মাদ্রাসা জড়বস্তু
ধর্ষণ সকল জায়গাতে হচ্ছে, এগুলো ভাইরাসের মত আক্রমণ করছে। কথা গুলি শুধুমাত্র তাসলিমা নাসরিনকে উদ্দেশ্য করে নয়, এছাড়াও যারা তার মতো চরিত্রহীন ব্যাক্তি আছে, মাদ্রাসা সম্পর্কে যাদের চুলকানি আছে, যারা মনে করেন মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া দরকার তাদের উদ্দেশ্য করে আমার এ কথা গুলি যদিও তারা বলে যাবে। অন্যথায় মুক্তমনা নামক চরিত্রহীন অমানুষ গুলি তাদের কাছ থেকে টাকা নিবে কি করে? বসে বসে খাওয়ার এটাই তো একমাত্র পন্থা হিসাবে বাছাই করে নিয়েছে।
Written
by
Zianur Rahman
তাসলিমা নাসরিন তার পেজে লিখছেন
যে মাদ্রাসা গুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এই মানষিক
রোগীটির কথা গুলো বাস্তবে কোনো প্রভাব ফেলেনা। প্রভাব ফেলবে কি করে তার কাজ
সম্পর্কে আমরা অবগত। এছাড়াও বাংলার
মানুষ তার সম্পর্কে ভালো করে জানে যে সে একজন ইসলাম বিদ্ধেষী, তার আরো পরিচয় আছে, সে গুলি উল্লেখ করার প্রয়োজন
বোধ করছিনা।
শুধু এই ভদ্র মহিলা যে এ কথা
গুলো বলে থাকেন সেটি নয় এর সঙ্গে আরো কয়েক আছে যারা নিজেদের কে মানবতার ধারকবাহক
মনে করেন আর যত ষড়যন্ত্র করে বেড়ান।
আসল কথায় আশি।
ধর্ষণের জন্য মাদ্রাসা কতটুকু
দায়ী? চলুন একটা উদাহরণ দেয়া যাক। যাতে বুঝতে সুবিধা হবে।
ধরুন, আপনি একটা BMW গাড়ী কিনলেন। আর তার ড্রাইভার নিয়োগ করলেন, কিন্ত সে এই গাড়ী চালাতে অনভিঙ্গ। তারপর সে
গাড়ীটি নিয়ে এক্সিডেন্ট করল। এখন আপনি
কাকে দোষারোপ করবেন? গাড়ীটিকে না ড্রাইভার কে?
খুবই সহজ উত্তর, ড্রাইভারকে। একই ভাবে আপনি মাদ্রাসার ক্ষেত্রে দেখুন মাদ্রাসা তো
একটা জড় সে কিভাবে এই সব অপকর্মের দায় ভার নিবে। ইসলাম বিদ্ধেষী মনা মানুষ যুক্তি
পড়ে হাসছে আর বলছে, আমরা তো বলতে চেয়েছি
মাদ্রাসাতে যাওয়ার কারণে এটা হচ্ছে।
উত্তরে আমি আরেকটু হাসলাম। কারণ
দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় তার ১ ভাগ মাদ্রাসাতে হচ্ছে না। তাহলে কি সকল
প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ করে দিবেন? এটা অবশ্য
মদখোর কিংবা গাজাখোরের কথা। মদ, গাজাঁ এসব
জিনিস কে আবার তারা তাদের জীবনের সঙ্গী মনে করে। এসব বলে লজ্জা দেওয়া যাবেনা।
যাহোক,
আমাদের দেশে ধর্ষণ একটি সাধারণ
বিষয়ে দাড়ানোর অপেক্ষা করছে। এটি শুনা কিংবা পড়া এখন প্রতিদিনের ঘটনা। বিশেষ করে
বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গাতে শিক্ষক দ্বারা ছাত্রীর যৌননিপীড়নের প্রভাবটা বেশি এবং
ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ঘটে তবে মিডিয়া সেটি প্রচার করে একটু ভিন্নভাবে। শিক্ষার্থীরাও
সবসময় এর প্রতিবাদ করতে পারেনা। ঐ যে স্যারদের হাতে ক্ষমতা, এদিক ঐইদিক করলে অসুবিধা হতে পারে, ভয়ে বা অভ্যাসে। ইন্টারনেটে
সার্চ করলে এ বিষয়ে অনেক তথ্য পাবেন।
আমরা যারা পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করি আমরা বিষয় টি সম্প্রর্কে ভালো অবগত। এখন বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আহবান
করেন। এখানেই মানুষিক রোগীরা নিরবতা।
ধর্ষণ সকল জায়গাতে হচ্ছে, এগুলো ভাইরাসের মত আক্রমণ করছে। কথা গুলি শুধুমাত্র তাসলিমা নাসরিনকে উদ্দেশ্য করে নয়, এছাড়াও যারা তার মতো চরিত্রহীন ব্যাক্তি আছে, মাদ্রাসা সম্পর্কে যাদের চুলকানি আছে, যারা মনে করেন মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া দরকার তাদের উদ্দেশ্য করে আমার এ কথা গুলি যদিও তারা বলে যাবে। অন্যথায় মুক্তমনা নামক চরিত্রহীন অমানুষ গুলি তাদের কাছ থেকে টাকা নিবে কি করে? বসে বসে খাওয়ার এটাই তো একমাত্র পন্থা হিসাবে বাছাই করে নিয়েছে।
আপনারা ধর্ষণ কারীর ফাসি না
চেয়ে পড়ে আছেন মাদ্রাসা নিয়ে। কারণ ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড এটা ইসলামের আইন এটা
মানা আপনাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি কি সব বলছি আপনাদের কাছে তো আবার ধর্ষণ বলে কোনো
শব্দ নেই। সবকিছু ইনজয়।
যারা ইট দিয়ে গড়া একটা দালানকে ধর্ষণের জন্য দায়ী মনে করেন
তাদের জন্য আমার উপদেশ হেমায়তপুরে ভর্তি হয়ে যান।
আবার আমরা দেখি, অনেকে মাথায় টুপি গায়ে পাঞ্চাবী দেখলে মাথা চুলকায়। আর বলে এরা এ কাজটি করতে
পারল? মাদ্রাসা আসলে খারাপ জায়গা।
আবারো ইটে গড়া ঘরকে টেনে আনা। আরো একটি তথ্য দিয়ে রাখা ভালো যে ইসলাম ধর্মে
নির্দিষ্ট কোনো পোশাক নেই। আর যে সকল মাদ্রাসার কুলাঙ্গাররা ধর্ষণ করে, তাদের খোজ নিয়ে দেখুন কাদের সাথে হাত। হাত থাকলে খুব দ্রত জামিন পাবে অন্যথায়
শাস্তি আশা করা যায়। কুলাঙ্গার
সব জায়গাতে থাকে।
কিন্ত বর্তমানে হলুদ মিডিয়া ঐ
সকল গোটি কয়েক কুলাঙ্গারদের কে সামনে এনে দেখিয়ে বলে দেখুন এখানে এই সব নোংরামী
হয়। অথচ দেশে বিভিন্ন পার্কে, কলেজে, ভার্সিটিতে অহরহ দেখা যায় হলুদ মিডিয়া তাদের দেখতে পায়না। দেখলে তো চাকরি
রাখা দায়। সেখানে আবার পরিবার, নিজের জীবন
নিয়ে তো চলা বড় ভার হয়ে দাড়ায়।
মিডিয়া আজ দায়ীত্ব নিয়েছে
কিভাবে কুলাঙ্গারদের না ধরে মাদ্রাসাকে দমিয়ে রাখা যায়। এরা ভাবে এইবার সফল হবো।
অথচ তারা জানেনা যে এরা যত মাদ্রাসা উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে, মাদ্রাসার বিন্দু মাত্র ক্ষতি এরা করতে পারবেনা। বরং তারা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত
হবে যেটি তারা নিজেরা জ্ঞাত নয়।
শেষ কথাটি বলি।
মাদ্রাসা শব্দের অর্থ বিদ্যালয়।
অন্য বিদ্যালয়ের সাথে এখানে পার্থক্য হলো এখানে কোরআন, হাদিস সেখানো হয়। বাকি অন্য বিষয় গুলো মিল আছে। যারা মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কথা
বলে তারা শুধু মাত্র মাদ্রাসার বিপক্ষে নয়, এরা ইসলাম
ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে। অবশ্য এদের ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।
বরং অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি
নিশ্চিত করুন। প্রতিষ্ঠান নিয়ে পড়ে থেকে লাভ নেই। অযথা জড়বস্ত কে দায়ী করে
মূর্খতার পরিচয় দেওয়া ছাড়া বৈকি?
জিয়ানুর রহমান