সর্বশেষ

2/recent/ticker-posts

#নারীদের_পর্দা_নিয়ে_বিজ্ঞান_কি_বলে?

#নারীদের_পর্দা_নিয়ে_বিজ্ঞান_কি_বলে?
ইসলামী বিশ্বাসের মূল উৎস হচ্ছে, আল-কোরাআন। মুসলিমররা বিশ্বাস করে যে,এটা আল্লাহ পক্ষ থেকে এসেছে এবংএটি গোটা মানব জাতির জন্য হেদায়েত। কোরআন মাজীদ যেহেতু এ যুগের সকল মানুষের জন্য,তাই তা সকলের জন্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ। মানব কল্যাণের জন্যেই সৃষ্টি কর্তা ইসলামকে মানুষের জীবনবিধান হিসেবে পাঠিয়েছেন কিসের মধ্যে তাদের কল্যাণ আর কিসে তাদের অকল্যাণ নিহিত জানোনোর জন্য। আমরা যখন ইসলাম নিয়ে আলোচনা করি, তখন নাস্তিক এবং অমুসলিমদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, নারীদের পর্দা নিয়ে, নারীকে নাকি ইসলাম করেছে বন্দি,করেছে নাকি স্বাধীনতা হরণ,আবার অনেক পণ্ডিত লেখেছেন,করেছে বস্তা বন্দি। কিন্তু আসলেই কি তাই? তাহলে জানা যাক ইসলাম কেনো নারীকে পর্দার আদেশ দিলেন।
অসংখ্য কারন আছে আজ শুধুমাত্র একটি বৈজ্ঞাোনিক গবেষণা_ নিয়ে আলোচনা করবো।
তার পূর্বে কিছু কথা,,,
পুরুষ_আকৃষ্ট_কিসে? মহাল আল্লাহ নারীদেরকে এমন ভাবে সৃষ্টি করেছেন এরা পুরুষের জন্য প্রচন্ড দুর্বল আবার পুরুষকে এমনভাবে তৈরী করেছেন যেখানে নারীরা দুর্বল। বিপরীত লিংঙ্গের প্রতি টান থাকবে এটাই সাভাবিক, যদি বিপরীত লিংঙ্গের প্রতি কেউ আকৃষ্ট না হয় তাহলে বুঝতে হবে তার শারীরিক কোনো সমস্যা আছে, তার বিয়ে করার মতো ক্ষমতা নেই। যেকনো পুরুষ নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকে, সুন্দর অসুন্দর বলে কোনো বিভেদ নেই,তবে সুন্দর মাত্রই একটা আকর্ষণ আছে। প্রতিটা পুরুষেরই প্রয়োজন পড়ে একজন নারীর। সমাজে প্রত্যেক পুরুষ প্রচন্ড ভাবে চায় একজন নারীকে, আর এই চাওয়া থেকেই এসে যাই তাদের তিব্র পাওয়ার বাসনা। যদি কোনো মেয়ে পুরুষের সামনে এসে পড়ে তাকে যদি ঐ পুরুষটার ভালো লেগে যায় তাহলে সেখান থেকেই ক্রমন্বয়ে সৃষ্টি হয় একান্ত পাওয়ার বাসনা। অনেক সময় অনেক পুরুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, ঐ মেয়েটা কেমন? তার পরিবার ? এসব জানার কোনো মনভাব রাখেনা। ছেলে কিংবা মেয়েটার পরিরার চাইবে কি তাদের মিলিতো হওয়ার বিষয়টি? সব কিছু ভুলে গিয়ে শুধু মেতে উঠে পাওয়ার নেশাতে, আর এই পাওয়া যখন পূর্ণতা আসেনা ঐ পুরুষটার মনের তৃপ্তিও মিটেনা, সমাজের যেসব কুলাজ্ঞার প্রকৃতির ছেলে আছে তারা তাদের ঐ পাওয়ার নেশাটাকে পূর্ণ করতে যেকোনো কুকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে, আর এভাবেই সৃষ্টি হয় ধর্ষন,হ্যাঁ এ ছাড়াও ধর্ষনের কারন আছে তবে আমি এ বিষয়টি কে এগিয়ে রাখছি। আর এই ধর্ষনের মতো বাজে কাজ যেনো সৃষ্টি না হয়,সমাজে । প্রতিটা পরিবার যেনো থাকে সুখ সমৃদ্ধ তাই এই কথা চিন্তা করে ইসলাম আগেই করেছে পুরুষের জন্য পর্দার ব্যবস্থা তারপরে মেয়েদের। আর যেসব পুরুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে নিজেকে সাভাবিক রাখে তাদেরকে বলা হয় মহাপুরুষ বিপরীতভাবে নারীকে ও দেওয়া হয় মর্যাদার মুকুট।
............ কোনো পুরুষের সামনে উলঙ্গ হয়ে না দাড়ালেতো কেউ আর আকৃষ্ট হলো না অতএব ধর্ষনের মতো জঘন্য কাজও ঘটল না। মেয়েরা_কি_বাজারে _বিজ্ঞাপনের_জন্য? অনেক পুরুষ আছে বিয়ে করে বন্ধু-বান্ধবের কাছে নিজের স্ত্রীর রুপ সৌন্দয্য দেখিয়ে বেড়ায়, আপনার স্ত্রী আপনারই সম্পদ দিয়ে পুতুল সাজিয়ে অন্যকে দেখিয়ে কি লাভ? উত্তরে হয়ত বলবেন,আমার স্ত্রী সুন্দরী অথবা আমার স্ত্রী তাতে আপনার কি?তবে আমি একটি মেয়ে হয়ে যেটি উপলদ্ধি করি সেটি হচ্ছে, বঊকে ভাগনবাটোয়ারা না করে রানীর মর্যাদা দিন যেটির কথা কোরআন মাজীদ বলেছেন।আপনার মনের মধ্য এমন হওয়া উচিত যে আমার স্ত্রী সর্বাবস্থায় আমারই স্ত্রী। আমার স্ত্রীর সৌন্দয্য উপভোগ ও অবলোকনের পূর্ণ অধিকার একমাত্র আমারই। যে কোন স্ত্রীর রূপ ও ভূষণ-সজ্জার সৌন্দর্য্য দর্শনের একমাত্র হকদার সেই নারীর স্বামী।
এই যদি হয়ে থাকে সর্বজন স্বীকৃত সত্য, তাহলে আমার স্ত্রীর চেহারা দশজনকে আহবান করে দেখাবার কোন প্রয়োজন পড়ে না। পকেটের পয়সা খরচ করে পত্রিকায় এ্যাড ছাপিয়ে পরোহ্মভাবে এ কথা বুঝাবার-ও তো দরকার পড়েনা যে, দেখ দেখ দুনিয়ার মানুষ আমি কি একখানা নারী পেয়েছি।
পর্দা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল কারীমে,আল্লাহ তায়ালা বলেন,
সুরা আন-নুর
আয়াত (৩০,৩১)
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ
وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
এছাড়াও,
یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ قُلۡ لِّاَزۡوَاجِکَ وَ بَنٰتِکَ وَ نِسَآءِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ یُدۡنِیۡنَ عَلَیۡہِنَّ مِنۡ جَلَابِیۡبِہِنَّ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَنۡ یُّعۡرَفۡنَ فَلَا یُؤۡذَیۡنَ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۵۹﴾
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুকুল লিআঝওয়া-জিকা ওয়া বানা-তিকা ওয়ানিছাইল মু’মিনীনা ইউদনীনা ‘আলাইহিন্না মিন জালাবীবিহিন্না যা-লিকা আদনাআইঁ ইউ‘রাফনা ফালাইউ’যাইনা ওয়া কা-নাল্লা-হু গাফূরার রাহীমা-।
হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবে*র কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। * জিলবাব হচ্ছে এমন পোশাক যা পুরো শরীরকে আচ্ছাদিত করে।
O Prophet! Tell your wives and your daughters and the women of the believers to draw their cloaks (veils) all over their bodies (i.e. screen themselves completely except the eyes or one eye to see the way). That will be better, that they should be known (as free respectable women) so as not to be annoyed. And Allah is Ever OftForgiving, Most Merciful.
(আহযাবঃ৫৯)
আরো অসংখ্যা রেফারেন্স দিতে পারবো তবে সেটি আজ আমার আলোচ্যে বিষয় না হওয়ায় খুব বেশি অগ্রসর হলাম না।
হাদিস থেকে রেফারেন্স নেওয়া যাকঃ-
হজরত আবূ উযাইনা ছাদফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «خَيْرُ نِسَائِكُمُ الْوَدُودُ الْوَلُودُ الْمُوَاتِيَةُ الْمُوَاسِيَةُ، إِذَا اتَّقَيْنَ اللهَ، وَشَرُّ نِسَائِكُمُ الْمُتَبَرِّجَاتُ الْمُتَخَيِلَّاتُ وَهُنَّ الْمُنَافِقَاتُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْهُنَّ، إِلَّا مِثْلُ الْغُرَابِ الْأَعْصَمِ» ‘তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে তারাই সর্বোত্তম যারা আল্লাহকে ভয় করার পাশাপাশি স্বামীকে ভক্তি করে, অধিক সন্তান জন্ম দেয় এবং (স্বামীর দুঃখে তার প্রতি) সমব্যথী ও সহানুভূতিশীল হয়। পক্ষান্তরে তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে মন্দ তারাই, যারা বেপর্দা হয়ে দম্ভ ভরে চলে। এরাই হলো মুনাফিক। এরা জান্নাতে প্রবেশ করবে কেবল লাল ঠোঁট ও পা বিশিষ্ট কাকদের মতো। (অর্থাৎ এমন বৈশিষ্ট্যের কাক যেমন সংখ্যায় অনেক কম তেমনি তারা কম সংখ্যক জান্নাতে প্রবেশ করবে।) [বাইহাকি : ১৩৪৭৮]
হজরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا، قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ، رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ، لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ، وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا» ‘জাহান্নামবাসী দুটি দল রয়েছে। যাদেরকে আমি এখনো দেখিনি। একদল এমন লোক যাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দিয়ে তারা লোকদেরকে প্রহার করবে। আর অন্য দল এমন নারী যারা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকে। তারা অন্যদের তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে নিজেরাও অন্যদের প্রতি ঝুঁকবে। তাদের মস্তক উটের পিঠের কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ এর ঘ্রাণ এত এত দূর থেকেও পাওয়া যায়।’ [মুসলিম : ২১২৮]
হাদিসে উল্লেখিত ‘পোশাক পরেও উলঙ্গ’–এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এমন সংক্ষিপ্ত পোশাক যা নারীর আবরণীয় অংশ ঢাকতে যথেষ্ট নয়। এমন পাতলা পোশাক যা ভেদ করে সহজেই নারীর ত্বক দেখা যায়। এমনকি টাইট কাপড় যা ভেদ করে ত্বক দেখা যায় না বটে তবে তা নারীর আকর্ষণীয় অবয়বকে পরিস্ফূট করে দেয়। এসব পোশাক নারীরা কেবল তার সামনেই পরতে পারেন যার সামনে নিজের গোপন সৌন্দর্য তুলে ধরার অনুমতি রয়েছে। বলাবাহুল্য তিনি হলেন একমাত্র স্বামী। কেননা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো পর্দা নেই।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِفُرُوجِهِمۡ حَٰفِظُونَ ٥ إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ فَإِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُومِينَ ٦ فَمَنِ ٱبۡتَغَىٰ وَرَآءَ ذَٰلِكَ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡعَادُونَ ٧ #المؤمنون: ٥، ٧ ‘আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাজতকারী। তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না। অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’ {সূরা আল-মু’মিনূন, আয়াত : ৫-৭}
উল্লেখিত শব্দের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইবনু তাইমিয়া (রহ.) বলেন, অর্থাৎ এমন পোশাক পরিধান করে যা তাকে পুরোপুরি আবৃত করে না। ফলে কাপড় পরলেও মূলত সে উলঙ্গই থেকে যায়। যেমন ওই নারী যে কি-না এমন পাতলা কাপড় পরে যা তার কোমল ত্বক দৃশ্যমান করে কিংবা এমন আঁটশাট বস্ত্র গায়ে জড়ায় যা তার শরীরের বাহু, নিতম্ব প্রভৃতির ভাঁজগুলোকে পরিষ্কার ফুটিয়ে তোলে। নারীর পোশাক সেটিই যা তার আপাদমস্তক ঢেকে ফেলে। দেহের কোনো অংশই প্রকাশ করে না। পুরু ও প্রশস্ত হওয়ায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকারও সুদৃশ্য করে না। [মাজুমূ ফাতাওয়া : ২২/১৪৬]
উল্লেখিত আলোচনায় একটি বিষয় স্পষ্ট, বর্তমানে অসংখ্য নারী এমন আছে, যারা পর্দার নামে বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরিধান করে থাকে, বাস্তবে তা পর্দা নয়। বর্তমান বাজারে পর্দার নামে এমন সব কাপড়-চোপড় পাওয়া যায়, যা প্রাথমিক অবস্থায় বিরোধিতা করা হয়েছিল। অথচ এ গুলো নারীদের সৌন্দর্য প্রদর্শন ও আকর্ষণ তৈরি করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এবার আসা যাক,,,
বিজ্ঞান_কি বলে_পর্দা_নিয়ে? আসুন জেনে নেওয়া যাক, ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের ওয়েব সাইট থেকে দারুন একটা তথ্য মিলেছে, গত কিছু দিন থেকে ইউকে তে ওয়েদার(আবহাওয়া) অসম্ভব রকমের রৌদ্রজ্জল। বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ চলছে। ওয়েদার ভালো না বলে বেশিরভাগ এরা বাগানে সময় কাটায়। সান বার্ন এর প্রটেকশন হিসেবে তাদের জন্য নিভিয়া সানস্ক্রীন কেনা হয়েছে। বোতলের ছিপির উপর বড় বড় করে লেখা - Cancer research UK Recommends covering up ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’ কাভার করা কিংবা ঢেকে রাখা কে কেন রেকমেন্ড করছে সেটা জানার জন্য তাদের ওয়েব সাইটের শরনাপন্ন হলে দেখা যায় যে,
“ Covering up: Along with shade, another way to protect your skin from the sun is with clothing, a wide-brimmed hat and good quality sunglasses. Clothes The more skin that’s covered by your clothing, the better the protection you’re getting. Choose clothing that’s loose-fitting and deeper in colour. Also look for materials with a close weave- as a guide hold the material up to check you can’t see through the fabric. Clothing that’s dry also provides more protection than if it’s wet. This is particularly the case for cotton clothes.
“ এটা বাংলা অনুবাদ করে যা বুঝ যাই তা থেকে বেশ কয়েকটা পয়েন্ট উঠে এসেছে ।
ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের মতে -
১. সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি যে স্কিন ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরী করে এ থেকে বাঁচার জন্য শরীর যতটা সম্ভব বেশি ঢেকে রাখা উচিত । কারন তারা দাবী করছে, চামড়া যত বেশি ঢাকবে তত বেশি প্রটেকশন নিশ্চিত হবে ।
২. তারা আরও রেকমেন্ড করছে, এমন ধরনের কাপড় বাছাই করার জন্য যা ঢিলেঢালা এবং গাড় রঙ্গের ।
৩. কাপড়ে সুতার বুনন এই পরিমান ঘন হওয়া উচিত যেন কাপড় উঁচু করে ধরে একপাশ থেকে তাকালে অপর পাশে কিছুই দেখা যায়না । অর্থাৎ মোটা কাপড় পরা উচিত যার ভেতর দিয়ে চামড়া দেখা না যায় ।
৪. শুকনো কাপড় থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা কম হয় ।সুতি কাপড় ঘেমে গেলে ভিজে বেশি যা আরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় । সে ক্ষেত্রে সুতি কাপড় না পরাই উত্তম বলে তারা মনে করে । অর্থাৎ সান বার্ন থেকে বাঁচার জন্য কাপড় কতটুকু পরা এবং তা কিধরনের হওয়া উচিত সমেত যে তথ্যগুলো (তাদের রিসার্চ মতে) উপরে পাওয়া গেছে তা কেবল একটি মাত্র পোশাকের ক্রাইটেরিয়াগুলোর সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে - তা হলো বোরকা কিংবা আবায়া !!! এছাড়াও মাথায় হ্যাট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার অংশটুকু পড়ে এতটুকু থেকে স্পষ্ট হলো যে মাথা-মুখ-দু’কান-ঘাড়ের পিছনের অংশ এগুলো ঢেকে রাখাও কতটা জরুরি । অথচ সাড়ে চৌদ্দোশো বছর আগে থেকেই পর্দার ব্যাপারে ইসলাম শিক্ষা দিয়ে আসছে। আমাদের সকলের মনে রাখা উচিৎ শীত কিংবা গ্রীষ্ম সকল সময় পর্দা পালন করা আবশ্যক।
কেও যদি শুয়ে থাকাকে ব্যক্তি স্বাধীনতা মনে করে তাহলে তার নিকট প্রশ্ন:- ১) এখন কি "ক্যান্সার রিসার্চ UK" এই গবেষণাটি নারী পুরুষের অধিকার কে ক্ষুণ্ণ করেনি?
২)আপনাদের কথিত প্রকৃতি কেন মানুষের খোলা পোশাকে ক্যান্সার সৃষ্টির ব্যবস্থা রেখেছে? ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মনে করেন কি?
https://www.zrbd24.com/2019/09/blog-post_4.html?m=1
লেখক,হুমায়রাতুল ফারিহা
রাজশাহী