#Campúsian-46
#Standard-2
#Qn:"হাদীসে আছে মুহাম্মাদ সাঃ পৌত্তলিক দেব-দেবীর উপাসনা করতেন ৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে।
জায়েদ বিন আমর মুহাম্মদ সা কে পৌত্তলিকতা থেকে বিরত থেকে একেশ্বরবাদ চর্চার পরামর্শ দিতেন।
(দ্রষ্টব্য : বোখারি শরিফ, ভলিউম ৭, বুক ৬৭, নম্বর ৪০৭)।
#Ans: আসুন তাহলে দাবির পক্ষে যে রেফারেন্স দিয়েছেন, এবার আসুন সেটা একটু যাচাই করে দেখি।
আবদুল্লাহ হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন তিনি যায়েদ বিন আমর নুফাইল এর সাথে বালদাহ-এর নিকটবর্তী স্থানে সাক্ষাত করেছিলেন এবং এটা ঘটেছিল রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর ওপর ওহি নাযিল হবার আগে। রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়েদ বিন আমর এর সামনে একটি গোস্তের থালা (যেটা পৌত্তলিকরা তাঁকে হাদিয়া দিয়েছিল) পেশ করেছিলেন, কিন্তু যায়েদ তা খেতে অস্বীকৃতি জানান এবং (পৌত্তলিকদের উদ্দেশ্যে) বলেন, “না আমি সেটা ভক্ষণ করি যেটা তোমরা পাথরের বেদি(আনসাব)তে যা জবাই করো, না আমি আল্লাহর নাম ব্যতীত জবাইকৃত কিছু ভক্ষণ করি।”
Narrated ‘Abdullah:
Allah’s Apostle said that he met Zaid bin ‘Amr Nufail at a place near Baldah and this had happened before Allah’s Apostle received the Divine Inspiration. Allah’s Apostle presented a dish of meat (that had been offered to him by the pagans) to Zaid bin ‘Amr, but Zaid refused to eat of it and then said (to the pagans), “I do not eat of what you slaughter on your stone altars (Ansabs) nor do I eat except that on which Allah’s Name has been mentioned on slaughtering.”
[Bukhari Vol.7, Book 67, No.: 407]
#️⃣#️⃣কিছু পয়েন্ট গবেষনা;#️⃣#️⃣
💦💦 পয়েন্ট-১:
এই হাদিসের কোথায় আছে যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পৌত্তলিক দেবদেবীর উপাসনা করতেন? নাকি যায়েদের “না আমি সেটা ভক্ষণ করি যেটা তোমরা পাথরের বেদি(আনসাব)তে যা জবাই করো, না আমি আল্লাহর নাম ব্যতীত জবাইকৃত কিছু ভক্ষণ করি।” – এই বক্তব্য থেকেই উল্টাপাল্টা বক্তব্য দেন।
💦💦 পয়েন্ট-২:
ইংরেজি অনুবাদক ব্র্যাকেটে জানিয়ে দিয়েছেন যায়েদ কথাগুলো পৌত্তলিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সেটা কি তিনি দেখেন নাই?
এখানে ইংরেজি অনুবাদক যে ব্র্যাকেটে “পৌত্তলিকদের উদ্দেশ্যে” কথাটা লিখেছেন সেটা খুবই যুক্তিসংগত কারণে, কারণটা বুঝা যাবে নিচের হাদিস থেকে:
আবদুল্লাহ বিন উমর(রা.) বলেন:
ওহি প্রাপ্তির পূর্বে বালদাহ(উপত্যকার) নিম্নদেশে নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়েদ বিন আমর বিন নুফাইল এর সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। তাঁর সামনে একটি খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল, কিন্তু নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা হতে খেতে অস্বীকৃতি জানান। (অত:পর এটা যায়েদের সামনে পেশ করা হয়) যিনি বলেন, “তোমরা তোমাদের প্রস্তর প্রতিমার নামে যা জবেহ করো, আমি তা ভক্ষণ করি না। আমি আল্লাহর নামে জবেহ করা ছাড়া ভক্ষণ করি না।” যায়েদ বিন আমর কুরাইশদের তাদের পশু জবাইয়ের ব্যাপারে সমালোচনা করতেন এবং বলতেন, “আল্লাহ মেষ সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি এর জন্য আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেছেন এবং তিনি এর জন্য জমিন থেকে ঘাস জন্মিয়েছেন; তথাপি তোমরা একে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে জবাই করো।” তিনি এরূপ বলতেন, কারণ তিনি সেই প্রথা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং সেটাকে ঘৃণ্য মনে করতেন।
Narrated ‘Abdullah bin ‘Umar:
The Prophet met Zaid bin ‘Amr bin Nufail in the bottom of (the valley of) Baldah before any Divine Inspiration came to the Prophet. A meal was presented to the Prophet but he refused to eat from it. (Then it was presented to Zaid) who said, “I do not eat anything which you slaughter in the name of your stone idols. I eat none but those things on which Allah’s Name has been mentioned at the time of slaughtering.” Zaid bin ‘Amr used to criticize the way Quraish used to slaughter their animals, and used to say, “Allah has created the sheep and He has sent the water for it from the sky, and He has grown the grass for it from the earth; yet you slaughter it in other than the Name of Allah. He used to say so, for he rejected that practice and considered it as something abominable.
[Bukhari Vol.5, Book 58, No.: 169]
[হাদিসের প্রাসঙ্গিক অংশটুকু দেওয়া হলো। তবে আগ্রহী পাঠক লিংকে গিয়ে পুরো হাদিসটা পড়ে দেখতে পারেন।]
এতবড় একটা অভিযোগ আনার আগে উনার কি আরো অনুসন্ধান করার দরকার ছিল না? বিশেষ করে যায়েদকে নিয়ে একটা বিখ্যাত হাদিস বুখারিতেই আছে (৫:৫৮:১৬৯) যেটা ইসলামের সমালোচকদের না জানার কোন কারণ নেই, সেখান থেকেই তো বিষয়টা পরিষ্কার হবার কথা।
💦💦 পয়েন্ট-৩:
যদি মেনেও নেই ইংরেজি ব্র্যাকেটে বিশ্বাস করেন না
এই নীতি আনুসারে বুখারির এই (৫:৫৮:১৬৯) হাদিস থেকে যদি (Then it was presented to Zaid) এই অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কথা দাঁড়ায় এরকম-
কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা হতে খেতে অস্বীকৃতি জানান। যিনি বলেন, “তোমরা তোমাদের প্রস্তর প্রতিমার নামে যা জবেহ করো, আমি তা ভক্ষণ করি না। আমি আল্লাহর নামে জবেহ করা ছাড়া ভক্ষণ করি না।”
কাজেই ব্র্যাকেটবন্দি নোট বাদ দিলে অভিযোগ প্রমাণের কোন সুযোগই আর অবশিষ্ট থাকে না।উল্টো আপনাদের মিথ্যাচার আরো ফুটে উঠবে।
🏀🏀 সিদ্ধান্ত:হাদিস দুটোকে একসাথে রাখলে এটা খুবই পরিষ্কার যে-
১. প্রথমে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে গোস্তের থালাটা আসে।
২. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেটা থেকে খেতে অস্বীকৃতি জানান।
৩. এরপর থালাটা যায়েদকে প্রদান করা হয়।
৪. যায়েদও সেটা খেতে অস্বীকার করেন।
৫. এরপর যায়েদ পৌত্তলিকদেরকে (কুরাইশদের) দেবদেবীর নামে পশু জবাই করার জন্য তিরস্কার করেন। বুখারির (৫:৫৮:১৬৯) হাদিস বিষয়টি খুবই স্পষ্ট করেছে এভাবে- “যায়েদ বিন আমর কুরাইশদের তাদের পশু জবাইয়ের ব্যাপারে সমালোচনা করতেন এবং বলতেন,….”
৬. যায়েদ কিছুতেই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তিরস্কার করতে পারেন না, কেননা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়েদের আগে এই খাদ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
কথায় বলে অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী। সত্য অনুসন্ধানের পরিশ্রম লাঘবে কল্পনার আশ্রয় নেওয়া হলে সেটা আর সত্যানুসন্ধান থাকে না, হয়ে যায় কল্পনাবিলাস। এভাবেই বঙ্গীয় নস্টিকগন কল্পনার রং-রস মিশিয়ে সত্যের নামে কল্পকথার কাহিনী ফেঁদে বসেছেন।
#Standard-2
#Qn:"হাদীসে আছে মুহাম্মাদ সাঃ পৌত্তলিক দেব-দেবীর উপাসনা করতেন ৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে।
জায়েদ বিন আমর মুহাম্মদ সা কে পৌত্তলিকতা থেকে বিরত থেকে একেশ্বরবাদ চর্চার পরামর্শ দিতেন।
(দ্রষ্টব্য : বোখারি শরিফ, ভলিউম ৭, বুক ৬৭, নম্বর ৪০৭)।
#Ans: আসুন তাহলে দাবির পক্ষে যে রেফারেন্স দিয়েছেন, এবার আসুন সেটা একটু যাচাই করে দেখি।
আবদুল্লাহ হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন তিনি যায়েদ বিন আমর নুফাইল এর সাথে বালদাহ-এর নিকটবর্তী স্থানে সাক্ষাত করেছিলেন এবং এটা ঘটেছিল রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর ওপর ওহি নাযিল হবার আগে। রাসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়েদ বিন আমর এর সামনে একটি গোস্তের থালা (যেটা পৌত্তলিকরা তাঁকে হাদিয়া দিয়েছিল) পেশ করেছিলেন, কিন্তু যায়েদ তা খেতে অস্বীকৃতি জানান এবং (পৌত্তলিকদের উদ্দেশ্যে) বলেন, “না আমি সেটা ভক্ষণ করি যেটা তোমরা পাথরের বেদি(আনসাব)তে যা জবাই করো, না আমি আল্লাহর নাম ব্যতীত জবাইকৃত কিছু ভক্ষণ করি।”
Narrated ‘Abdullah:
Allah’s Apostle said that he met Zaid bin ‘Amr Nufail at a place near Baldah and this had happened before Allah’s Apostle received the Divine Inspiration. Allah’s Apostle presented a dish of meat (that had been offered to him by the pagans) to Zaid bin ‘Amr, but Zaid refused to eat of it and then said (to the pagans), “I do not eat of what you slaughter on your stone altars (Ansabs) nor do I eat except that on which Allah’s Name has been mentioned on slaughtering.”
[Bukhari Vol.7, Book 67, No.: 407]
#️⃣#️⃣কিছু পয়েন্ট গবেষনা;#️⃣#️⃣
💦💦 পয়েন্ট-১:
এই হাদিসের কোথায় আছে যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পৌত্তলিক দেবদেবীর উপাসনা করতেন? নাকি যায়েদের “না আমি সেটা ভক্ষণ করি যেটা তোমরা পাথরের বেদি(আনসাব)তে যা জবাই করো, না আমি আল্লাহর নাম ব্যতীত জবাইকৃত কিছু ভক্ষণ করি।” – এই বক্তব্য থেকেই উল্টাপাল্টা বক্তব্য দেন।
💦💦 পয়েন্ট-২:
ইংরেজি অনুবাদক ব্র্যাকেটে জানিয়ে দিয়েছেন যায়েদ কথাগুলো পৌত্তলিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সেটা কি তিনি দেখেন নাই?
এখানে ইংরেজি অনুবাদক যে ব্র্যাকেটে “পৌত্তলিকদের উদ্দেশ্যে” কথাটা লিখেছেন সেটা খুবই যুক্তিসংগত কারণে, কারণটা বুঝা যাবে নিচের হাদিস থেকে:
আবদুল্লাহ বিন উমর(রা.) বলেন:
ওহি প্রাপ্তির পূর্বে বালদাহ(উপত্যকার) নিম্নদেশে নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়েদ বিন আমর বিন নুফাইল এর সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। তাঁর সামনে একটি খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল, কিন্তু নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা হতে খেতে অস্বীকৃতি জানান। (অত:পর এটা যায়েদের সামনে পেশ করা হয়) যিনি বলেন, “তোমরা তোমাদের প্রস্তর প্রতিমার নামে যা জবেহ করো, আমি তা ভক্ষণ করি না। আমি আল্লাহর নামে জবেহ করা ছাড়া ভক্ষণ করি না।” যায়েদ বিন আমর কুরাইশদের তাদের পশু জবাইয়ের ব্যাপারে সমালোচনা করতেন এবং বলতেন, “আল্লাহ মেষ সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি এর জন্য আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেছেন এবং তিনি এর জন্য জমিন থেকে ঘাস জন্মিয়েছেন; তথাপি তোমরা একে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে জবাই করো।” তিনি এরূপ বলতেন, কারণ তিনি সেই প্রথা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং সেটাকে ঘৃণ্য মনে করতেন।
Narrated ‘Abdullah bin ‘Umar:
The Prophet met Zaid bin ‘Amr bin Nufail in the bottom of (the valley of) Baldah before any Divine Inspiration came to the Prophet. A meal was presented to the Prophet but he refused to eat from it. (Then it was presented to Zaid) who said, “I do not eat anything which you slaughter in the name of your stone idols. I eat none but those things on which Allah’s Name has been mentioned at the time of slaughtering.” Zaid bin ‘Amr used to criticize the way Quraish used to slaughter their animals, and used to say, “Allah has created the sheep and He has sent the water for it from the sky, and He has grown the grass for it from the earth; yet you slaughter it in other than the Name of Allah. He used to say so, for he rejected that practice and considered it as something abominable.
[Bukhari Vol.5, Book 58, No.: 169]
[হাদিসের প্রাসঙ্গিক অংশটুকু দেওয়া হলো। তবে আগ্রহী পাঠক লিংকে গিয়ে পুরো হাদিসটা পড়ে দেখতে পারেন।]
এতবড় একটা অভিযোগ আনার আগে উনার কি আরো অনুসন্ধান করার দরকার ছিল না? বিশেষ করে যায়েদকে নিয়ে একটা বিখ্যাত হাদিস বুখারিতেই আছে (৫:৫৮:১৬৯) যেটা ইসলামের সমালোচকদের না জানার কোন কারণ নেই, সেখান থেকেই তো বিষয়টা পরিষ্কার হবার কথা।
💦💦 পয়েন্ট-৩:
যদি মেনেও নেই ইংরেজি ব্র্যাকেটে বিশ্বাস করেন না
এই নীতি আনুসারে বুখারির এই (৫:৫৮:১৬৯) হাদিস থেকে যদি (Then it was presented to Zaid) এই অংশটুকু বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কথা দাঁড়ায় এরকম-
কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা হতে খেতে অস্বীকৃতি জানান। যিনি বলেন, “তোমরা তোমাদের প্রস্তর প্রতিমার নামে যা জবেহ করো, আমি তা ভক্ষণ করি না। আমি আল্লাহর নামে জবেহ করা ছাড়া ভক্ষণ করি না।”
কাজেই ব্র্যাকেটবন্দি নোট বাদ দিলে অভিযোগ প্রমাণের কোন সুযোগই আর অবশিষ্ট থাকে না।উল্টো আপনাদের মিথ্যাচার আরো ফুটে উঠবে।
🏀🏀 সিদ্ধান্ত:হাদিস দুটোকে একসাথে রাখলে এটা খুবই পরিষ্কার যে-
১. প্রথমে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে গোস্তের থালাটা আসে।
২. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেটা থেকে খেতে অস্বীকৃতি জানান।
৩. এরপর থালাটা যায়েদকে প্রদান করা হয়।
৪. যায়েদও সেটা খেতে অস্বীকার করেন।
৫. এরপর যায়েদ পৌত্তলিকদেরকে (কুরাইশদের) দেবদেবীর নামে পশু জবাই করার জন্য তিরস্কার করেন। বুখারির (৫:৫৮:১৬৯) হাদিস বিষয়টি খুবই স্পষ্ট করেছে এভাবে- “যায়েদ বিন আমর কুরাইশদের তাদের পশু জবাইয়ের ব্যাপারে সমালোচনা করতেন এবং বলতেন,….”
৬. যায়েদ কিছুতেই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তিরস্কার করতে পারেন না, কেননা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়েদের আগে এই খাদ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
কথায় বলে অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী। সত্য অনুসন্ধানের পরিশ্রম লাঘবে কল্পনার আশ্রয় নেওয়া হলে সেটা আর সত্যানুসন্ধান থাকে না, হয়ে যায় কল্পনাবিলাস। এভাবেই বঙ্গীয় নস্টিকগন কল্পনার রং-রস মিশিয়ে সত্যের নামে কল্পকথার কাহিনী ফেঁদে বসেছেন।