#Campúsian-32
#Misleading-1
#Cm: ইসলামে নারী হলো পুরুষের ভোগ্য পণ্য। কেননা একদিকে যেমন পুরুষের বহুবিবাহের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে, অপরদিকে নারীকে তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি যে নারীর সাথে কোন পুরুষ দুনিয়াতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিল সে নারী বেহেশতে তার সাথে অবস্থান করতে পারবে না। দুনিয়াতে একজন নারী স্বামীর চুক্তিভিত্তিক দাসী হয়ে জীবন যাপন করে ঠিকই কিন্তু আখিরাতে ইসলাম তাকে কোন মর্যাদাই প্রদান করে নি।
.
“বেহেশত পুরুষের বিলাসস্থল, সেখানে পার্থিব নারী বা স্ত্রীদের স্থান নেই। পৃথিবীতে তারা চুক্তিবদ্ধ দাসী স্বর্গে তারা অনুপস্থিত বা উপেক্ষিত। ইসলামী আইনে নারীকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এই দৃষ্টিকোণ থেকেই”। [১]
.
#Rft: এখন চলুন আমরা দেখি ইসলাম এই ব্যাপারে সত্যিই কি বলেছে। দুনিয়ার নারীরা কি বেহেশতে তাদের স্বীয় স্বামীদের সাথে অবস্থান করতে পারবে? নাকি পারবে না?
এই বিষয়ে মহান আল্লাহ তার কালামে মাজীদে অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলেন,
جَنَّاتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا وَمَن صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۖ وَالْمَلَائِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِم مِّن كُلِّ بَابٍ [١٣:٢٣] سَلَامٌ عَلَيْكُم بِمَا صَبَرْتُمْ ۚ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ [١٣:٢٤]
“স্থায়ী জান্নাত; যাতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নী, ও সন্তান-সন্তুতিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করেছে তারাও এবং ফিরিশতাগণ তাদের নিকট প্রবেশ করবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে। এবং বলবেঃ তোমরা ধৈর্য ধারণ করেছ বলে তোমাদের প্রতি শান্তি, কত উত্তম এই পরিণাম”। [২]
.
ঈমাম ইবনু কাসীর (র.) এই আয়াতের তাফসীরে তার স্বীয় গ্রন্থে অত্যন্ত পরিষ্কার করেই লিখেছেনঃ
“সেই উত্তম পরিণাম এবং উত্তম ঘর হচ্ছে জান্নাত, যা অবিনশ্বর ও চিরস্থায়ী। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, জান্নাতে একটি প্রাসাদের নাম ‘আদন’। তাতে মিনার ও কক্ষ রয়েছে। তাতে রয়েছে পাঁচ হাজার দরজা। প্রত্যেক দরজার উপর পাঁচ হাজার ফিরিশতা। ঐ প্রাসাধটি নবী,সিদ্দিক ও শহীদদের জন্যে নির্দিষ্ট। যাহহাক (র.) বলেন যে, এটা জান্নাতের শহর। এতে থাকবেন নবীগণ শহীদগণ এবং হিদায়াতের ঈমামগণ। তাদের আশে পাশে অন্যান্য লোকেরা থাকবেন। ওর চতুর্দিকে অন্যান্য বেহেশত রয়েছে। ওখানে তারা তাদের প্রিয় জনকেও তাদের সাথে দেখতে পাবে। তাদের সাথে থাকবে তাদের মু’মিন পিতা, মাতামহ,পুত্র, পৌত্র, স্ত্রী ইত্যাদি আত্নীয় স্বজন। তারা সুখে শান্তিতে অবস্থান করবেন এবং তাদের চক্ষুগুলি ঠাণ্ডা হবে। এমনি তাদের মধ্যে কারো কারও আমল যদি তাকে ঐ উচ্চ মর্যাদায় পৌছাবার যোগ্যতা নাও রাখে, তবুও আল্লাহ্ তাআলা তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন এবং ঐ উচ্চ মর্যাদায় পৌছিয়ে দিবেন ............ তাদেরকে মুবারকবাদ ও সালাম জ্ঞাপনের জন্যে সদাসর্বদা প্রত্যেকটি দরজা দিয়ে ফিরিশতাগণ যাতায়াত করবেন। এটাও আল্লাহ্ তাআলার একটি নিয়ামত। এর ফলে তারা সবসময় খুশী থাকবেন এবং সুসংবাদ শুনবেন। এটা ফেরেশতাদের সৌভাগ্যের কারণ যে, তারা শান্তির ঘরে নবী, সিদ্দীক ও শহীদদের সংস্পর্শে থাকতে পাবেন। এতে তারা নিজেদের জীবনকে ধন্য মনে করবেন।[৩]
.
মুফতি মুহাম্মাদ শফী (র.) এই আয়াতের তাফসীরে তার স্বীয় গ্রন্থে বলেনঃ
“এরপর তাদের জন্য আরও একটি পুরস্কার উল্লেখ করা হয়েছে। তা এই যে আল্লাহ্ তাআলার এই নিয়ামত শুধু তাদের ব্যক্তিসত্বা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং তাদের বাপ দাদা, স্ত্রী-সন্তানেরাও এর অংশ পাবে। শর্ত এই যে তাদের উপযুক্ত হতে হবে। এর নুন্যতম স্তর হচ্ছে মুসলমান হওয়া। উদ্দেশ্য এই যে, তাদের বাপ দাদা ও স্ত্রীদের নিজস্ব আমলও যদি এ স্তরে পৌছার যোগ্য নয়; কিন্তু আল্লাহ্ প্রিয় বান্দাদের খাতিরে ও বরকতে তাদেরকেও এই উচ্চ স্তরে পোছিয়ে দেয়া হবে ।
এর পর আরও একটি পরকালীন সাফল্য বর্ণনা করা হয়েছে যে, ফিরিশতারা তাদের সালাম করতে প্রত্যেক দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে এবং বলবেঃ সবরের কারণে তোমরা যাবতীয় দুঃখ কষ্ট থেকে নিরাপত্তা লাভ করেছ। এটা পরকালের কতই না উত্তম পরিণাম”।[৪]
.
আমরা আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরেকটি আয়াত উল্লেখ করছি। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُم مِّنْ عَمَلِهِم مِّن شَيْءٍ ۚ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ [٥٢:٢١]
“এবং যারা ঈমান আনে আর তাদের সন্তান সন্তুতি ঈমানে তাদের অনুগামী হয়, তাদের সংগে মিলিত করব তাদের সন্তান সন্তুতিকে এবং তাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করবো না; প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী”।[৫]
এখন চলুন এই আয়তটিরও তাফসীর দেখে নিই। ঈমাম ইবনু কাসীর (রাহি.) এই আয়াতের তাফসীরে লিখেছেনঃ
“আল্লাহ্ তাবারক ওয়া তাআলা স্বীয় ফযল ও করম এবং স্নেহ ও করুণার বর্ণনা দিচ্ছেন যে সব মুমিনের বাপ দাদারা ঈমানের ব্যাপারে বাপ দাদাদের অনুসারী হয় কিন্তু সৎ কর্মের ব্যাপারে তাদের পিতৃপুরুষের সমতুল্য হয় না, আল্লাহ্ তায়ালা তাদের সৎ আমলকে বাড়িয়ে দিয়ে তাদের পূর্বপুরুষ দের সমপর্যায়ে পৌছিয়ে দিবেন, যাতে পূর্বপুরুষরা তাদের উত্তরসূরীদেরকে তাদের পার্শ্বে দেখে শান্তি লাভ করতে পারে। আর উত্তসূরীরাও যেন পূর্বসূরিদের পার্শ্বে থাকতে পেরে সুখী হতে পারে। মুমিনদের আমল কমিয়ে দিয়ে যে, তাদের সন্তানদের আমল বাড়িয়ে দেয়া হবে তা নয়, বরং অনুগ্রহশীল ও দয়ালু আল্লাহ্ তার পরিপূর্ণ ভাণ্ডার হতে তা দান করবেন। এই বিষয়ে মারফু’ হাদিসও আছে। অন্য একটি রিওয়াইতে আছে যে, জান্নাতীরা যখন জান্নাতে চলে যাবে এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তানদেরকে সেখানে দেখতে পাবে না তখন তারা আরয করবেঃ হে আল্লাহ্ ! তারা কোথায়? উত্তরে আল্লাহ্ তাআলা বলবেনঃ তারা তোমাদের মর্যাদায় পৌছাতে পারে নি। তারা তখন বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তো নিজেদের জন্যে ও সন্তানদের জন্যে নেক আমল করেছিলাম! তখন মহান আল্লাহর নির্দেশক্রমে এদেরকেও ওদের সমমর্যাদায় পৌছিয়ে দেয়া হবে।
এও বর্ণিত আছে যে, জান্নাতীদের যেসব সন্তান ঈমান আনয়ন করেছে তাদেরকে তো তাদের সাথে মিলিত করা হবেই, এমনকি তাদের যেসব সন্তান শৈশবেই মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকেও তাদের কাছে পৌছিয়ে দেয়া হবে”। [৬]
.
এর পর আরেকটি আয়াত উল্লেখ করছি, একটু মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করুণ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
ادْخُلُوا الْجَنَّةَ أَنتُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُونَ [٤٣:٧٠ ]
“তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দের জান্নাতে প্রবেশ কর”। [৭]
.
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ঈমাম ইবনু কাসীর (র.) অত্যন্ত পরিষ্কার করেই লিখেছেনঃ
“ইরশাদ হচ্ছে কিয়ামতে দিন মুত্তাকীদের বলা হবে, হে আমার বান্দাগন! আজ তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না- যা আমার আয়াতে বিশ্বাস করেছিলে এবং আত্ন সমর্পণ করেছিলে- তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। এটা হলো তোমাদের ঈমান ও ইসলামের প্রতিদান। অর্থাৎ ভিতরে বিশ্বাস ও পূর্ণ প্রত্যয়, আর বাইরে শরীয়তের উপর আমল।
.
মু’তামার ইবনে সুলাইমান (রা.) স্বীয় পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, কিয়ামতের দিন যখন মানুষ নিজ নিজ কবরে উত্থিত হবে তখন সবাই অশান্তি ও ভীত সন্ত্রস্ত থাকবে। তখন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা (আল্লাহর বাণী) করবেঃ হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নাই এবং দুঃখিতও হবে না তোমরা। এ ঘোষণা শুনে সবাই খুশী হয়ে যাবে কারণ এটাকে সাধারণ ঘোষণা মনে করবে। এরপর আবার ঘোষণা করা হবেঃ যারা আমার আয়াত বিশ্বাস করেছিলে এবং আত্ন সমর্পণ করেছিলে। এ ঘোষণাটি শুনে খাটি ও পাকা মুসলমান ছাড়া অন্যান্য সবাই নিরাশ হয়ে যাবে। অতঃপর ইহাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মীরা সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর।.................. আবু হোরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সর্ব নিম্ন শ্রেণীর জান্নাতির সাততলা প্রাসাধ হবে সে ষষ্ঠ তলায় অবস্থান করবে এবং সপ্তম তলাটি তার উপরে থাকবে। তার ত্রিশজন খাদেম থাকবে যারা সকাল সন্ধ্যায় স্বর্ণ নির্মিত তিনশটি পাত্রে তার জন্যে খাদ্য পরিবেশন করবে। ........................ আয়ত চক্ষু বিশিষ্ট হুরদের মধ্য হতে তার বাহাত্তরটি স্ত্রী থাকবে এবং দুনিয়ায় স্ত্রী পৃথকভাবে থাকবে। তাদের মধ্যে এক জন এক এক মাইল জায়গার মধ্যে বসে থাকবে। সাথে সাথে তাদেরকে বলা হবেঃ তোমাদের এই নিয়ামত চিরস্থায়ি থাকবে। আর তোমরাও হবে স্থায়ী। অর্থাৎ কখনো এখান হতে বের হবে না এবং এটা হতে স্থানান্তর কামনা করবে”। [৮]
.
আমরা উপর্যুক্ত আলোচনার দ্বারা আমরা এটা অত্যন্ত পরিষ্কার ভাবেই বুঝতে পারি যে, যেসব নেককার স্বামীরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাদের নেককার স্ত্রীরাও তাদের সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আরও অবাক করার বিষয় হল তাদের দুনিয়ার স্ত্রীরা যদি তাদের সমপর্যায়ে পৌছাতে নাও পারে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নিজ অণুগ্রহে তাদের স্ত্রীদেরকে তাদের সম পর্যায়ের করে দিবেন এবং নেককার স্বামী ও স্ত্রীরা একসাথে জান্নাতে বিচরণ করবে।
.
শুধু তাই নয় জান্নাতী হুদের চেয়ে এই দুনিয়ার পুণ্যবতী স্ত্রীর জায়গা আলাদা সম্মানজনক জায়গায় হবে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল আল্লাহ তাবারক ওয়া তাআলা নিজ অণুগ্রহে তাদের সন্তান সন্তুতিসহ তাদের বাবা-মা, দাদা-দাদী ,পৌত্রদেরকেও তাদের সমপর্যায়ে পৌছার ব্যবস্থা করে দিবেন এবং তাদের সবাইকে এক সাথে থাকার সুযোগ করে দেবেন।
.
কাজেই এটা আমাদের কাছে দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার যে ইসলাম কখনো নারীদেরকে কখনোই চুক্তিবদ্ধ দাসী বানায়নি বরং দুনিয়াতে নারীকে পুরুষের অর্ধাঙ্গ বানিয়েছে, ঠিক তেমনি ভাবে আখিরাতেও আল্লাহ তার নিজ অণুগ্রহে নেককার স্বামী ও স্ত্রীকে একত্রে জান্নাতে থাকার ব্যাবস্থা করেছেন। ইসলাম একজন নারীকে যেমন দুনিয়াতে তার স্বামীর কাছ থেকে তার অধিকারকে সমুন্নত রাখার ব্যাবস্থা করেছে। সেই সাথে সাথে ইসলাম আখিরাতেও নারীকে তার উপযুক্ত মর্যাদার আসনে আসীন করেছে।
.
নাস্তিকদের অযথা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন কোন প্রমাণ ছাড়াই। আর প্রকৃতপক্ষে এটাই নাস্তিকদের বৈশিষ্ট্য; কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া অযথা ধারণার বশবর্তী হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা। তাই আমরা নাস্তিকদের উদ্দেশ্যে বলল, আপনারা ইসলাম নিয়ে পড়শুনা করুন। যদি তা করতে অক্ষম হন তো উলামায়ে কেরামের শরণাপন্ন হোন। না বুঝে, না জেনে, পড়াশুনা না করেই ইসলামের বিরুদ্ধে কলম ধরতে নেমে যাবেন না। এতে হীতের বিপরীত হবে। আর পাশাপাশি আপনাদের অজ্ঞতা ও মূর্খতা মানুষের সামনে স্পষ্ট হবে।
তথ্যসূত্রঃ
1️⃣[হুমায়ুন আজাদ,নারী, অধ্যায়ঃ- পিতৃতন্ত্রের খড়কঃ আইন বা বিধিবিধান ; পৃষ্ঠাঃ-৮৪; (আগামী প্রকাশনী,৩৬ বাংলাবাজার ঢাকা-১১০০,৩য় সংস্করণ,ষষ্ঠদশ মূদ্রণ, বৈশাখ ১৪১৯,মে ২০০৯)] ।
2️⃣(সূরা আর-রদঃ- ২৩-২৪ আয়াত)।
3️⃣ইবনু কাসীর, ইসমাঈল ইবনু উমার, তাফসীরুল কোরআনীল আযীম, ১২/২৯৬ ।
4️⃣মুহাম্মাদ শফী, পবিত্র কোরআনুল কারীমঃ বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর, পৃষ্ঠাঃ- ৭০৪; (খাদেমুল হারামাইন শরীফাইন বাদশাহ ফাহদ কোরআন মুদ্রন কমপ্লেক্স,কতৃক সংরক্ষিত)।
5️⃣ (সূরা আত-তুরঃ ২১ আয়াত)।
6️⃣ইবনু কাসীর, ইসমাঈল ইবনু উমার, তাফসীরুল কোরআনীল আযীম, ১৭/১২০-১২১;
7️⃣(সূরা আদ-দুখানঃ ৭০ আয়াত।)
8️⃣ইবনু কাসীর, ইসমাঈল ইবনু উমার, তাফসীরুল কোরআনীল আযীম, ১৬/৫৯৭-৫৯৮ ।
#Misleading-1
#Cm: ইসলামে নারী হলো পুরুষের ভোগ্য পণ্য। কেননা একদিকে যেমন পুরুষের বহুবিবাহের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে, অপরদিকে নারীকে তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি যে নারীর সাথে কোন পুরুষ দুনিয়াতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিল সে নারী বেহেশতে তার সাথে অবস্থান করতে পারবে না। দুনিয়াতে একজন নারী স্বামীর চুক্তিভিত্তিক দাসী হয়ে জীবন যাপন করে ঠিকই কিন্তু আখিরাতে ইসলাম তাকে কোন মর্যাদাই প্রদান করে নি।
.
“বেহেশত পুরুষের বিলাসস্থল, সেখানে পার্থিব নারী বা স্ত্রীদের স্থান নেই। পৃথিবীতে তারা চুক্তিবদ্ধ দাসী স্বর্গে তারা অনুপস্থিত বা উপেক্ষিত। ইসলামী আইনে নারীকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এই দৃষ্টিকোণ থেকেই”। [১]
.
#Rft: এখন চলুন আমরা দেখি ইসলাম এই ব্যাপারে সত্যিই কি বলেছে। দুনিয়ার নারীরা কি বেহেশতে তাদের স্বীয় স্বামীদের সাথে অবস্থান করতে পারবে? নাকি পারবে না?
এই বিষয়ে মহান আল্লাহ তার কালামে মাজীদে অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলেন,
جَنَّاتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا وَمَن صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۖ وَالْمَلَائِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِم مِّن كُلِّ بَابٍ [١٣:٢٣] سَلَامٌ عَلَيْكُم بِمَا صَبَرْتُمْ ۚ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ [١٣:٢٤]
“স্থায়ী জান্নাত; যাতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নী, ও সন্তান-সন্তুতিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করেছে তারাও এবং ফিরিশতাগণ তাদের নিকট প্রবেশ করবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে। এবং বলবেঃ তোমরা ধৈর্য ধারণ করেছ বলে তোমাদের প্রতি শান্তি, কত উত্তম এই পরিণাম”। [২]
.
ঈমাম ইবনু কাসীর (র.) এই আয়াতের তাফসীরে তার স্বীয় গ্রন্থে অত্যন্ত পরিষ্কার করেই লিখেছেনঃ
“সেই উত্তম পরিণাম এবং উত্তম ঘর হচ্ছে জান্নাত, যা অবিনশ্বর ও চিরস্থায়ী। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, জান্নাতে একটি প্রাসাদের নাম ‘আদন’। তাতে মিনার ও কক্ষ রয়েছে। তাতে রয়েছে পাঁচ হাজার দরজা। প্রত্যেক দরজার উপর পাঁচ হাজার ফিরিশতা। ঐ প্রাসাধটি নবী,সিদ্দিক ও শহীদদের জন্যে নির্দিষ্ট। যাহহাক (র.) বলেন যে, এটা জান্নাতের শহর। এতে থাকবেন নবীগণ শহীদগণ এবং হিদায়াতের ঈমামগণ। তাদের আশে পাশে অন্যান্য লোকেরা থাকবেন। ওর চতুর্দিকে অন্যান্য বেহেশত রয়েছে। ওখানে তারা তাদের প্রিয় জনকেও তাদের সাথে দেখতে পাবে। তাদের সাথে থাকবে তাদের মু’মিন পিতা, মাতামহ,পুত্র, পৌত্র, স্ত্রী ইত্যাদি আত্নীয় স্বজন। তারা সুখে শান্তিতে অবস্থান করবেন এবং তাদের চক্ষুগুলি ঠাণ্ডা হবে। এমনি তাদের মধ্যে কারো কারও আমল যদি তাকে ঐ উচ্চ মর্যাদায় পৌছাবার যোগ্যতা নাও রাখে, তবুও আল্লাহ্ তাআলা তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন এবং ঐ উচ্চ মর্যাদায় পৌছিয়ে দিবেন ............ তাদেরকে মুবারকবাদ ও সালাম জ্ঞাপনের জন্যে সদাসর্বদা প্রত্যেকটি দরজা দিয়ে ফিরিশতাগণ যাতায়াত করবেন। এটাও আল্লাহ্ তাআলার একটি নিয়ামত। এর ফলে তারা সবসময় খুশী থাকবেন এবং সুসংবাদ শুনবেন। এটা ফেরেশতাদের সৌভাগ্যের কারণ যে, তারা শান্তির ঘরে নবী, সিদ্দীক ও শহীদদের সংস্পর্শে থাকতে পাবেন। এতে তারা নিজেদের জীবনকে ধন্য মনে করবেন।[৩]
.
মুফতি মুহাম্মাদ শফী (র.) এই আয়াতের তাফসীরে তার স্বীয় গ্রন্থে বলেনঃ
“এরপর তাদের জন্য আরও একটি পুরস্কার উল্লেখ করা হয়েছে। তা এই যে আল্লাহ্ তাআলার এই নিয়ামত শুধু তাদের ব্যক্তিসত্বা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং তাদের বাপ দাদা, স্ত্রী-সন্তানেরাও এর অংশ পাবে। শর্ত এই যে তাদের উপযুক্ত হতে হবে। এর নুন্যতম স্তর হচ্ছে মুসলমান হওয়া। উদ্দেশ্য এই যে, তাদের বাপ দাদা ও স্ত্রীদের নিজস্ব আমলও যদি এ স্তরে পৌছার যোগ্য নয়; কিন্তু আল্লাহ্ প্রিয় বান্দাদের খাতিরে ও বরকতে তাদেরকেও এই উচ্চ স্তরে পোছিয়ে দেয়া হবে ।
এর পর আরও একটি পরকালীন সাফল্য বর্ণনা করা হয়েছে যে, ফিরিশতারা তাদের সালাম করতে প্রত্যেক দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে এবং বলবেঃ সবরের কারণে তোমরা যাবতীয় দুঃখ কষ্ট থেকে নিরাপত্তা লাভ করেছ। এটা পরকালের কতই না উত্তম পরিণাম”।[৪]
.
আমরা আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরেকটি আয়াত উল্লেখ করছি। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُم مِّنْ عَمَلِهِم مِّن شَيْءٍ ۚ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ [٥٢:٢١]
“এবং যারা ঈমান আনে আর তাদের সন্তান সন্তুতি ঈমানে তাদের অনুগামী হয়, তাদের সংগে মিলিত করব তাদের সন্তান সন্তুতিকে এবং তাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করবো না; প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী”।[৫]
এখন চলুন এই আয়তটিরও তাফসীর দেখে নিই। ঈমাম ইবনু কাসীর (রাহি.) এই আয়াতের তাফসীরে লিখেছেনঃ
“আল্লাহ্ তাবারক ওয়া তাআলা স্বীয় ফযল ও করম এবং স্নেহ ও করুণার বর্ণনা দিচ্ছেন যে সব মুমিনের বাপ দাদারা ঈমানের ব্যাপারে বাপ দাদাদের অনুসারী হয় কিন্তু সৎ কর্মের ব্যাপারে তাদের পিতৃপুরুষের সমতুল্য হয় না, আল্লাহ্ তায়ালা তাদের সৎ আমলকে বাড়িয়ে দিয়ে তাদের পূর্বপুরুষ দের সমপর্যায়ে পৌছিয়ে দিবেন, যাতে পূর্বপুরুষরা তাদের উত্তরসূরীদেরকে তাদের পার্শ্বে দেখে শান্তি লাভ করতে পারে। আর উত্তসূরীরাও যেন পূর্বসূরিদের পার্শ্বে থাকতে পেরে সুখী হতে পারে। মুমিনদের আমল কমিয়ে দিয়ে যে, তাদের সন্তানদের আমল বাড়িয়ে দেয়া হবে তা নয়, বরং অনুগ্রহশীল ও দয়ালু আল্লাহ্ তার পরিপূর্ণ ভাণ্ডার হতে তা দান করবেন। এই বিষয়ে মারফু’ হাদিসও আছে। অন্য একটি রিওয়াইতে আছে যে, জান্নাতীরা যখন জান্নাতে চলে যাবে এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তানদেরকে সেখানে দেখতে পাবে না তখন তারা আরয করবেঃ হে আল্লাহ্ ! তারা কোথায়? উত্তরে আল্লাহ্ তাআলা বলবেনঃ তারা তোমাদের মর্যাদায় পৌছাতে পারে নি। তারা তখন বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তো নিজেদের জন্যে ও সন্তানদের জন্যে নেক আমল করেছিলাম! তখন মহান আল্লাহর নির্দেশক্রমে এদেরকেও ওদের সমমর্যাদায় পৌছিয়ে দেয়া হবে।
এও বর্ণিত আছে যে, জান্নাতীদের যেসব সন্তান ঈমান আনয়ন করেছে তাদেরকে তো তাদের সাথে মিলিত করা হবেই, এমনকি তাদের যেসব সন্তান শৈশবেই মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকেও তাদের কাছে পৌছিয়ে দেয়া হবে”। [৬]
.
এর পর আরেকটি আয়াত উল্লেখ করছি, একটু মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করুণ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
ادْخُلُوا الْجَنَّةَ أَنتُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُونَ [٤٣:٧٠ ]
“তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দের জান্নাতে প্রবেশ কর”। [৭]
.
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ঈমাম ইবনু কাসীর (র.) অত্যন্ত পরিষ্কার করেই লিখেছেনঃ
“ইরশাদ হচ্ছে কিয়ামতে দিন মুত্তাকীদের বলা হবে, হে আমার বান্দাগন! আজ তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না- যা আমার আয়াতে বিশ্বাস করেছিলে এবং আত্ন সমর্পণ করেছিলে- তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। এটা হলো তোমাদের ঈমান ও ইসলামের প্রতিদান। অর্থাৎ ভিতরে বিশ্বাস ও পূর্ণ প্রত্যয়, আর বাইরে শরীয়তের উপর আমল।
.
মু’তামার ইবনে সুলাইমান (রা.) স্বীয় পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, কিয়ামতের দিন যখন মানুষ নিজ নিজ কবরে উত্থিত হবে তখন সবাই অশান্তি ও ভীত সন্ত্রস্ত থাকবে। তখন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা (আল্লাহর বাণী) করবেঃ হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নাই এবং দুঃখিতও হবে না তোমরা। এ ঘোষণা শুনে সবাই খুশী হয়ে যাবে কারণ এটাকে সাধারণ ঘোষণা মনে করবে। এরপর আবার ঘোষণা করা হবেঃ যারা আমার আয়াত বিশ্বাস করেছিলে এবং আত্ন সমর্পণ করেছিলে। এ ঘোষণাটি শুনে খাটি ও পাকা মুসলমান ছাড়া অন্যান্য সবাই নিরাশ হয়ে যাবে। অতঃপর ইহাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মীরা সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর।.................. আবু হোরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সর্ব নিম্ন শ্রেণীর জান্নাতির সাততলা প্রাসাধ হবে সে ষষ্ঠ তলায় অবস্থান করবে এবং সপ্তম তলাটি তার উপরে থাকবে। তার ত্রিশজন খাদেম থাকবে যারা সকাল সন্ধ্যায় স্বর্ণ নির্মিত তিনশটি পাত্রে তার জন্যে খাদ্য পরিবেশন করবে। ........................ আয়ত চক্ষু বিশিষ্ট হুরদের মধ্য হতে তার বাহাত্তরটি স্ত্রী থাকবে এবং দুনিয়ায় স্ত্রী পৃথকভাবে থাকবে। তাদের মধ্যে এক জন এক এক মাইল জায়গার মধ্যে বসে থাকবে। সাথে সাথে তাদেরকে বলা হবেঃ তোমাদের এই নিয়ামত চিরস্থায়ি থাকবে। আর তোমরাও হবে স্থায়ী। অর্থাৎ কখনো এখান হতে বের হবে না এবং এটা হতে স্থানান্তর কামনা করবে”। [৮]
.
আমরা উপর্যুক্ত আলোচনার দ্বারা আমরা এটা অত্যন্ত পরিষ্কার ভাবেই বুঝতে পারি যে, যেসব নেককার স্বামীরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাদের নেককার স্ত্রীরাও তাদের সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আরও অবাক করার বিষয় হল তাদের দুনিয়ার স্ত্রীরা যদি তাদের সমপর্যায়ে পৌছাতে নাও পারে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নিজ অণুগ্রহে তাদের স্ত্রীদেরকে তাদের সম পর্যায়ের করে দিবেন এবং নেককার স্বামী ও স্ত্রীরা একসাথে জান্নাতে বিচরণ করবে।
.
শুধু তাই নয় জান্নাতী হুদের চেয়ে এই দুনিয়ার পুণ্যবতী স্ত্রীর জায়গা আলাদা সম্মানজনক জায়গায় হবে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল আল্লাহ তাবারক ওয়া তাআলা নিজ অণুগ্রহে তাদের সন্তান সন্তুতিসহ তাদের বাবা-মা, দাদা-দাদী ,পৌত্রদেরকেও তাদের সমপর্যায়ে পৌছার ব্যবস্থা করে দিবেন এবং তাদের সবাইকে এক সাথে থাকার সুযোগ করে দেবেন।
.
কাজেই এটা আমাদের কাছে দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার যে ইসলাম কখনো নারীদেরকে কখনোই চুক্তিবদ্ধ দাসী বানায়নি বরং দুনিয়াতে নারীকে পুরুষের অর্ধাঙ্গ বানিয়েছে, ঠিক তেমনি ভাবে আখিরাতেও আল্লাহ তার নিজ অণুগ্রহে নেককার স্বামী ও স্ত্রীকে একত্রে জান্নাতে থাকার ব্যাবস্থা করেছেন। ইসলাম একজন নারীকে যেমন দুনিয়াতে তার স্বামীর কাছ থেকে তার অধিকারকে সমুন্নত রাখার ব্যাবস্থা করেছে। সেই সাথে সাথে ইসলাম আখিরাতেও নারীকে তার উপযুক্ত মর্যাদার আসনে আসীন করেছে।
.
নাস্তিকদের অযথা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন কোন প্রমাণ ছাড়াই। আর প্রকৃতপক্ষে এটাই নাস্তিকদের বৈশিষ্ট্য; কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া অযথা ধারণার বশবর্তী হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা। তাই আমরা নাস্তিকদের উদ্দেশ্যে বলল, আপনারা ইসলাম নিয়ে পড়শুনা করুন। যদি তা করতে অক্ষম হন তো উলামায়ে কেরামের শরণাপন্ন হোন। না বুঝে, না জেনে, পড়াশুনা না করেই ইসলামের বিরুদ্ধে কলম ধরতে নেমে যাবেন না। এতে হীতের বিপরীত হবে। আর পাশাপাশি আপনাদের অজ্ঞতা ও মূর্খতা মানুষের সামনে স্পষ্ট হবে।
তথ্যসূত্রঃ
1️⃣[হুমায়ুন আজাদ,নারী, অধ্যায়ঃ- পিতৃতন্ত্রের খড়কঃ আইন বা বিধিবিধান ; পৃষ্ঠাঃ-৮৪; (আগামী প্রকাশনী,৩৬ বাংলাবাজার ঢাকা-১১০০,৩য় সংস্করণ,ষষ্ঠদশ মূদ্রণ, বৈশাখ ১৪১৯,মে ২০০৯)] ।
2️⃣(সূরা আর-রদঃ- ২৩-২৪ আয়াত)।
3️⃣ইবনু কাসীর, ইসমাঈল ইবনু উমার, তাফসীরুল কোরআনীল আযীম, ১২/২৯৬ ।
4️⃣মুহাম্মাদ শফী, পবিত্র কোরআনুল কারীমঃ বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর, পৃষ্ঠাঃ- ৭০৪; (খাদেমুল হারামাইন শরীফাইন বাদশাহ ফাহদ কোরআন মুদ্রন কমপ্লেক্স,কতৃক সংরক্ষিত)।
5️⃣ (সূরা আত-তুরঃ ২১ আয়াত)।
6️⃣ইবনু কাসীর, ইসমাঈল ইবনু উমার, তাফসীরুল কোরআনীল আযীম, ১৭/১২০-১২১;
7️⃣(সূরা আদ-দুখানঃ ৭০ আয়াত।)
8️⃣ইবনু কাসীর, ইসমাঈল ইবনু উমার, তাফসীরুল কোরআনীল আযীম, ১৬/৫৯৭-৫৯৮ ।