সর্বশেষ

2/recent/ticker-posts

জমি _বন্ধক _রাখার_ শরয়ী হাইসিয়্যাতঃ

#জমি _বন্ধক _রাখার_ শরয়ী হাইসিয়্যাতঃ

জমি বন্ধক:
===========================
বাংলাদেশের প্রায় সকল এলাকায় বহুল প্রচলিত লেনদেন হল, জমি বন্ধক রীতি। কারো টাকার প্রয়োজন হলে কেউ সাধারণত করজে হাসানা দেয় না। বরং জমি বন্ধক প্রদানের শর্তে ঋণ প্রদান করে। ঋণদাতা বা বন্ধক গ্রহীতা বন্ধককৃত জমি ভোগ করে এবং মেয়াদান্তে মালিক পুরো টাকা ফেরত দিয়ে জমি বুঝে নেয়। বিভিন্ন এলাকায় একে ‘জমি কট দেওয়া’ও বলে। আবার কেউ ‘জমি খায়খালাসি দেওয়া’ও বলে।
*
বিধান:
ইসলামে ঋণ প্রদান করে ঋণ প্রদানের কারণে ঋণগ্রহীতা থেকে ঋণের অতিরিক্ত যে কোন কিছু গ্রহণ করা সুদ। হাদীসে ইরশাদ হয়েছে-

كل قرض جر نفعا فهو ربا
“যেসব ঋণ ঋণ প্রদানের কারণে ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি থেকে কোন ধরনের উপকার বয়ে নিয়ে আসে সেটা সুদ হবে”-

[সূত্রঃ আল মাতালিবুল আলীয়া বি-যাওয়ায়িদি মাসানিদি ছামানিয়া, ৪/৩৮১, হাঃ ১৪৮৪;সুনান আল কুবরা,বাইহাক্বি ৫/৫৭৩ হাঃ১০৯৩৩;বাগিয়্যাতুল বাহেস আ'ন যাওয়ায়িদিল মুসনাদিল হারেস ১/৫০০০হাঃ৪৩৭আল মুগনী আনিল হিফজি ওয়াল কিতাব পৃষ্টাঃ৮১; -হাদিসটির সনদ যঈফ হলেও সকল ইমাম ও আহলুল ইলম গন এর মা'নাকে সহীহ বলেছেন এবং অনেক ইমাম গন এর দ্বারা দলিল প্রদান করেছেন,এছাড়া ও এ হাদিসের যঈফ শাহেদ ও আছে যা এ হাদিসের সনদকে শক্তি শালী করে]

*
উক্ত হাদীসে ‘নাফউন’ শব্দের অর্থ benefit, helpfulness বাংলায় বলে ‘উপকার, লাভ, মুনাফা ইত্যাদি’। উক্ত ‘বেনিফিট’ ব্যাপক। চাই তা অর্থ দ্বারা হোক বা অন্য যে কোন উপায়ে অর্জিত হোক-সবই এর অন্তর্ভুক্ত। তদ্রুপ চাই তা চুক্তিতে শর্তযুক্ত হোক বা সামাজিক প্রথা ও রীতির ভিত্তিতে শর্তযুক্ত হোক-সবটাই উদ্দেশ্য।
উক্ত হাদীসে নিষিদ্ধ বেনিফিট হল করজদাতার জন্য। গ্রহীতার জন্য নয়। কারণ, সে তো করজ দ্বারা উপকৃত হওয়ার জন্যই করজ গ্রহণ করেছে।
*
**জাবির (রাদ্বি:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম) কয়েক বছরের জন্য জমি বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।’
[সহীহ মুসলিম (বাবু কিরাইল আরদ): হাদিস নম্বর : ৩৮২২]

বোঝা গেল, সমাজে প্রচলিত ‘রেহান’ কোনো শরিয়তসম্মত ক্রয়-বিক্রয় নয়।
*
রাহন বা ঋনের মূলনিতীঃ
শরিয়তের পরিভাষায় ‘রাহন’ হলো কোনো দাবির বিপরীতে কোনো বস্তুকে এমনভাবে আটক রাখা, যাতে আটককৃত বস্তু দিয়ে দাবি বা অধিকার বা পাওনা আদায় সম্ভব হয়। যেমন- ঋণ। সোজা কথায়, রেহান অর্থ বন্ধক।
*
মোট কথা বন্ধক রাখার বিষয়টি ইসলামি শরিয়তে অনুমোদিত।
আল্লাহ  তায়ালা বলেন-
 ‘যদি তোমরা সফরে থাক এবং কোনো লেখক না পাও তবে হস্তান্তরকৃত/অধিকৃত/আয়ত্তাধীন বন্ধকী বস্তু নিজ দখলে রাখবে।’ (সূরা বাকারাহ : ২৮৩)

সূরা মুদ্দাচ্ছিরের ৩৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে : ‘প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ (রাহিনাহ)।’
**
রাসূলুল্লাহ(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম) নিজে এক ইহুদি থেকে বাকিতে কিছু খাদ্য ক্রয় করেছিলেন এবং সেই দেনার গ্যারান্টি হিসেবে তাঁর বর্মটি ইহুদির কাছে রেহান (বন্ধক) রেখেছিলেন।
*
বুরহানুদ্দিন আবুল হাসান আলী ইবনে আবুবকর আল-ফারগানি আল-মারগিনানি (রহ:) তার আল-হিদায়া কিতাবের ‘রাহন’ অধ্যায়ে বলেছেন, ‘রেহান (বন্ধক) রাখা জায়েজ হওয়ার ব্যাপারে ইজমা রয়েছে। রেহান (বন্ধক) হচ্ছে নিজের পাওনা উসুল নিশ্চিত করার নিমিত্তে সম্পাদিত একটি চুক্তি।’
*
ইমাম শাফেয়ি (রহ:) বলেছেন, বন্ধকী বস্তু (রেহান) বন্ধক গ্রহীতার কাছে আমানতস্বরূপ থাকে।
আল-মারগিনানি (রহ:) তাঁর আল-হিদায়া কিতাবের ‘রাহন’ অধ্যায়ে আরো বলেছেন, ‘বন্ধক’ (রেহান) গ্রহীতা ব্যক্তির জন্য জায়েজ নেই বন্ধকের (রেহান) মাল দিয়ে উপকৃত হওয়া। সেবা নেয়া, বসবাস করা বা পরিধান করা কোনোটাই জায়েজ নয়। রেহান রাখা হয় শুধু নিজের পাওনা আদায় করার জন্য।
*
বলা বাহুল্য, কট প্রথায় জমির বেনিফিট-টা মূল ঋণের অতিরিক্ত। তাই তা সুদ। শরীয়াহর ব্যাপারে অসচেতনতার কারণে কট প্রচলন আজ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
*
বন্ধককে কেন্দ্র করে সুদের লেনদেন গ্রামে-গঞ্জে আরো বহুভাবে হয়ে থাকে। একটি মূলনীতি মনে রাখবেন, ঋণের বিপরীতে বন্ধক গ্রহণ করে যে কোন উপায়ে সেটা থেকে গ্রহীতা কোনরূপ উপকার হাসিল করলে সেটাই সুদ বলে বিবেচিত হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।
*
বিকল্প বা জায়েয সুরতঃ
কট প্রথার বিকল্প হল, ঋণদাতা জমি লীজ নিয়ে তা থেকে উপকৃত হবে। তবে এর জন্য শর্ত হল-
ক.করজ ও লীজ চুক্তিদুটি সম্পূর্ণরূপে স্বতন্ত্রভাবে হতে হবে।

খ.একটি চুক্তির সাথে আরেকটি চুক্তি কোনভাবেই শর্তযুক্ত হবে না। সুতরাং করজ প্রদানের পর করজগ্রহীতা তার জমি লীজ দিতে অস্বীকার করলে তাকে চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। কেবল সঠিক অর্থে জমি বা অন্য কিছু বন্ধক প্রদানের জন্য বলতে পারবে।

গ.জমির রেন্ট উরফ অনুযায়ী ন্যায়সঙ্গত হতে হবে।
*
প্রশ্নঃ জমি বর্গা চাষ বা ইজারা দেওয়ার শরী‘আতসম্মত পন্থা কি কি?

জমি বর্গা দেওয়ার ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত নিতী গুলো মেনে বর্গা দেওয়া যাবে-
রাফে‘ বিন খাদীজ (রাঃ) বলেন, আমার দুই চাচা নবী করীম (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম)-এর যুগে জমি বর্গা দিতেন এভাবে যে, নালার পাশে যে শস্য হবে তা তাদের অথবা জমির মালিক (শস্য নেয়ার জন্য) কিছু জমি পৃথক করে দিতেন। নবী করীম (ছাঃ) এরূপ করতে নিষেধ করলেন।
হানযালা (রহঃ) বলেন, আমি রাফে‘ বিন খাদীজ (রাঃ)-কে বললাম, স্বর্ণমুদ্রা ও রৌপ্যমুদ্রার বিনিময়ে জমির ভাড়া দেয়া যাবে কি? তিনি বললেন, এতে কোন বাধা নেই (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯৭৪)।
>
 জমিতে উৎপাদিত শস্য পারস্পরিক ভাগাভাগির চুক্তিতে বর্গা দেওয়া শরী‘আত সম্মত।
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম) খায়বারের জমিতে উৎপাদিত ফল-ফসল অর্ধেক প্রদানের শর্তে বর্গা দিয়েছিলেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯৭২)।
>
মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) ........... ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কৃষি জমি বর্গা দেয়াকে আমি খারাপ মনে করতাম না। এরপর আমি রাফি ইবন খাদীজ (রাঃ)-কে এরূপ বলতে শুনি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতে নিষেধ করেছেন। তখন আমি তাঊসের নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেনঃ ইবন আব্বাস (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরুপ করতে নিষেধ করেন নি। তবে তিনি বলেছেনঃ যদি তোমাদের কেউ তার জমি কৃষির জন্য বর্গা দেয়, তবে তা ঐ ব্যবস্থার চাইতে উত্তম যে, কাউকে তা নিদিষ্ট টাকার বিনিময়ে দেবে।
(সুনান আবু দাউদঃ৩৩৫৬-কিতাবুল বুয়ু,পরিচ্ছদঃ  কৃষি জমি বর্গা দেওয়া-হাদিসটি কেউ কেউ যঈফ বলেছেন)
>

আবূ বাকর ইবন আবী শায়বা (রহঃ) ........... উরওয়া ইবন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়দ ইবন ছাবিত (রাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ রাফি ইবন খাদীজ (রাঃ)-কে ক্ষমা করুন! আল্লাহ্‌র শপথ! আমি এ হাদীছ সম্পর্কে তার চাইতে অধিক অবহিত। ঘটমাটি এরূপঃ একদা দু'জন আনসার সাহাবী পরস্পর মারামারি করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের অবস্থা যদি এই হয়, তবে তোমরা জমি বর্গা দেবে না। মুসাদ্দিদ (রহঃ) এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, রাফি ইবন খাদীজ (রাঃ) শুধু এতটুকু শোনেনঃ তোমরা জমি বর্গা দেবে না।
(সুনান আবু দাউদঃ৩৩৫৭-কিতাবুল বুয়ু,পরিচ্ছদঃ  কৃষি জমি বর্গা দেওয়া-হাদিসটি সহীহ)

 *
প্রশ্নঃআমাদের দেশে একটি প্রচলন আছে, আবাদি জমি বন্ধক রেখে টাকা নেওয়া। যেমন : আপনার ৫০ শতক জমি ১ লক্ষ টাকার  বিনিময়ে আমার নিকট বন্ধক রাখলেন, সেই জমি  টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত আমার জন্য ভোগ করা যায়েজ হবে কিনা??
*
উত্তরঃ

উক্ত চুক্তিটি জায়েজ হবার দু’টি সূরত রয়েছে। এ দু’টি সূরত অনুসরণ করলে এ চুক্তি জায়েজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

**১ম সূরত**

যিনি জমি নিবেন তিনি এ হিসেবে চুক্তি করবেন যে, তিনি জমিটি ভাড়া নিচ্ছেন। নামমাত্র কিছু মূল্য মাসিক ভাড়া হিসেবে নির্দিষ্ট  করে নিবে। যেমন ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা। আর অগ্রিম ভাড়া হিসেবে প্রদান করবে ১/২ লাখ টাকা।

তারপর যেদিন জমিনটি ফেরত নিতে চাইবে, সেদিন আগের নির্ধারণকৃত নামমাত্র ভাড়ার টাকা রেখে বাকি টাকা ফেরত দিয়ে দেবে জমিনটি ভোগদখলকারী তথা জমির ভাড়াটিয়াকে।

যেমন-

আব্দুল্লাহ এর জমি আছে। কিন্তু টাকা নেই। তার টাকা প্রয়োজন। আর আব্দুর রহমানের টাকা আছে। কিন্তু জমি নেই। তার জমি প্রয়োজন। আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিতে চাচ্ছে। আর আব্দুর রহমান টাকা প্রদান করে জমিটির ফসল নিতে চাচ্ছে।

এমতাবস্থায় আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে ভাড়া দিবে। মাসিক ভাড়া নির্দিষ্ট করে নিল কথার কথা ৫০ টাকা। যতদিন আব্দুর রহমান জমিটি রাখবে ততদিন মাসিক ৫০ টাকা করে ভাড়া প্রদান করবে। মাসিক ভাড়া অগ্রিম হিসেবে আব্দুর রহমান ৫ লাখ আব্দুল্লাহকে দিয়ে দিবে। ফলে জমিটির ভাড়াটিয়া হিসেবে আব্দুর রহমান ভোগদখল করতে থাকবে। আর আব্দুল্লাহ টাকাটি খরচ করতে পারবে।

তারপর যেদিন আব্দুল্লাহ তার জমিটি ফেরত নিতে চাইবে, সেদিন বিগত দিনের মাসিক ভাড়া বাদ দিয়ে বাকি টাকা প্রদান করে জমিটি ফেরত নিয়ে নেবে। কথার কথা যদি ৫ মাস পর ফেরত নিতে চায়, তাহলে ৫ মাসের ভাড়া ২৫০ টাকা রেখে বাকি এক লাখ নিরান্নব্বই হাজার সাতশত পঞ্চাশ টাকা প্রদান করে আব্দুল্লাহ সাহেব তার জমিটি ফেরত নিয়ে নিবেন। {জাদীদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/১৪৭-১৪৮, মালে হারাম আওর উসকে মাসারেফ ওয়া আহকাম-৮৫}

وَأَمَّا زَكَاةُ الْأُجْرَةِ الْمُعَجَّلَةِ عَنْ سِنِينَ فِي الْإِجَارَةِ الطَّوِيلَةِ الَّتِي يَفْعَلُهَا بَعْضُ النَّاسِ عُقُودًا وَيَشْتَرِطُونَ الْخِيَارَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي رَأْسِ كُلِّ شَهْرٍ فَتَجِبُ عَلَى الْآجِرِ لِأَنَّهُ مَلَكَهَا بِالْقَبْضِ وَعِنْدَ الِانْفِسَاخِ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ رَدُّ عَيْنِ الْمَقْبُوضِ بَلْ قَدْرُهُ فَكَانَ كَدَيْنٍ لَحِقَهُ بَعْدَ الْحَوْلِ
(সূত্রঃফতহূল কদ্বীর,কিতাবুয যাকাত ২/১৭৪)

**২য় সূরত**

দু’টি চুক্তি সম্পাদন করবে। প্রথমে ক্রয় বিক্রয় চুক্তি। তারপর আলাদা আরেকটি চুক্তি নামায় যেদিন টাকা পরিশোধ করতে পারবে সেদিন জমিটি প্রথম জমির মালিক ক্রয় নিয়ে নিয়ে যাবে আর বর্তমান মালিক তা বিক্রি করে দিবে মর্মে চুক্তি সম্পাদিত করবে।

যেমন-

আব্দুল্লাহ এর জমি আছে। কিন্তু টাকা নেই। তার টাকা প্রয়োজন। আর আব্দুর রহমানের টাকা আছে। কিন্তু জমি নেই। তার জমি প্রয়োজন। আব্দুল্লাহ তার জমিটি আব্দুর রহমানের কাছে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিতে চাচ্ছে। আর আব্দুর রহমান টাকা প্রদান করে জমিটির ফসল নিতে চাচ্ছে।

এমতাবস্থায় আব্দুল্লাহ তার জমিটি ৫ লাখ টাকায় আব্দুর রহমানের কাছে বিক্রি করে টাকা গ্রহণ করে নিবে। এভাবে আব্দুল্লাহ টাকার মালিক ও আব্দুর রহমান জমিটির ভোগ দখলের মালিক হয়ে যাবে।

তারপর ভিন্ন আরেকটি চুক্তি সম্পাদন করবে। যাতে লিখবে যে, যেদিন আব্দুল্লাহ ৫ লাখ টাকা দিতে পারবে, সেদিন আব্দুর রহমান জমিটি আব্দুল্লাহের কাছে ৫ লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি করে দিবে।

এভাবে ভিন্ন দু’টি চুক্তি সম্পাদিত করলে টাকা খরচ করা এবং জমিটি ভোগ দখলের মাঝে অবৈধতার কোন কিছুই বাকি থাকবে না।

لو ذكرا البيع بلا شرط ثم ذكرا الشرط على وجه العقد جاز البيع ولزم الوفاء بالوعد، إذ المواعيد قد تكون لازمة فيجعل لازما لحاجة الناس تبايعا بلا ذكر شرط الوفاء ثم شرطاه يكون بيع الوفاء؛
(সূত্রঃবাহরুর রায়েক্ব ,কিতাবুল বুয়ু'-বাবু খিয়ারিশ শরত ৬/৮;রদ্দুল মুহতার,কিতাবুল বুয়ু' ৭/২৮১)

এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত দেখুন-
(মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮/২৪৪-২৪৫; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ৩/১৪৯; রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২; বাদায়েউস সানায়ে ৫/২১২; শরহুল মাজাল্লা, খালেদ আতাসী ৩/১৯৬-১৯৭; ইলাউস সুনান ১৮/৬৪; ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)

আল্লাহু আ'লামু বিস সাওয়াব।
#সংগৃহীত

বিকল্প জানা থাকলে জানাবেন।ধন্যবাদ।

Post a Comment

0 Comments