সর্বশেষ

2/recent/ticker-posts

ক্রীতদাসি,যুদ্ধবন্দিনী ও ইসলাম:যৌন সম্পর্কের বৈধতা

#Campúsian-21
#Double_Standard-1
ক্রীতদাসি,যুদ্ধবন্দিনী ও ইসলাম:যৌন সম্পর্কের বৈধতা
বর্বরতার এক নতুন দিগন্ত।
ইসলামকে আক্রমণ করার অন্যতম মোক্ষম অস্ত্র ইসলামবিদ্বেষীদের প্রোপাগাণ্ডা যে ইসলাম ক্রীতদাসি ও যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে যৌন-সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছে বরং ক্রীতদাসি ও যুদ্ধবন্দিনীদের যৌনদাসীতে পর্যবসিত করেছে।এর সম্পর্কে বিস্তারিত না জানার কারণে অনেক ভাই নাস্তিকদের জবাব দিতে গিয়ে থমকে যান।
#⃣ক্রীতদাসির সাথে দৈহিক সম্পর্কের যৌক্তিকতা:#
ইসলামে উপপত্নী ও স্ত্রীর মর্যাদা এক:
ইসলামে উপপত্নী অনেকদিক দিয়েই স্ত্রীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। উপপত্নী সংক্রান্ত অনেক বিধানই স্ত্রীর বিধানের সাথে মিল রেখে করা হয়েছে। নিচে কিছু সাদৃশ্য তুলে ধরা হলো:
💦নিজের স্ত্রীর জন্য যেমন স্বামী ভিন্ন অন্য কারো সাথে শারিরিক সম্পর্ক বৈধ নয়, তেমনি উপপত্নী ক্রীতদাসির জন্য মুনিব ভিন্ন অন্য কোন পুরুষের সাথে শারিরিক সম্পর্ক বৈধ নয়। অর্থাৎ স্ত্রী এবং উপপত্নী উভয়েই একইসাথে কেবলমাত্র একজন পুরুষের সাথে দৈহিক সম্পর্ক রাখতে পারে।
💦কোন পুরুষ বিবাহ-বহির্ভূতভাবে কোন স্বাধীন নারীর সাথে যেমন দৈহিক সম্পর্ক রাখতে পারে না, তেমনি নিজ মালিকাধীন ক্রীতদাসি ভিন্ন অন্য কোন নারীকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণ করতে পারে না। এমনকি নিজ স্ত্রীর মালিকাধীন ক্রীতদাসির সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনকেও ব্যভিচার হিসেবে গন্য করা হয়। [১]
💦একই সাথে দুই সহোদর বোনকে যেমন বিবাহ করা যায় না, তেমনি একই সাথে দুই সহোদর ক্রীতদাসিকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণ করা যায় না।[২]
💦পিতার উপপত্নী ক্রীতদাসির অবস্থান সন্তানদের জন্য নিজের মায়ের মতো। পিতার উপপত্নী ক্রীতদাসি পুত্রের জন্য সেরকমভাবেই হারাম যেভাবে তার আপন মা তার জন্য হারাম। [৩]
💦নিজ স্ত্রীর সন্তান যেমন বৈধ ও স্বীকৃত, তেমনি উপপত্নী ক্রীতদাসির সন্তান ও বৈধ এবং স্বীকৃত।
💦উপপত্নী ক্রীতদাসির সন্তান, স্ত্রীর সন্তানের মতোই মুক্ত সন্তান হিসেবে পরিগণিত হয়।
💦উপপত্নী ক্রীতদাসির সন্তান স্ত্রীর সন্তানদের মতোই পিতার সম্পত্তির উত্তারাধিকারী।
দাসী বিবাহ করার সিস্টেম:
💥নিজ ক্রীতদাসিকে বিবাহ করা: দাসত্বে থাকা অবস্থায় নিজ ক্রীতদাসিকে বিবাহ করা যায় না। কোন মুনিব যদি নিজ ক্রীতদাসিকে বিবাহ করতে চায়, তবে তাকে মুক্ত করে বিবাহ করতে হবে। অর্থাৎ আগে তাকে স্বাধীন করতে হবে, অতঃপর স্বাধীন নারী হিসেবে তাকে বিবাহ করতে হবে। এই ধরণের বিবাহকে ইসলামে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। [৪]
💥অন্যের ক্রীতদাসিকে বিবাহ করা: অন্যের ক্রীতদাসিকে মালিকের অনুমতিক্রমে বিবাহ করা যায়।[৫]
#️⃣#️⃣অবৈবাহিক বা উপবৈবাহিক (concubinage) সিস্টেম:#️⃣#️⃣
উপপত্নী ও উপবৈবাহিক বন্ধন অন্যান্যদের সিস্টেম:
উপবৈবাহিক বন্ধনের (concubinage) ইসলামপূর্ব প্রচলন আগেই ছিল।[সূত্র: উইকিপিডিয়া]
কুরআন অবতরণের অনেক আগে থেকেই উপপত্নী গ্রহণ করা সামাজিক ভাবে স্বীকৃত একটি বিষয় ছিল।
*️⃣প্রাচীন গ্রিসে, উপপত্নী (গ্রিক "pallakis") রাখার প্রচলনের কথা সামান্য লিপিবদ্ধ থাকলেও এথেনিয়ান ইতিহাস জুড়েই তা বিদ্যমান ছিল। hetaera এর কিছু ব্যাখায় বলা হয়, তারা ছিল উপপত্নী যাদের কোন একজন পুরুষের সাথে স্থায়ী সম্পর্ক ছিল।
*️⃣প্রাচীন রোমে ‘উপবিবাহ’ ছিল একটি প্রচলিত প্রতিষ্ঠান যা একজন পুরুষকে স্ত্রীভিন্ন এমন একজন নারীর (concubina, বহুবচনে concubinae) সাথে একটি অলিখিত কিন্তু স্বীকৃত বন্ধনে আবদ্ধ হবার অনুমতি প্রদান করে, যার নিচু সামাজিক মর্যাদা বিবাহের জন্য প্রতিবন্ধক ছিল। ধর্মীয় এবং পারিবারিক সংহতির জন্য হুমকিস্বরূপ না হওয়া অবধি ‘উপবিবাহ’ গ্রহণযোগ্য ছিল। “concubina” বলে পরিচিত হওয়াকে অসম্মানজনক বলে বিবেচনা করা হতো না, কেননা এই উপাধি প্রায়ই সমাধিপ্রস্তরে খোদিত থাকতো।
*️⃣প্রাচীন চীনে, সফল পুরুষরা প্রায়ই একাধিক উপপত্নী প্রতিপালন করতেন- চৈনিক সম্রাটগণ রাখতেন হাজার হাজার।
#️⃣#️⃣উপপত্নী সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি:#️⃣#️⃣
কোন স্বাধীন নারীকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণের কোন সুযোগ ইসলামে নেই।
কিন্তু সমাজে দাসপ্রথা বিদ্যমান থাকলে নিজ ক্রীতদাসিকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণের অনুমতি ইসলামে রয়েছে (বণ্টনকৃত যুদ্ধবন্দিনীও ক্রীতদাসি হিসেবে পরিগণিত)। যে ক্রীতদাসির সাথে তার মুনিব শারিরিক সম্পর্ক স্হাপন করে, সে অন্যান্য ক্রীতদাসি থেকে ভিন্ন হয়ে যায়। এ ধরণের ক্রীতদাসিকে বলা হয় সারিয়্যাহ বা উপপত্নী। আরবী সারিয়্যাহ শব্দটি ‘সির’ হতে আগত যার অর্থ বিবাহ। উপপত্নীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারি পুরুষের কোন বৈবাহিক চুক্তি সম্পাদিত হয় না, কিন্তু সামাজিকভাবে স্বীকৃত এমন একটি বৈধ সম্পর্ক স্থাপিত হয় ইসলাম যার অনুমোদন প্রদান করে।
#⃣#️⃣ এরপরও ক্রীতদাসি এবং যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক কন্ট্রোল করেছে ইসলাম:#️⃣#️⃣
🍀🍀বণ্টন হবার আগে কোন যুদ্ধবন্দিনীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ[৬]
🍀🍀যুদ্ধক্ষেত্রে স্বামীসহ ধৃত যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ।[৭]
🍀🍀যদি যুদ্ধক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েই একসাথে অথবা একজনকে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিধির বাইরে নিয়ে যাবার আগেই অন্যজন যুদ্ধবন্দি/বন্দিনী হিসেবে ধৃত হয়, সেক্ষেত্রে তাদের বিবাহ-বন্ধন অক্ষুন্ন থাকবে, ফলে উক্ত যুদ্ধবন্দিনীর সাথে স্বামী ভিন্ন অন্য কারো দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন অবৈধ হবে। যদি শুধুমাত্র একজন যুদ্ধক্ষেত্রে ধৃত হয়ে ইসলামী সীমানায় পৌঁছে যায়, সেক্ষেত্রে তাদের বিবাহ বন্ধন বিচ্ছিন্ন হিসেবে গণ্য হবে। [৮]
🍀🍀ইদ্দতকাল অতিবাহিত হবার আগে ক্রীতদাসি/যুদ্ধবন্দিনীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ
ক্রীতদাসি ক্রয় করলেই বা বন্টনকৃত যুদ্ধবন্দিনী লাভ করার সাথে সাথেই একজন মুসলিমদের জন্য তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন বৈধ হয়ে যায় না, বরং এক ইদ্দতকাল (তথা একটি মাসিক চক্র) অতিবাহিত হবার আগে তাদের সাথে মিলিত হওয়া নিষিদ্ধ। [এই নিয়ম সেসব ক্রীতদাসি/যুদ্ধবন্দিনীদের জন্য যারা গর্ভবতী নন] [৯]
🍀🍀ক্রয়কৃত ক্রীতদাসি বা বন্টনকৃত যুদ্ধবন্দিনী যদি গর্ভবতী হয়, তবে সন্তান প্রসবের আগে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করা নিষিদ্ধ।[১০]
🍀🍀যদি মুনিবের অনুমতিক্রমে কোন ক্রীতদাসি অন্য কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, সেক্ষেত্রে মুনিবের জন্য উক্ত ক্রীতদাসির সাথে দৈহিক সম্পর্ক তো বটেই এমনকি যৌনাঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করাও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। [১১]
🍀🍀যদি সহোদর দুই বোন কোন ব্যক্তির ক্রীতদাসি হিসেবে থাকে, মুনিব কোন একজনের সাথে দৈহিক সম্পর্কে জড়িত থাকা অবস্থায় অন্য জনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না। [১২]
🍀🍀নিজের মালিকাধীন ক্রীতদাসি ব্যতিত অন্য কারো ক্রীতদাসির সাথে বিবাহ-বহির্ভূত দৈহিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ (এমনকি নিজের স্ত্রীর ক্রীতদাসির সাথেও) এবং তা ব্যভিচার হিসেবে পরিগণিত। [১৩]
#⃣#️⃣ক্রীতদাসির সাথে মুনিবের দৈহিক সম্পর্ককে অনুমোদনের যৌক্তিকতা:#️⃣#️⃣
🍀🍀ক্রীতদাসির জৈবিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিতকরণ
ইসলামে প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের যৌন চাহিদার স্বীকৃতি এবং তা পূরণের বৈধ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একইভাবে ক্রীতদাসদাসিদের যৌন চাহিদা পূরণের বৈধ ব্যবস্থাও ইসলামে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ক্রীতদাসিকে পতিতাবৃত্তিতে নিযুক্ত করার মতো ঘৃণ্য প্রথাকে ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। নিজ ক্রীতদাসিকে শিক্ষদীক্ষা দিয়ে মুক্ত করে বিবাহ করতে উৎসাহিত করেছে। কিন্তু কোন কারণে মুনিব যদি ক্রীতদাসিকে মুক্ত করতে অপারগ হয় সেক্ষেত্রে হয়তো তাকে নিজের সাথে জৈবিক বন্ধনে আবদ্ধ রাখবে (উপপত্নী হিসেবে) অথবা অন্য কারো বিবাহাধীনে দিয়ে দেবে।
অর্থাৎ যে কোন অবস্থায় ক্রীতাদাসির জৈবিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্রীতদাসিকে বিবাহ প্রদানের মাধ্যমেই যেখানে তার জৈবিক চাহিদা পূরণ সম্ভব ছিল সেখানে মুনিবের জন্য ক্রীতাদাসির সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের অধিকার বহাল রাখার যৌক্তিকতা:
↔️মনে রাখতে হবে ইসলাম ক্রীতদাসির সাথে মুনিবের দৈহিক সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটায়নি, বরং দাসপ্রথায় যেখানে ক্রীতদাসি যৌনপণ্যর মতো যার ইচ্ছে তার উপভোগের সামগ্রী ছিল, ইসলাম সেটাকে একজন মাত্র পুরুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছে। সেই পুরুষ হয়তো তার মুনিব অথবা তাকে বিবাহকারী স্বামী।
↔️একজন ক্রীতদাসির জন্য অন্য কোন পুরুষকে বিবাহ করার চেয়ে নিজ মুনিবের সাথে দৈহিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সুবিধা হচ্ছে:
⚛️সন্তানের মুক্তি:দাসপ্রথা অনুসারে একজন মুনিবের ক্রীসদাসির সন্তান (যে উক্ত মুনিবের ঔরসজাত নয়, ক্রীতদাসির স্বামীর সন্তান) উক্ত মুনিবের ক্রীতদাস হিসেবে গণ্য হয়।
⚛️কিন্তু ক্রীতদাসির সন্তান যদি মুনিবের ঔরসজাত হয়, তবে সে উক্ত মুনিবের সন্তান হিসেবে গণ্য হয়। ফলে সে সন্তান স্বাধীন ও পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
⚛️ক্রীতদাসির সামাজিক মর্যাদা ও মুক্তির সুযোগ
আমরা আগেই দেখে এসেছি, ইসলামে মুনিবের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনকারি ক্রীতদাসি তথা উপপত্নী অনেকটাই তার স্ত্রী-সদৃশ।
⚛️ইসলাম মুনিবের সন্তানধারণকারি ক্রীতদাসির সামাজিক মর্যাদাকে নিশ্চিত করার পাশাপাশি মুক্তির একটি পথকেও উন্মুক্ত করেছে:
⚛️ক্রীতাদাসি মুনিবের সন্তান গর্ভে ধারণ করার সাথে সাথে মুনিবের জন্য উক্ত ক্রীতদাসিকে বিক্রয় করা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ফলে উক্ত ক্রীতদাসি মুনিবের পরিবারের স্থায়ী সদস্যে পরিণত হয়। [১৪]
⚛️ক্রীতদাসি মুনিবের সন্তান প্রসব করলে (জীবিত অথবা মৃত) উক্ত ক্রীতদাসি ‘উম ওয়ালাদ’ বা ‘সন্তানের মা’ হিসেবে অভিহিত হয়। সেই সন্তান মুনিবের বৈধ, স্বাধীন সন্তান হিসেবে পরিগণিত হয় এবং পিতার সম্পত্তির ঠিক সেরকম উত্তরাধিকার পায় যেরকম স্ত্রী’র সন্তানরা পেয়ে থাকে।
⚛️মুনিবের মুত্যুর পর ‘উম ওয়ালাদ’ ক্রীতদাসি মুক্ত হয়ে যায়
সূত্র: মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস নং ২১৮৯৪][সূত্র: তিরমিযি, হাদিস নং- ৩৩৯৪]
। [১৫]
কাজেই, দেখা যাচ্ছে ক্রীতদাস প্রথায় ক্রীতদাসির ওপর অনিয়ন্ত্রিত যে যৌনাচারের সুযোগ ছিল, ইসলাম সেটাকে নিয়ন্ত্রিত, মানবিক করে তুলে প্রচলিত উপবৈবাহিক বন্ধনের মাধ্যমে স্ত্রীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, বৈধ ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গিয়ে –
একদিকে ক্রীতদাসির সন্তানকে মুক্ত, বৈধ ও পিতার সম্পত্তির উত্তারিধারী হবার সুযোগ দিয়েছে,
অন্যদিকে ক্রীতদাসিকে দিয়েছে একটি পারবারিক ঠিকানা ও মুক্তির পথ।
পরিশেষ: সমালোচনা করাই যাদের লক্ষ্য তারা সমালোচনা করবেই, কিন্তু চিন্তা ও উপলদ্ধির দ্বার যারা এখনো বন্ধ করেন নাই আশা করি লেখাটি পড়ে স্পর্শকাতর এই বিষয়টি সম্পর্কে তাদের অনেক ভুল ধারণারই অবসান ঘটবে ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে একটা হাদীস দিয়ে পরিসমাপ্তি টানছি!!
আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন তার কর্মচারী তার নিকট উপস্থিত হলে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আমার অধীনস্থ দাসদেরকে তাদের পারিশ্রমিক দিয়েছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, যাও এক্ষুণি তাদের খোরাকি আদায় কর। কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মানুষের গুনাহের জন্য এটাই যথেষ্ট যে, অধীনস্থ দাসকে তার প্রাপ্যাধিকার থেকে বঞ্চিত করা।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, কোনো মানুষের গুনাহের জন্য এটাই যথেষ্ট যে, পাওনাদারের প্রাপ্য হক নষ্ট করা।
[1] সহীহ : মুসলিম ৯৯৬, ইরওয়া ৮৯৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪২৪১, সহীহ আত্ তারগীব ২২৮৭। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
তথ্যসূত্র ও রেফারেন্স:
1⃣প্রাসঙ্গিক অংশ, ৪:২৫]
2⃣(হাদিস)আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৫৯]
3⃣(ফাতাওয়া)মুয়াত্তা মালিক: বুক ২৮, হাদিস নং- ১১২৯
4⃣সূত্র ১৪[তাবারানি’র মু’যাম আল কাবির, হাদিস নং-৪১৪৭]
5⃣(হাদিস)সূত্র: বুখারি, অধ্যায় ৪৬, হাদিস নং-৭২০]
6⃣হাদিস [সূত্র: মুয়াত্তা মালিক, অধ্যায় ২৮, হাদিস নং ১১৩০]
বায়হাকি’র সুনান আল কুবরা, হাদিস নং ১৮৬৮৫]
7⃣৪:২৪, প্রাসঙ্গিক অংশ
8⃣(আইন গ্রন্থ)Chapter II :The Army’s Treatment of the Disbelievers, passage 45, The Shorter Book on Muslim International Law, translated by Mahmood Ahmad Ghazi, মূল: কিতাবুস সিয়ার আস সাগির, লেখক: মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আশ শায়বানী ]
9⃣সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২১৫৮ ]
1⃣0⃣সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২১৫৭ ]
&সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২১৫৮ ]
1⃣1⃣দ্রষ্টব্য: সূত্র-৪]সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং ৪১১৩]
1⃣2⃣ফাতাওয়া)মুয়াত্তা মালিক: বুক ২৮, হাদিস নং- ১১২৯
1⃣3⃣হাদিস আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৫৯]
1⃣4⃣তাবারানি’র মু’যাম আল কাবির, হাদিস নং-৪১৪৭
1⃣5⃣সূত্র: মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস নং ২১৮৯৪][সূত্র: তিরমিযি, হাদিস নং- ৩৩৯৪]
No photo description available.