চকবাজার ট্রাজেডি
--- MIR MD ERFANUL ISLAM (KAIESH)
আমি নির্বাক, আমি স্তব্ধ,
আমি শিহরিত, দেখে অগ্নিশিখায় হতে দগ্ধ।
চুড়িহাট্টা গলি মানবশূণ্য, ছাঁইয়ের স্তুপে পথ বন্ধ,
চকবাজারের আকাশ-বাতাসে শুধু পোঁড়া মানুষের গন্ধ।
এটা শুধু এক ট্রাজেডি নয়, শত স্মৃতি-ভরা ডায়েরী,
যা কেঁড়ে নিলো শত প্রাণ, খালি করে বুক মায়েরই।
ভাই হারালো ভাই, সন্তান হারালো বাবার ছায়া,
বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ, স্ত্রী হারালো স্বামীর মায়া।
ভালবাসার বন্ধন কতোটা দৃঢ়, দেখালো রিয়া-রিফাত দম্পতি,
হাতে রেখে হাত পুড়ে হলো ছাঁই, এ কেমন পরিণতি।
দৃষ্টি গেলো গ্রাম থেকে আসা রোহান ভাইয়ের প্রতি,
বোনের বিয়ের বাজারে এসে মৃত্যু হলো তার সাথী।
সদ্য বিয়ের পিঁড়ি পার করা ব্যবসায়ী ভাই রাজু,
জীবন গেলেও হাত জুড়ে মেহেদি লেগে আছে তার আজও।
বিছানায় শোয়া অসুস্থ মায়ের নিতে এসে মেডিসিন,
আগুনে পুঁড়ে নাফিজের জীবনটা হয়ে গেলো বিলীন।
মাদিদের কথা ভুলতে কি পারবে শোকাহত পরিবার,
প্রাণটা গেলো জীবন যুদ্ধে হতে গিয়ে ডাক্তার।
কি যেন নাম, পেশায় তিনি এক ভার্সিটির প্রফেসার,
চক-ডাস্টার, ক্লাস-অফিস জুড়ে তার স্মৃতির সমাচার।
মাহফুজের বাবা মিটাতে গিয়ে ছেলের বিরানির আবদার,
নির্মমভাবে হোটেলের ভিতর জ্বলে-পুঁড়ে হলো ছারখার।
বুকভরা স্বপ্নে ক্লিনিক করেছিল হাফেজ ভাই কাওসার,
ক্লিনিকের সাথে জীবনটা গেলো, পরিবারে হাহাকার।
সন্তানের তরে মায়াবতী মায়ের আত্মত্যাগের নিদর্শন,
ছেলেকে বাঁচাতে একসাথে হলো মা-ছেলের মরণ।
সংকল্প ছিলো ভ্রাতৃত্বের বন্ধন নিখুঁত থাকবে আজীবন,
আগুনের শিখা শেষ করে দিলো নাজমুলদের সেই বন্ধন।
পাশের ফার্মেসীতে ছড়িয়ে আছে চারটি মাথার খুলি,
আড্ডা দিতে এসে থেমে গেলো তিন বন্ধুর বুলি।
ছোট্ট পরিসরে স্বপ্ন বুনেছিলো দোকানদার হিরা আলী,
সন্তানের মূখ দেখা হলো না, স্মৃতি হয়ে গেলো খালি।
সেকেন্ড ফ্লোর জুড়ে ছিলো কেমিক্যাল আর প্লাস্টিকের গুদাম,
আগুনের তেজে শুকিয়ে গেলো পরিশ্রান্ত মানুষগুলোর ঘাম।
মানুষ কেন বুঝেনা শিল্প ও বসতবাড়ির ব্যবধান?
অপরিকল্পিত শিল্পায়নে ঝরলো এতোগুলো প্রাণ।
উৎসর্গঃ চকবাজারের চুড়িহাট্টা গলির সকল দগ্ধ শহিদ ও আঘাতপ্রাপ্তদের প্রতি
--- MIR MD ERFANUL ISLAM (KAIESH)
আমি নির্বাক, আমি স্তব্ধ,
আমি শিহরিত, দেখে অগ্নিশিখায় হতে দগ্ধ।
চুড়িহাট্টা গলি মানবশূণ্য, ছাঁইয়ের স্তুপে পথ বন্ধ,
চকবাজারের আকাশ-বাতাসে শুধু পোঁড়া মানুষের গন্ধ।
এটা শুধু এক ট্রাজেডি নয়, শত স্মৃতি-ভরা ডায়েরী,
যা কেঁড়ে নিলো শত প্রাণ, খালি করে বুক মায়েরই।
ভাই হারালো ভাই, সন্তান হারালো বাবার ছায়া,
বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ, স্ত্রী হারালো স্বামীর মায়া।
ভালবাসার বন্ধন কতোটা দৃঢ়, দেখালো রিয়া-রিফাত দম্পতি,
হাতে রেখে হাত পুড়ে হলো ছাঁই, এ কেমন পরিণতি।
দৃষ্টি গেলো গ্রাম থেকে আসা রোহান ভাইয়ের প্রতি,
বোনের বিয়ের বাজারে এসে মৃত্যু হলো তার সাথী।
সদ্য বিয়ের পিঁড়ি পার করা ব্যবসায়ী ভাই রাজু,
জীবন গেলেও হাত জুড়ে মেহেদি লেগে আছে তার আজও।
বিছানায় শোয়া অসুস্থ মায়ের নিতে এসে মেডিসিন,
আগুনে পুঁড়ে নাফিজের জীবনটা হয়ে গেলো বিলীন।
মাদিদের কথা ভুলতে কি পারবে শোকাহত পরিবার,
প্রাণটা গেলো জীবন যুদ্ধে হতে গিয়ে ডাক্তার।
কি যেন নাম, পেশায় তিনি এক ভার্সিটির প্রফেসার,
চক-ডাস্টার, ক্লাস-অফিস জুড়ে তার স্মৃতির সমাচার।
মাহফুজের বাবা মিটাতে গিয়ে ছেলের বিরানির আবদার,
নির্মমভাবে হোটেলের ভিতর জ্বলে-পুঁড়ে হলো ছারখার।
বুকভরা স্বপ্নে ক্লিনিক করেছিল হাফেজ ভাই কাওসার,
ক্লিনিকের সাথে জীবনটা গেলো, পরিবারে হাহাকার।
সন্তানের তরে মায়াবতী মায়ের আত্মত্যাগের নিদর্শন,
ছেলেকে বাঁচাতে একসাথে হলো মা-ছেলের মরণ।
সংকল্প ছিলো ভ্রাতৃত্বের বন্ধন নিখুঁত থাকবে আজীবন,
আগুনের শিখা শেষ করে দিলো নাজমুলদের সেই বন্ধন।
পাশের ফার্মেসীতে ছড়িয়ে আছে চারটি মাথার খুলি,
আড্ডা দিতে এসে থেমে গেলো তিন বন্ধুর বুলি।
ছোট্ট পরিসরে স্বপ্ন বুনেছিলো দোকানদার হিরা আলী,
সন্তানের মূখ দেখা হলো না, স্মৃতি হয়ে গেলো খালি।
সেকেন্ড ফ্লোর জুড়ে ছিলো কেমিক্যাল আর প্লাস্টিকের গুদাম,
আগুনের তেজে শুকিয়ে গেলো পরিশ্রান্ত মানুষগুলোর ঘাম।
মানুষ কেন বুঝেনা শিল্প ও বসতবাড়ির ব্যবধান?
অপরিকল্পিত শিল্পায়নে ঝরলো এতোগুলো প্রাণ।
উৎসর্গঃ চকবাজারের চুড়িহাট্টা গলির সকল দগ্ধ শহিদ ও আঘাতপ্রাপ্তদের প্রতি
0 Comments
Thanks for your comment