনায় আসলাম। সেখানে তখন মহামারী দেখা দিয়েছিলো। এতে ব্যাপকহারে লোক মারা যাচ্ছিলো’…[ ছহীহ বুখারী, হা/২৬৪৩ ]।
🤲 : মহান রব্বুল আলামীন আমাদেরকে বুঝার তাওফীক্ব দান করুন। বর্তমান সঙ্কটময় পরিস্থিতি থেকে তিনি মানবতাকে রক্ষা করুন। আমীন।
اللهم ارفع عنا البلاء والوباء يا أرحم الراحمين.
(islamqa.info)
৫) মুফতি আমির হামজা বলেন - পাঁচ ওয়াক্ত যারা নামাজ পড়ে
তাদের করোনায় ধরবে না। যদি ধরে তাহলে কোরআন মিথ্যা হয়ে যাবে।
"মহামারী রূপ নেয়া
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় এক বাংলাদেশি ইমামের
মৃত্যু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা
সংস্থা এএফপি।"
তার মানে আমির
হামজার কথা অনুযায়ী কোরআন মিথ্যা , তাই নয় কি?
উত্তরঃ- হাস্যকর, আমির হামজা
ইসলামের আবার কে? তার এই কথা আপনি ইসলামের
সাথে সম্পর্ক খোজেন কিভাবে? তার কথাটি
সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। আর তাছাড়া পূর্বের হাদিসে স্পষ্ট যে আযাব মুসলিমদের উপর ও আসবে।
যেটি বাংলাদেশে বহু আলেম প্রতিবাদ করেছে আপনার চোখে বোধ হয় সেটি পড়েনি।
আমির হামজা যে কথা বলেছে কথাটি কোন আলেম সেটি মেনে নেন নি।
৬) এবার আসি কাজী ইব্রাহীমের কথায় - কাজী সাহেব তো কিছুদিন ধরে যে সব বোমা ফাটিয়েছে তা কম বেশী সবাই জানে।
মজার ব্যপার হল তিনিও দেখলাম হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলছে। অর্থাৎ ভন্ডটা এতদিন যা যা বলেছে সব তার মন গড়া মিথ্যাচার।
উত্তরঃ-তার কথা দুই-চারটি নিচ্ছেন আর বাদ বাকি
নিচ্ছেন না কেন? সে তো আরো ইসলামের পক্ষে
হাজারো কথা বলছেন। এখানে বুঝা যাচ্ছে আপনার চরিত্র। যাহোক কাজী ইব্রাহীম এ
ব্যাপারে যে কথা বলেছে তার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। সে যদি মন গড়া কথা বলে
থাকে সেটি তার ব্যাপার।
৭) বর্তমানে ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে নবী থেকে শুরু করে সবাই মানুষকে ঠকিয়েই গেছে। নবী যেহেতু ভুল বলেছে তাই ধর্ম, কোরআন , হাদিস সব মিথ্যা । প্রমাণিত ।
উত্তরঃ- আপনি কাজি ইব্রাহিম বা আমির হামজা কিংবা কোন
বক্তার কথাকে নিয়ে ইসলামকে মিথ্যা প্রমাণ করতে চায়লে সেটি হবে গাজা খোরের ন্যায়
কথা। কারণ ইসলাম চলে কুরআন ও সুন্নাহ দিয়ে। আর রাসুল (সাঃ) এর একটা কথাও আজ
পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণ হয়নি আর হবে ও না। আপনি যে হাদিস টি দিয়ে রাসুল(সাঃ) কে
মিথ্যা প্রমাণ করতে চেয়েছেন সেটি আমি প্রমাণ করে দিয়েছি যে এটি আপনার অজ্ঞতা। আর
একটা হাদিস নিয়ে সব মিথ্যা? কি হাস্যকর আপনার
যুক্তি।
আপনি মিথ্যাচার
করলেন যে নবীরা মানুষকে ঠুকিয়েছেন, পরিতাপের বিষয়
আপনি নবী-রাসুল গণের একটা কথা বা কাজকে তুলে ধরতে পারেন নি যেটি ঠুকানো বুঝাবে।
বরং আপনি মিথ্যারোপ করেছেন আর যেটি বৈশিষ্টহীন মানুষের কাজ। কিয়ামত পর্যন্ত সময়
দেওয়া হলো কুরআন-সুন্নাহ এর একটা মাত্র বিষয় কে ও আপনি বা নাস্তিক কিংবা ইসলাম
বিদ্বেষীরা ভুল প্রমাণ করতে পারবেনা। মিথ্যা অভিযোগ আনা ছাড়া আপনাদের যেহেতু কোন
আর কর্ম নেই এমন কি আপনারা এমন নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানুষ যে নিজের পিতা-মাতার সাথে
সেক্স করতে দ্বিধাবোধ করেন না সেখানে মানুষের নামে মিথ্যাচার করা আপনাদের চরিত্রর
একটা বৈশিষ্ট।
সমাপনিঃ পরিশেষে
বলব, সত্য গ্রহণ করার মতো মানুষিকতা তৈরি করুন, সত্য খুজে পাবেন। বিবেক কে যদি অন্ধকার রাতে
অন্ধকার পাহাড়ের গোহায় একটি ছিদ্রর মধ্যে কালো সাপের ন্যায় রাখেন তাহলে সত্য খুজে
পেতে অনন্ত কাল লাগবে যেটির সময় আপনি পাবেন না। পজিটিভ চিন্তার আহবান জানিয়ে শেষ
করছি।
উইকিপিডিয়া
0 Comments
Thanks for your comment