মূর্তি ও ভাস্কর্য
লেখাঃ Sadequzzaman Sadik
সম্পাদনাঃ জিয়ানুর রহমান
রকমারি.কম, উদ্ভাস-উত্তরণ এর প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ ভাইকে অনেকেই চেনেন। হার্ডলাইন নাস্তিকদের একজন ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে? আইমান সাদিকের একটি প্রশ্নোত্তরে বলেছিল, এই পৃথিবীতে কিচ্ছু নাই আখেরাত ছাড়া।
লিও তলোস্তয়, মহান এই লেখকের ধারে কাছে কেউ আসতে পারবে? তলোস্তয়ের ধর্ম-প্রীতি দেখে শক্তিমান ছোট গল্পকার আন্তন চেখভ (ধর্মের প্রতি বিশ্বাস নাই বললেই চলে) অভিভূত হতো, চেখভ ভাবতো এত বড় একজন মানুষ (তলোস্তয়) এত বড় লেখক কীভাবে ধর্মের ছায়ায়!
অনুবাদক Saleh Faud এর একটি লেখায় পড়েছিলাম যে, তলোস্তয় তাঁর পকেটে করে শত শত হাদিস নিয়ে ঘুরে বেড়াতো।
কয়দিন আগে আমার চাচা Abdul Malek Sarkar
একটি কথা বলেছিল, বাবা, লিখছো লিখো কিন্তু মনে রাখবা ধর্ম থাকবে ধর্মের যায়গায় তুমি ওলট-পালট হতে পারো, হও কিন্তু ধর্ম যেখানে আছে সেখানেই রাখতে হবে।
প্রফেসর শিশীর ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তিনি লিখলেন, কুরানের তো কোথাও মূর্তির কথা নাই তাহলে আলেমরা তা নিয়ে এত মাতামাতি (হুবহু তার শব্দাবলী লিখলামনা)। আমি মন্তব্য করলাম,
ইসলাম প্রতিষ্ঠিত দুইটি বিষয়ের ওপর কুরাআন, হাদিসের উপর (সৌদিআরব, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর ইত্যাদি এগুলোর নাম আছে এখানে? না। ঐ দুইটি মুসলিমদের দলিল। যেকোনো কিছু একটিতে না থাকলে আরেকটিতে থাকবেই।
আমি সম্পাদক প্রফেসরের জবাব দিচ্ছি, মূর্তিপূজার কথা তো বলাই বাহুল্য, মূর্তি নির্মাণেরও কিছু কিছু পর্যায় এমন রয়েছে যা কুফরী। কেউ কেউ মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে বিধানগত পার্থক্য দেখাতে চান। এটা চরম ভুল। ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই পরিত্যাজ্য। কোরআন মজীদ ও হাদীসে এ প্রসঙ্গে যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোকেই নির্দেশ করে। এ প্রসঙ্গে কোরআন মাজীদের স্পষ্ট নির্দেশ : তোমরা পরিহার করো অপবিত্র বস্তু অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ (সূরা হজ্জ : ৩০)।
এই আয়াতে পরিষ্কারভাবে সব ধরনের মূর্তি পরিত্যাগ করার এবং মূর্তিকেন্দ্রিক সকল কর্মকান্ড বর্জন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আরো লক্ষণীয় বিষয় এই যে, উপরের আয়াতে সকল ধরনের মূর্তিকে ‘রিজস’ শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘রিজ্স’ অর্থ নোংরা ও অপবিত্র বস্তু। বোঝা যাচ্ছে যে, মূর্তির সংশ্রব পরিহার করা পরিচ্ছন্ন ও পরিশীলিত রুচিবোধের পরিচায়ক।
অন্য আয়াতে কাফের সম্প্রদায়ের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে এভাবে : ‘এবং তারা বলেছিল, তোমরা কখনো পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদেরকে এবং কখনো পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ, সুওয়া, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে।’ (সূরা নূহ : ২৩)।
এখানে কাফের সম্প্রদায়ের দুটো বৈশিষ্ট্য উল্লেখিত হয়েছে : ১. মিথ্যা উপাস্যদের পরিত্যাগ না করা। ২. মূর্তি ও ভাস্কর্য পরিহার না করা। তাহলে মিথ্যা উপাস্যের উপাসনার মতো ভাস্কর্যপ্রীতিও কোরআন মাজীদে কাফেরদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত। অতএব এটা যে ইসলামে গর্হিত ও পরিত্যাজ্য তা তো বলাই বাহুল্য।
উপরের আয়াতে উল্লেখিত মূর্তিগুলো সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, এগুলো হচ্ছে নূহ আ.-এর সম্প্রদায়ের কিছু পুণ্যবান লোকের নাম। তারা যখন মৃত্যুবরণ করেছে তখন শয়তান তাদের সম্প্রদায়কে এই কুমন্ত্রণা দিয়েছে যে, তাদের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোতে মূর্তি স্থাপন করা হোক এবং তাদের নামে সেগুলোকে নামকরণ করা হোক। লোকেরা এমনই করল। ওই প্রজন্ম যদিও এই সব মূর্তির পূজা করেনি কিন্তু ধীরে ধীরে প্রকৃত বিষয় অস্পষ্ট হয়ে গেল এবং পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পূজায় লিপ্ত হলো। (সহীহ বুখারী হাদীস : ৪৯২০)।
কোরআন মাজীদে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে পথভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে: ‘ইয়া রব, এরা (মূর্তি ও ভাস্কর্য) অসংখ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে!’ (সূরা ইবরাহীম : ৩৬)। অন্য আয়াতে এসেছে : ‘আর তারা বলেছিল, তোমরা পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদের এবং পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ সুওয়াকে, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে। অথচ এগুলো অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে।’ (সূরা নূহ : ২৩-২৪)।
কোরআন মাজীদে একটি বস্তুকে ভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে এরপর ইসলামী শরীয়তে তা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য থাকবে-এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কী হতে পারে। কোরআনের ভাষায় মূর্তি ও ভাস্কর্য হলো বহুবিধ মিথ্যার উৎস। ইরশাদ হয়েছে : তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে উপাসনা কর (অসার) মূর্তির এবং তোমরা নির্মাণ কর ‘মিথ্যা’। (সূরা আনকাবুত : ১৭)। মূর্তি ও ভাস্কর্য যেহেতু অসংখ্য মিথ্যার উদ্ভব ও বিকাশের উৎস তাই উপরের আয়াতে একে ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই আয়াতগুলো থেকে পরিষ্কার জানা যাচ্ছে যে, মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।(সম্পাদক- তথ্য সহায়িকা https://www.dailyinqilab.com/article/)
‘‘কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে এবং মানুষের মাঝে অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করবে’’।
- বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইল্ম।
এখানে ইল্ম বলতে ইলমে দ্বীন তথা কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান উদ্দেশ্য। তিনি আরো বলেনঃ
إِنَّ اللَّهَ لَا يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ الْعِبَادِ وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ حَتَّى إِذَا لَمْ يُبْقِ عَالِمًا اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالًا فَسُئِلُوا فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا
‘‘আল্লাহ তাআলা মানুষের অন্তর থেকে ইল্মকে টেনে বের করে নিবেন না; বরং আলেমদের মৃত্যুর মাধ্যমে ইল্ম উঠিয়ে নিবেন। এমনকি যখন কোন আলেম অবশিষ্ট থাকবেনা তখন লোকেরা মূর্খদেরকে নেতা হিসাবে গ্রহণ করবে। তাদেরকে কোন মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে বিনা ইলমেই ফতোয়া দিবে। ফলে তারা নিজেরা গোমরাহ হবে এবং মানুষদেরকেও গোমরাহ করবে’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম। (সম্পাদক)
বিশ-ত্রিশ বছর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পড়ার পর ১০/২০ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন তাঁরা কি এক হতে পারে তাদের সাথে ‘যাদের বিদ্যার্জন ধর্মীয় বিদ্যালয়ে হয়নি, ধর্মচর্চা করেনি।?’
আল্লাহ বলছেন, অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।সূরা ইউসুফ, আয়াত: ১০৬
وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُم بِٱللَّهِ إِلَّا وَهُم مُّشْرِكُونَ
এই মানুষরা কারা?
রোলা বার্থের 'Blind and Dump Criticism' প্রবন্ধটি পড়ে দেখলাম, আমরা সমালোচকরা যা করি, যা বুঝিনা, যেসব কিছু বুঝতে অনেক কষ্ট হয় তা খুব সহজেই আমাদের কাছে বাজে হিসেবে গন্য হয়। কিন্তু যা চটকরে বুঝি তাই একমাত্র আদর্শিক কাজ।
ভাইরে, ধর্ম চট করে বোঝা যায়না। ইসলাম যেখানে থাকার সেখানেই আছে, আমরা মানুষেরা ওলট-পালট করি, করার চেষ্টা করি, বক্তারা জানে যে চুক্তি করে টাকা নেওয়া হারাম তবু নেয়, নামাজিরা জানে যে সুদ খাওয়া হারাম তবু খায়, কেউ কেউ লভ্যাংশ হিসেবে চালিয়ে দেয়, কেউ সংগঠন-সমিতি খুলে সুদ খাচ্ছে, নাম দিচ্ছে তা মুনাফা বা লভ্যাংশ।)তাই এ গুলির সাথে কিংবা নিজেকে শয়তানের গুরু ভেবে ইসলামকে নিভানোর পায়তারা করা বোকামি ছাড়া কিছু নয়।
The more you read, the more you learn.
0 Comments
Thanks for your comment