#Campúsian-41
#MSRM-12
#Qn:"ভাল মানুষ হলে, ধর্মীয় আদেশ নামাজ, রোজা ইত্যাদি করতে হবে কেন? "মানুষের চোখে দেখা যায় কেন এমন ধরনের ইবাদাত করব?
.
#Ans: কোন একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন নিয়মকানুন থাকে। যেসব প্রতিষ্ঠানে কঠিন ও গুরুদায়িত্ব বেশি, তাদের নিয়ম-শৃঙ্খলাও বেশি।যেমনঃ সামরিক বাহিনী। তাদের এত নিয়ম-শৃঙ্খলা পালন করতে হয়, কিন্তু কেউ কিন্তু প্রশ্ন তোলে না কেন এত সব “চোখে লাগা” নিয়ন-কানুন তাদের পালন করতে হয়।কারণ সবাই জানে যে কঠিন প্রশিক্ষণ ও নিয়ম-শৃঙ্খলা পালন না করলে সামরিক বাহিনী তাদের গুরুদায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না।
.
মুসলিমরা পৃথিবীতে আল্লাহর সৄষ্ট প্রতিনিধি। পৃথিবীর মানূষের কল্যাণের জন্যই মুসলিমদের আগমন।
.
"আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না। "
(কুরআন, বাকারাহ ২:৩০)
.
“তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। ...”
(কুরআন, আলি ইমরান ৩:১১০)
.
কাজেই মুসলিমদের নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রয়োজন যে বেশি, এটি বোঝা কমন-সেন্সের ব্যাপার। ইসলামে প্রতিটি ইবাদতের পেছনেই এত সব হিকমত রয়েছে যে বিস্তারিত লিখলে বই হয়ে যাবে। সলাত(নামায) এমন এক ইবাদত যা সামরিক বাহিনীর ট্রেনিং এর চেয়েও অনেক বড় একটি জিনিস। বালেগ হবার পর থেকে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সকল ঋতুতে সকল স্থানে সারা জীবন একজন মুসলিম দিনে ৫ বার মসজিদে এসে নামায পড়তে বাধ্য।নাময প্রতিটি দিনে আল্লাহর স্মরণ করায়, কখনো আল্লাহর স্মরণ থেকে বিচ্যুত হতে দেয় না।
.
“ আমিই আল্লাহ, আমি ব্যতিত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার দাসত্ব কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।”
(কুরআন, ত্ব-হা ২০:১৪)
.
#️⃣#️⃣ সালাত ফ্যাক্ট #️⃣#️⃣
এবং সালাতের শুধু বাহ্যিক ইবাদত নয় বরং নামাযের সুরা ও তাসবিহ পাঠ একজন মুসলিমের মনোজগতেও বিরাট প্রভাব রাখে।
#️⃣#️⃣ সাওম ফ্যাক্ট#️⃣#️⃣
সাওম(রোজা) এমন এক ইবাদত যা প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর স্বরণের এক ট্রেনিং।না খেয়ে থাকা আর লোক দেখানো ইফতার করা নয়, বরং পরহেজগারী অর্জনই যার উদ্যেশ্য।রোজাদার ব্যক্তির প্রতিটি মুহূর্ত পাপ থেকে বিরত থাকতে হয় যা তা্র বাকি ১২ মাস যথার্থরূপে ইসলাম পালনের এক অসামান্য ট্রেনিং। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সামরিক বাহিনী বা গোয়েন্দাসংস্থারও কি সারাজীবন এমন ট্রেনিং প্রোগ্রাম রয়েছে?
.
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।”
(কুরআন, বাকারাহ ২:১৮৩)
.
রোজার শারিরীক উপকার নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছি না, সবাই জানে।
.
#️⃣#️⃣ যাকাত #️⃣#️⃣
ইসলাম বলে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে একজন মুসলিমকে আবশ্যিকভাবে দরিদ্রদের যাকাত দিতে হবে।এছাড়া এর বাইরেও প্রচণ্ডভাবে দানশীলতায় উদ্বুদ্ধ করে।কুরআনে ও হাদিসে দানশীলতার কথা বহুবার বলা হয়েছে।রাসূল (স) বলেছেন,'"সে মুমিন নয় যার পেট ভরা অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে।"
(সুনানুল কুবরা ১৯০৪৯, সহীহ)
.
যাকাতের আইন যদি বাস্তবায়িত হয়,তাহলে কি আদৌ দারিদ্র্য থাকা সম্ভব?মনে রাখতে হবে,পৃথিবীর এক নাম্বার সমস্যা হচ্ছে দারিদ্র্য এবং দারিদ্র্য পৃথিবীর অধিকাংশ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী।কার্যকরভাবে যদি দারিদ্র্য দূর করা যায়,তাহলে পৃথিবীতে কি আদৌ অপরাধ সংঘটিত হবে? একবার চিন্তা করে দেখি,সবাই না,পৃথিবীর শীর্ষ দশজন ধনী যদি তাদের সম্পদের ২.৫% যাকাত হিসাবে দান করে,তাহলে পুরো আফ্রিকা মহাদেশে কি একজন মানুষও না খেয়ে মরবে?পৃথিবীর সবাই যদি যাকাত দিত,তাহলে কি এই দুনিয়ায় দারিদ্র্য বলে কিছু থাকত?ইসলাম ব্যতিত আর কোন ধর্ম এমন ব্যবস্থা কার্যকর করতে পেরেছে?ইসলামের খুলাফায়ে রাশিদীন যুগে এই ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে কার্যকর ছিল এবং ফলাফলে যা হয়েছে—যাকাত দেবার মত লোক খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে।দারিদ্র্য আরবের ভুখণ্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল।
.
ইসলামশূধু বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠান ও আরম্বরপূর্ণ ধর্ম নয়।তাকওয়া[পরহেজগারী/আল্লাহভীতি] অবশ্যই ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান।ইসলামে অভ্যন্তরিন ও বাহ্যিক উভয় প্রকারের ইবাদতই রয়েছে। বাহ্যিক ইবাদতগুলোর হিকমতের খুব সামান্য অংশ সংক্ষেপে বর্ণণা করা হয়েছে।অভ্যন্তরিন শুদ্ধতা ঠিকভাবে অর্জিত না হলে কখনোই বাহ্যিক ইবাদতগুলো যথাযথভাবে পালন সম্ভব হয় না। অভ্যন্তরিন ও বাহ্যিক উভয় দিকের ইবাদতের যে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে পারে, সেই প্রকৃত মুসলিম। বাহ্যিক ইবাদত মানুষের চোখে পড়তে পারে। তবে লোক দেখানো যদি উদ্যেশ্য হয়, তবে ইসলামে সেটি ছোট শির্ক বলে পরিগনিত হয়।
.
‘অতএব দুর্ভোগ সে সব মুসল্লীর যারা তাদের সালাত সম্পর্কে বে-খবর যারা তা লোক দেখানোর জন্য করে।’’
(কুরআন, মাউন ১০৭:৪-৬)
.
‘‘আমি(আল্লাহ)অংশিদারিত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। যে ব্যক্তি কোন কাজ করে আর ঐ কাজে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করে, আমি ঐ ব্যক্তিকে তার শিরকে ছেড়ে দেই।’’
(সহীহ মুসলিম ৫৩০০)
.
কাজেই ইসলামে লোক দেখানো উপাসনার কোন স্থান নেই।
.
“ যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়। এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।
(কুরআন, শামস ৯১:৯-১০)
.
“ নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়।এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে। বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।
(কুরআন, আ’লা ৮৭:১৪-১৭)
.
“ সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।”
(কুরআন, বাকারাহ ২:১৭৭)
#MSRM-12
#Qn:"ভাল মানুষ হলে, ধর্মীয় আদেশ নামাজ, রোজা ইত্যাদি করতে হবে কেন? "মানুষের চোখে দেখা যায় কেন এমন ধরনের ইবাদাত করব?
.
#Ans: কোন একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন নিয়মকানুন থাকে। যেসব প্রতিষ্ঠানে কঠিন ও গুরুদায়িত্ব বেশি, তাদের নিয়ম-শৃঙ্খলাও বেশি।যেমনঃ সামরিক বাহিনী। তাদের এত নিয়ম-শৃঙ্খলা পালন করতে হয়, কিন্তু কেউ কিন্তু প্রশ্ন তোলে না কেন এত সব “চোখে লাগা” নিয়ন-কানুন তাদের পালন করতে হয়।কারণ সবাই জানে যে কঠিন প্রশিক্ষণ ও নিয়ম-শৃঙ্খলা পালন না করলে সামরিক বাহিনী তাদের গুরুদায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না।
.
মুসলিমরা পৃথিবীতে আল্লাহর সৄষ্ট প্রতিনিধি। পৃথিবীর মানূষের কল্যাণের জন্যই মুসলিমদের আগমন।
.
"আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না। "
(কুরআন, বাকারাহ ২:৩০)
.
“তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। ...”
(কুরআন, আলি ইমরান ৩:১১০)
.
কাজেই মুসলিমদের নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রয়োজন যে বেশি, এটি বোঝা কমন-সেন্সের ব্যাপার। ইসলামে প্রতিটি ইবাদতের পেছনেই এত সব হিকমত রয়েছে যে বিস্তারিত লিখলে বই হয়ে যাবে। সলাত(নামায) এমন এক ইবাদত যা সামরিক বাহিনীর ট্রেনিং এর চেয়েও অনেক বড় একটি জিনিস। বালেগ হবার পর থেকে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সকল ঋতুতে সকল স্থানে সারা জীবন একজন মুসলিম দিনে ৫ বার মসজিদে এসে নামায পড়তে বাধ্য।নাময প্রতিটি দিনে আল্লাহর স্মরণ করায়, কখনো আল্লাহর স্মরণ থেকে বিচ্যুত হতে দেয় না।
.
“ আমিই আল্লাহ, আমি ব্যতিত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার দাসত্ব কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।”
(কুরআন, ত্ব-হা ২০:১৪)
.
#️⃣#️⃣ সালাত ফ্যাক্ট #️⃣#️⃣
এবং সালাতের শুধু বাহ্যিক ইবাদত নয় বরং নামাযের সুরা ও তাসবিহ পাঠ একজন মুসলিমের মনোজগতেও বিরাট প্রভাব রাখে।
#️⃣#️⃣ সাওম ফ্যাক্ট#️⃣#️⃣
সাওম(রোজা) এমন এক ইবাদত যা প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর স্বরণের এক ট্রেনিং।না খেয়ে থাকা আর লোক দেখানো ইফতার করা নয়, বরং পরহেজগারী অর্জনই যার উদ্যেশ্য।রোজাদার ব্যক্তির প্রতিটি মুহূর্ত পাপ থেকে বিরত থাকতে হয় যা তা্র বাকি ১২ মাস যথার্থরূপে ইসলাম পালনের এক অসামান্য ট্রেনিং। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সামরিক বাহিনী বা গোয়েন্দাসংস্থারও কি সারাজীবন এমন ট্রেনিং প্রোগ্রাম রয়েছে?
.
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।”
(কুরআন, বাকারাহ ২:১৮৩)
.
রোজার শারিরীক উপকার নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছি না, সবাই জানে।
.
#️⃣#️⃣ যাকাত #️⃣#️⃣
ইসলাম বলে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে একজন মুসলিমকে আবশ্যিকভাবে দরিদ্রদের যাকাত দিতে হবে।এছাড়া এর বাইরেও প্রচণ্ডভাবে দানশীলতায় উদ্বুদ্ধ করে।কুরআনে ও হাদিসে দানশীলতার কথা বহুবার বলা হয়েছে।রাসূল (স) বলেছেন,'"সে মুমিন নয় যার পেট ভরা অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে।"
(সুনানুল কুবরা ১৯০৪৯, সহীহ)
.
যাকাতের আইন যদি বাস্তবায়িত হয়,তাহলে কি আদৌ দারিদ্র্য থাকা সম্ভব?মনে রাখতে হবে,পৃথিবীর এক নাম্বার সমস্যা হচ্ছে দারিদ্র্য এবং দারিদ্র্য পৃথিবীর অধিকাংশ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী।কার্যকরভাবে যদি দারিদ্র্য দূর করা যায়,তাহলে পৃথিবীতে কি আদৌ অপরাধ সংঘটিত হবে? একবার চিন্তা করে দেখি,সবাই না,পৃথিবীর শীর্ষ দশজন ধনী যদি তাদের সম্পদের ২.৫% যাকাত হিসাবে দান করে,তাহলে পুরো আফ্রিকা মহাদেশে কি একজন মানুষও না খেয়ে মরবে?পৃথিবীর সবাই যদি যাকাত দিত,তাহলে কি এই দুনিয়ায় দারিদ্র্য বলে কিছু থাকত?ইসলাম ব্যতিত আর কোন ধর্ম এমন ব্যবস্থা কার্যকর করতে পেরেছে?ইসলামের খুলাফায়ে রাশিদীন যুগে এই ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে কার্যকর ছিল এবং ফলাফলে যা হয়েছে—যাকাত দেবার মত লোক খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে।দারিদ্র্য আরবের ভুখণ্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল।
.
ইসলামশূধু বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠান ও আরম্বরপূর্ণ ধর্ম নয়।তাকওয়া[পরহেজগারী/আল্লাহভীতি] অবশ্যই ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান।ইসলামে অভ্যন্তরিন ও বাহ্যিক উভয় প্রকারের ইবাদতই রয়েছে। বাহ্যিক ইবাদতগুলোর হিকমতের খুব সামান্য অংশ সংক্ষেপে বর্ণণা করা হয়েছে।অভ্যন্তরিন শুদ্ধতা ঠিকভাবে অর্জিত না হলে কখনোই বাহ্যিক ইবাদতগুলো যথাযথভাবে পালন সম্ভব হয় না। অভ্যন্তরিন ও বাহ্যিক উভয় দিকের ইবাদতের যে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে পারে, সেই প্রকৃত মুসলিম। বাহ্যিক ইবাদত মানুষের চোখে পড়তে পারে। তবে লোক দেখানো যদি উদ্যেশ্য হয়, তবে ইসলামে সেটি ছোট শির্ক বলে পরিগনিত হয়।
.
‘অতএব দুর্ভোগ সে সব মুসল্লীর যারা তাদের সালাত সম্পর্কে বে-খবর যারা তা লোক দেখানোর জন্য করে।’’
(কুরআন, মাউন ১০৭:৪-৬)
.
‘‘আমি(আল্লাহ)অংশিদারিত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। যে ব্যক্তি কোন কাজ করে আর ঐ কাজে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করে, আমি ঐ ব্যক্তিকে তার শিরকে ছেড়ে দেই।’’
(সহীহ মুসলিম ৫৩০০)
.
কাজেই ইসলামে লোক দেখানো উপাসনার কোন স্থান নেই।
.
“ যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়। এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।
(কুরআন, শামস ৯১:৯-১০)
.
“ নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়।এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে। বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।
(কুরআন, আ’লা ৮৭:১৪-১৭)
.
“ সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।”
(কুরআন, বাকারাহ ২:১৭৭)