সর্বশেষ

2/recent/ticker-posts

আত্মহত্যা কেন করবো---!



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে... 

Sadequzzaan Sadik

কিছুদিন আগে আত্মহত্যার উপর এক অনুবাদ সাহিত্য পোস্ট করেছিলাম সেটি আজ-ও আমার বন্ধুদের জন্য রইলো। মনোযোগ দিয়ে পাঠ করুন:
     
আত্মহত্যা কেন করবো---!
জার্মান কবি ও ঔপন্যাসিক Hermann Hesse'র সাথে তার বাবা-মা'র সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত তিক্ত। সম্পর্কের এই তিক্ততা তাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায় যে ১৫বছরের বালক Hesse বেশ-কয়েকবার আত্মহত্যা করতে যান। কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেচে রইলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে আত্মহত্যা করতে গিয়ে বেচে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কার্যকরী এক উদ্দমী শক্তির পুনর্জন্ম ঘটে যেটি তাদেরকে নায়কও বানিয়ে দিতে পারে। Hermann Hesse এমনই একজন নায়ক। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্তের পর 'লেখালেখি' কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন, এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলে ১৯৪৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
পৃথিবীতে দৈবাৎ/অকস্মাৎ কোনো ঘটনার মধ্য দিয়ে মানুষের জন্ম হয়নি, বরং সৃষ্টিকর্তার-- আল্লাহ তায়ালা--- কোনো পরিকল্পনার ফলেই মানুষের আবির্ভাব। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে এমন সক্ষমতা প্রদান করেছেন যে, মানুষের কাজ হচ্ছে তা খুটে-খুটে বের করা এবং সেভাবে কাজ করা যা তাদের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে সুনিপুণভাবে। আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির পরিকল্পনানুসারে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে যেন 'আশা' বিরাজ করে, এবং কোনো ক্রমেই মানুষ 'নৈরাশ্যবাদী/নিরাশাবাদী' হবেনা।
অগণিত-অসংখ্য নিয়ামতরাজী দ্বারা আমাদের পৃথিবী পরিপূর্ণ। যদি কেউ কোনো কিছু করতে ব্যর্থ হয়, তার উচিত হবে উক্ত ব্যর্থতাকে 'চুড়ান্ত' না ভেবে শুধুমাত্র সময়ের কিছু লোকসান হিসেবে ধরে নিবে। এমন অবস্থায় কোনো মানুষের জন্য স্বেচ্ছা মৃত্যু কাম্য নয়। নিজেকে হত্যা করার পরিবর্তে একজন মানুষ যা মেনে চলবে: 
' অপেক্ষা করো, দেখ/ ধৈর্যসহকারে চেয়ে থাক
ভাল ফলাফল বা সফলতা আসবেই '।
( সুতরাং, আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়, পৃথিবীতে অশান্ত পরিবেশ থেকে মুক্তির উপায়ও না বরং নিজের জীবনকে স্বেচ্ছায় নরকে ফেলে দেওয়া।
বিষয়টি আমি অনুবাদ করেছি প্রাণ-প্রিয় Maulana Wahiduddin Khan এর ফেইসবুক পোস্ট থেকে। ইংরেজিতে মূল লেখাটি পড়তে তার Facebook Account পরিদর্শন করুন: Maulana Wahiduddin Khan.)


Post a Comment

0 Comments