Written by
Zianur Rahman
আবারো ধর্ষণ, ধর্ষণ শেষে খুন। খুব বেশি নিউজ পড়তে মন চায় না। কারণ, অবশ্য অজানা কারো নয়। একই সংবাদ পুনরাবৃত্তি।
দৈনিক কত শিশু, বালিকা, মেয়ে, নারী, বৃদ্ধা মহিলা যে ধর্ষণ হচ্ছে সেটি
অগোচরে। চোখের সামনে যেগুলো পড়ছে তার অনুপাত দিনে দুয়ের অধিক।
যে দেশে বাবা মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে আমি সেই দেশের একজন লজ্জিত মানুষ। দেশে থাকার দায় ভার
নিয়ে চোখ, কান বন্ধ করে নিশ্বাস বন্ধ করার এক
বোকার জীবন কাটানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
শুধু যে বাবা মেয়েকে ধর্ষণ করছে সেটা নয়।
তালিকাটি হিসাবহীন। কিছু উল্লেখ করার মতো যদি বলি। ডাক্তার রোগীকে ধর্ষণ করে। এ কথা অবশ্য পুরানো কোনো ফাইলে লটকানো আছে। শিক্ষক ছাএীকে ধর্ষণ করে। এ সব শিরোনাম গুলি যদি এমন হতো আবারো এক কুলাঙ্গারের
কাছে জাতি ধর্ষণের শিকার।
মাদ্রাসার শিক্ষক বাচ্চাদের সাথে বলৎকার করে। এই সকল ভন্ডদের দেখলে বুঝতে পারবেন না কিন্তু আধারে এরা যথেষ্ট
ভয়ংকার। গোটি কয়েকের জন্য বাকি গুলোও গালি
থেকে বাচতে পারেনা। এ্দের কে কেও যদি শিক্ষক বলে তাহলে শিক্ষক শব্দটির অর্থ পরিবর্তন হয়ে যাবে।
পাড়ার প্রভাবশালী গরিবের মেয়েকে ধর্ষণ করে। এটা
ঐতেহ্যতে পরিণত হয়েছে খুব বেশি ধরা ছোয়ার
মধ্যে আসেনা, মামু, খালু বলে কথা। “পড়লে
ও ছেড়া জালে।”
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুযোগে প্রবাসীর বউকে ধর্ষণ করে। শুধু
চেয়ারম্যানদের ব্যাপার টা চোখে পড়ে বাকি গুলো ঐ যে বললাম
পড়লে ও ছেড়া জালে।
পাড়ার বখাটে স্কুল ছাএীকে ধর্ষণ করে। এ গুলো অবশ্য জারজ/লম্পট হবে। এদের সংখ্যা পরিমাণে বেশি তবে সেগুলি অধিকাংশ মেয়েদের বিবাহ দিতে সমাস্যার ভয়ে দশের মধ্যে থেকে কিছু হাদিয়া
দিয়ে
কাজ সমাধা করে।
শিশুদের কে ধর্ষণ অথবা ব্লেট দিয়ে যৌন অঙ্গ কেটে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ করে। এখানে ইতিহাস লেখা যায়, কিছু সারাংশ লেখি। এনাদেরকে কি বলবো
যাহোক এনারা মেয়েদের পোশাকের ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গাতে মাতম তোলে। এনারা কোরানের কিছু অংশ নিবে বাকি অংশ যদি নিজের বিপরীতে আসে
তাহলে সেটি
এড়িয়ে যায়।
জি আমি করানের সূরা নূর(২৪)আয়াত ৩০ নং এর কথা বলছি।
“মুমিনদের কে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাজ্ঞর হেফাযত করে। এতে তাদের
জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।”
অথচ আমাদের উনারা ব্যস্ত আছেন পোশাক
নিয়ে। আমাদেরকে দৃষ্টি এবং মানষিক ভাবে উন্নতি করতে হবে। জ্বী, হ্যাঁ এটা মানি যে
নারীদের পোশক অন্যতম কারণ তেব েছেলরা সমান দায়ী। পাশাপািশ মেয়েদের পোশাকের ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন সাথে পিতামাতাদেরকে ও।
কিন্তু আপনি এই শিশুদের ক্ষেত্রে কি
বলবেন?
বাসের ড্রাইভার যাএী ধর্ষণ করে। কবিরাজ এর নামে রোগী ধর্ষণ করে। ভন্ড বাবা মাজারে ধর্ষণ করে। আমরা জানি এরা ভন্ড তবুও কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছিনা। “পদক্ষেপ
তাদের বেলায় যারা দেশ সংস্কারে নিজেদের কে বিলিয়ে দেয়।”
পুলিশ তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এদের নাম শুনলে মানুষ এখন ভয়ে থাকে মিথ্যা
মামলার। সামনে গালি দিতে না পারলে ও পিছে ঘাটতি নেই। “পুলিশের কাছে কেও আর নিরাপদ চায় না বরং পুলিশ থেকে নিরাপদ চায়।”
আমাদের বছর শুরু হয় ধর্ষণ দিয়ে। শশুর ছেলের বউ ধর্ষণ করে। রাজনৈতিক কারণে ধর্ষণ। সত্য কথা বললে ধর্ষণ। অধিকার আদায়ে নামলে ধর্ষণ। দেশের সূর্য সন্তান সেনাবাহিনী ও ধর্ষণ করে (তনু)। অফিসে বস ধর্ষণ করছে স্টাফ কে। গার্মেন্টে ধর্ষণ হচ্ছে সুবিধা বঞ্চিত নারী, জিয়েম পি এম দ্বারা। ক্লাসের বন্ধু দ্বারা বান্ধবী ধর্ষণ। বাসার কাজের মেয়ে ধর্ষণ হয় মালিক দ্বারা। নেতাদ্বারা মহিলা নেএী ধর্ষণের শিকার।
আমি যতটুকু সময়ে লেখাটি লেখছি এর মধ্যে হয়ত দু, একজন কে, কুলাঙ্গাররা
ধর্ষন করে ফেলছে।ধানের শীশে ভোট দেওয়ার কারণে ধর্ষণ।
আমার বন্ধু।
তুই লেখছিস?
হুম।
তুই লেখছিস!এদিকে আবার ঘটনা ঘটে গেছে।
আবারো ফেল করলি নাকি? না বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিছে?
আরে না সে বিষয়ে নয়, তুই তো খায়রুল কে চিনিস। ও আজ ধরা পড়েছে অমুকের
সাথে। অনেক দিনের সম্পর্ক ছিলো।
শেষ-বেশ কি হলো?
ছেলে মেয়েকে বিয়ে করতে চায় না। বিশ
হাজার টাকা দিয়ে মিটিয়ে নিয়েছে।
মেয়ে কি বলে?
মেয়েকে শালিসে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
এই হলো বাস্তব
চিত্র।
এদেশে বিভিন্ন উপায়ে ধর্ষণ হচ্ছে। কিন্ত
কোনো প্রতিকার
নেই। প্রতিকার শুধু মাত্র বিচার চাওয়া। আবার বিচার চাইলে জীবন নিরাপত্তাহীনতায়। কয়েকদিন মানববন্ধন। মিডিয়াতে হৈ চৈ
কিছু দিন পরে
আবারো নিরব। ফের আবার একই বৃত্ত কথনে গাথা।
ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড পাশ করবে
কারা? তারা তো ভয়ে থাকে, যদি নিজেদের গায়ে এসে পড়ে।অনেকে মনে
করেন মৃত্যুদন্ড শাস্তি পাশ হলে উল্টা পুরুষ নির্যাতিত হবে যদিও বর্তমানে দেখা যায়। পাশাপাশি এ আইন ও পাশ করা হোক মিথ্যা
মামলা করলে
তার শাস্তি বিশ বছর। কিছুক্ষণের জন্য ধরা যাক ধর্ষণের
শাস্তি মৃত্যুদন্ড আইন পাশ করা হলো। আপনারা কি
মনে করেন আমাদের দেশে যে প্রশাসন এরা সঠিক বিচার করবে? যেখানে খুনের যথপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ছাড়া পাওয়া যায়।
উত্তরে এটা বলা যাবে কমেতো গেছে।
লেখক জিয়ানুর রহমান