#পর্দা
#Campúsian
#Qn:
কোরআনের এই দুটো আয়াতের সাথে সম্পর্ক কি,,??
পুরো শরীর ঢাকার ব্যাপারে আল্লাহ কি বলেন,,??
(24:31)
আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
(33:59)
***হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের চাদরের প্রান্ত তাদের ওপর টেনে দেই, এটাই অধিকতর উত্তম পদ্ধতি। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে,এবং উত্যক্ত করা হবেনা,আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল এবং দয়াবান***
#Ans: শুকরিয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি করার জন্য। আমি চেষ্টা করবো দুটি আয়াতের আলোকে মুখ ঢাকার গুরুত্ব যথাযথ উপস্থাপন করার।
আসুন আগে আমরা নূরের ৩১ নাম্বার এর সারমর্ম টা দেখি।
ভাই প্রথমত বলি সূরা নূরের আয়াতে আমাদেরকে কিছু বিষয়ের ওপর আমল করতে বলা হয়েছে।
যেগুলা সুস্পষ্ট পর্দার দিকে ইংগিত করে।
সেগুলা ধারাবাহিক তুলে ধরলাম।
নারীরা পুরুষের দিকে তাকাবেনা,দৃষ্টি সংযত রাখা,
সাজসজ্জা প্রকাশ না করা,
ওড়নার আচঁল বুকের ওপর টেনে দেওয়া,
১৪ জন পুরুষ ব্যাতিত কারো সামনে সাজসজ্জা প্রকাশ না করা।
কথা হচ্ছে অনেকের প্রশ্ন এই আয়াতে কি মুখমণ্ডল ঢেকে পর্দা করার নির্দেষ দিয়েছে??
এখানে তো সুস্পষ্ট করে মুখমন্ডল ঢাকার নির্দেষ নেই।
কথা হচ্ছে ভাই কুরআনের আয়াত গুলায় এমন যেখানে কিছু উপমা থাকে,কিছু বিষয় এমন ভাবে অর্থ করে যার প্রকৃত ব্যাখ্যাটা বুঝতে একটু কষ্ট হয়।তাই প্রকৃত ব্যাখ্যা বুঝার জন্য আমাদেরকে একটু ঘাটাঘাটি করতে হবে।যেহেতু আমরা আরবি ভাষা বুঝিনা, আর আরবি ব্যাকরণও জানিনা।
তাহলে আসুন দেখা যাক এই আয়াত আমাদের মুখ ঢাকার নির্দেষ দিচ্ছে কিনা??
প্রথমেই বলেছি আয়াতটাতে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় আমল করতে বলা হয়ছে।
তার মধ্যে একটা কথা ছিলো সাজসজ্জা প্রকাশ না করা,যা নিজে নিজে প্রকাশিত হয়ে যায় তা ছাড়া।
মূল পয়েন্টে টাই এটা যা নিয়ে আলোচনা করবো। ভাই এখানে বলেছে যা প্রকাশিত হয়ে যায় তা ছাড়া।
প্রকাশ হয়ে যাওয়া আর প্রকাশ করা কি এক??
হয়ে যাওয়া মানে অনিচ্ছাকৃত হয়ে যাওয়া,
প্রকাশ করা মানে ইচ্ছাকৃত করা।
এখন আসুন দেখি মুখ কি অনিচ্ছাকৃত প্রকাশ হয়ে যায়??নাকি আমরা প্রকাশ করি?
উত্তর কি হবে? আমরা ইচ্ছাকৃত প্রকাশ করি
কিন্তু আমরা চাইলেই মুখ ঢাকতে পারি।
কথা হচ্ছে আয়াতে সকল তাফসীরকারক প্রকাশিত হওয়াকেই ব্যবহার করেছেন অর্থ হিসেবে।
আপনা আপনি প্রকাশ হওয়াটা এটাই বুঝাচ্ছে যে, অনিচ্ছাকৃত হাতের কবজির উপরে কাপড় টা উঠে গেলো, কিংবা হিজাবের কিছু অংশ কাঙ্ক্ষিত স্থান থেকে সরে গেলো।
এগুলা অনিচ্ছাকৃত প্রকাশিত হয়ে যাওয়া।
এখন আপনিই বলুন কোনটা গ্রহণ করবেন???
এখন আসুন দেখি আহযাবের ৫৯ আয়াতে কি নির্দেষ দিচ্ছেন আল্লাহ।
এই আয়াতের ব্যাখ্যা বুঝতে হলে একটু আরবি দুইটা মিনিং জানতে হবে।
এখানে জিলবাব অর্থ-বড় চাদর
ইদন অর্থ- নিকটবর্তী করা,ঢেকে দেওয়া।এর সাথে ''আলা'' অব্যয়(preposition) বসে তখন তার মধ্যে ইরখা অর্থাৎ ওপর থেকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অর্থ সৃষ্টি হয়।
বর্তমান যুগের কোন কোন অনুবাদক ও তাফসীরকারক পাশ্চাত্য ভাবধারায় প্রভাবিত হয়ে এ শব্দের অনুবাদ করেন শুধুমাত্র ""জড়িয়ে নেয়া"" যাতে চেহারা ঢেকে রাখা হুকুমের বাহিরে চলে যায়।
কিন্তু যে আরবি ভাষা জানেন তিনি কখনো একথা মেনে নিতে পারেন না যে, এই আয়াতের মানে কেবলমাত্র জড়িয়ে নেয়া হতে পারে।
এ কথা সুস্পষ্ট যে, এখানে ""মিন"" শব্দটি কিছু অর্থে ব্যবহুত হয়েছে।আর এটাও সুস্পষ্ট যে চাদর জড়াতে হলে পুরো চাদর জড়াতে হবে।
তাই আয়াতের সুস্পষ্ট অর্থ হচ্ছে নারীরা যেন নিজেদের চাদর ভালভাবে জড়িয়ে ঢেকে নিয়ে একটি অংশ নিজেদের ওপর লটকিয়ে দেই যাকে বলে ঘোমটা।
সাহাবা ও তাবেঈদের যুগের পর ইসলামের ইতিহাসে যত বড় বড় মুফাসসির অতিক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা সবাই একযোগে এ আয়াতের এ অর্থই বর্ণনা করেছেন।
**ঈমাম ইবনে জারীর তাবারী বলেন : অর্থাৎ ভদ্র ঘরের মেয়েরা যেন নিজেদের পোশাক আশাকে বাদীদের মতো সেজে ঘর থেকে বের না হয়।তাদের চেহারা ও কেশদাম যেন খোলা না থাকে,এবং তাদের নিজেদের ওপরে চাদরের একটি অংশ লটকিয়ে দেয়া উচিত,ফলে কোন ফাসেক তাদেরকে উত্যক্ত করার দু:সাহস করবেনা।***
(জামেউল বায়ান ২২ খন্ড,৩৩ পৃষ্ঠা)
আল্লামা যামাখশারী বলেন,
অর্থাৎ তারা যেন নিজেদের চাদরের একটি অংশ লটকে নেই এবং তার সাহায্যে নিজেদের চেহারা ও প্রান্তভাগগুলো ভালোভাবে ঢেকে নেই***
(আল কাশশাফ,২ খন্ড ২২ পৃষ্ঠা)
মুহাম্মদ সীরীন রহ: বলেন, আমি উবাদাহ সালমানীকে রহ:-
""তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের ওপর টেনে দেই--- এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার মাথা এবং মুখমণ্ডল ঢেকে ফেলে শুধু বাম চোখ খোলা রেখে দেখিয়ে দিলেন ""
(তাবারী:২০/৩২৫)
একটা ঘটনা বলি...
আমরা জানি বনু মুস্তালিকের যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে আয়েশা রা: কে নিয়ে একটা অপবাদ রটনা হয়েছিল।
এই ঘটনা থেকে মুখ ঢাকার গুরুত্বটা বুঝে নেই।
আয়েশা রা: কে যখন কাফেলা মাঝ পথে ভুল করে রেখে সছিল তখন সাফওয়ান রা: আবার সেই জায়গাতে গিয়ে দেখেন আয়েশা রা: ঘুমিয়ে আছেন। উনাকে দেখে সাহাবি রা: ইন্নালিল্লাহ পড়লেন।সাথেসাথে আয়েশা রা: সজাগ হয়ে মুখ ঢেকে ফেললেন।
কারণ পর্দার বিদান নাযিল হওয়ার আগে সাহাবী রা: আয়েশা রা: কে দেখেছিলেন আর তাই চিনে ফেললেন।
উপরের আয়াতের ব্যাখ্যা আর আয়েশা রা: ঘটনা থেকে মুখ ঢাকার গুরুত্বটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সকল যুগের বড় বড় আলেম উলামারা মুখ ঢাকার গুরুত্ব টা অনেক বেশি উত্তম বলেছেন।
আপনাকে একটা উদাহারণ দেই বাজারে যখন সবজি কিনতে যায় তখন কেমন সবজি আমরা বাঁচায় করি???
নিশ্চয় খুটিয়ে খুটিয়ে ভালটাই বাঁচায় করি??
পর্দার খেত্রেও এমনটাই ধরুন না।
যারা মুখ খুলে পর্দা করে তারা নিজেরাও একটা ফেতনার মধ্যে ডোবে থাকে, সাথে সাথে অসংখ্য পুরুষকেও গুনাহগার করছে।
কারণ মুখ খোলা থাকলে চোখ যাবেই। সেখেত্রে মেয়েটা যদি সুন্দুরী হয় তাহলে তো উপায় নেই।
আহযাবের আয়াতের লাস্টে আল্লাহ বলতেছেন এভাবেই মুমিন নারীদেরকে চেনা সহজ হবে এবং তাদেরকে উত্যক্ত করা হবেনা।
ভাই এখানে আল্লাহ মুমিন নারীদেরকে চেনার সার্টিফিকেট দিয়ে দিছেন এবং ওয়াদা করেছেন কোন ফাসেক ব্যক্তি তাদেরকে উত্যক্ত করবেনা।
#Campúsian
#Qn:
কোরআনের এই দুটো আয়াতের সাথে সম্পর্ক কি,,??
পুরো শরীর ঢাকার ব্যাপারে আল্লাহ কি বলেন,,??
(24:31)
আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
(33:59)
***হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের চাদরের প্রান্ত তাদের ওপর টেনে দেই, এটাই অধিকতর উত্তম পদ্ধতি। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে,এবং উত্যক্ত করা হবেনা,আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল এবং দয়াবান***
#Ans: শুকরিয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি করার জন্য। আমি চেষ্টা করবো দুটি আয়াতের আলোকে মুখ ঢাকার গুরুত্ব যথাযথ উপস্থাপন করার।
আসুন আগে আমরা নূরের ৩১ নাম্বার এর সারমর্ম টা দেখি।
ভাই প্রথমত বলি সূরা নূরের আয়াতে আমাদেরকে কিছু বিষয়ের ওপর আমল করতে বলা হয়েছে।
যেগুলা সুস্পষ্ট পর্দার দিকে ইংগিত করে।
সেগুলা ধারাবাহিক তুলে ধরলাম।
নারীরা পুরুষের দিকে তাকাবেনা,দৃষ্টি সংযত রাখা,
সাজসজ্জা প্রকাশ না করা,
ওড়নার আচঁল বুকের ওপর টেনে দেওয়া,
১৪ জন পুরুষ ব্যাতিত কারো সামনে সাজসজ্জা প্রকাশ না করা।
কথা হচ্ছে অনেকের প্রশ্ন এই আয়াতে কি মুখমণ্ডল ঢেকে পর্দা করার নির্দেষ দিয়েছে??
এখানে তো সুস্পষ্ট করে মুখমন্ডল ঢাকার নির্দেষ নেই।
কথা হচ্ছে ভাই কুরআনের আয়াত গুলায় এমন যেখানে কিছু উপমা থাকে,কিছু বিষয় এমন ভাবে অর্থ করে যার প্রকৃত ব্যাখ্যাটা বুঝতে একটু কষ্ট হয়।তাই প্রকৃত ব্যাখ্যা বুঝার জন্য আমাদেরকে একটু ঘাটাঘাটি করতে হবে।যেহেতু আমরা আরবি ভাষা বুঝিনা, আর আরবি ব্যাকরণও জানিনা।
তাহলে আসুন দেখা যাক এই আয়াত আমাদের মুখ ঢাকার নির্দেষ দিচ্ছে কিনা??
প্রথমেই বলেছি আয়াতটাতে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় আমল করতে বলা হয়ছে।
তার মধ্যে একটা কথা ছিলো সাজসজ্জা প্রকাশ না করা,যা নিজে নিজে প্রকাশিত হয়ে যায় তা ছাড়া।
মূল পয়েন্টে টাই এটা যা নিয়ে আলোচনা করবো। ভাই এখানে বলেছে যা প্রকাশিত হয়ে যায় তা ছাড়া।
প্রকাশ হয়ে যাওয়া আর প্রকাশ করা কি এক??
হয়ে যাওয়া মানে অনিচ্ছাকৃত হয়ে যাওয়া,
প্রকাশ করা মানে ইচ্ছাকৃত করা।
এখন আসুন দেখি মুখ কি অনিচ্ছাকৃত প্রকাশ হয়ে যায়??নাকি আমরা প্রকাশ করি?
উত্তর কি হবে? আমরা ইচ্ছাকৃত প্রকাশ করি
কিন্তু আমরা চাইলেই মুখ ঢাকতে পারি।
কথা হচ্ছে আয়াতে সকল তাফসীরকারক প্রকাশিত হওয়াকেই ব্যবহার করেছেন অর্থ হিসেবে।
আপনা আপনি প্রকাশ হওয়াটা এটাই বুঝাচ্ছে যে, অনিচ্ছাকৃত হাতের কবজির উপরে কাপড় টা উঠে গেলো, কিংবা হিজাবের কিছু অংশ কাঙ্ক্ষিত স্থান থেকে সরে গেলো।
এগুলা অনিচ্ছাকৃত প্রকাশিত হয়ে যাওয়া।
এখন আপনিই বলুন কোনটা গ্রহণ করবেন???
এখন আসুন দেখি আহযাবের ৫৯ আয়াতে কি নির্দেষ দিচ্ছেন আল্লাহ।
এই আয়াতের ব্যাখ্যা বুঝতে হলে একটু আরবি দুইটা মিনিং জানতে হবে।
এখানে জিলবাব অর্থ-বড় চাদর
ইদন অর্থ- নিকটবর্তী করা,ঢেকে দেওয়া।এর সাথে ''আলা'' অব্যয়(preposition) বসে তখন তার মধ্যে ইরখা অর্থাৎ ওপর থেকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অর্থ সৃষ্টি হয়।
বর্তমান যুগের কোন কোন অনুবাদক ও তাফসীরকারক পাশ্চাত্য ভাবধারায় প্রভাবিত হয়ে এ শব্দের অনুবাদ করেন শুধুমাত্র ""জড়িয়ে নেয়া"" যাতে চেহারা ঢেকে রাখা হুকুমের বাহিরে চলে যায়।
কিন্তু যে আরবি ভাষা জানেন তিনি কখনো একথা মেনে নিতে পারেন না যে, এই আয়াতের মানে কেবলমাত্র জড়িয়ে নেয়া হতে পারে।
এ কথা সুস্পষ্ট যে, এখানে ""মিন"" শব্দটি কিছু অর্থে ব্যবহুত হয়েছে।আর এটাও সুস্পষ্ট যে চাদর জড়াতে হলে পুরো চাদর জড়াতে হবে।
তাই আয়াতের সুস্পষ্ট অর্থ হচ্ছে নারীরা যেন নিজেদের চাদর ভালভাবে জড়িয়ে ঢেকে নিয়ে একটি অংশ নিজেদের ওপর লটকিয়ে দেই যাকে বলে ঘোমটা।
সাহাবা ও তাবেঈদের যুগের পর ইসলামের ইতিহাসে যত বড় বড় মুফাসসির অতিক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা সবাই একযোগে এ আয়াতের এ অর্থই বর্ণনা করেছেন।
**ঈমাম ইবনে জারীর তাবারী বলেন : অর্থাৎ ভদ্র ঘরের মেয়েরা যেন নিজেদের পোশাক আশাকে বাদীদের মতো সেজে ঘর থেকে বের না হয়।তাদের চেহারা ও কেশদাম যেন খোলা না থাকে,এবং তাদের নিজেদের ওপরে চাদরের একটি অংশ লটকিয়ে দেয়া উচিত,ফলে কোন ফাসেক তাদেরকে উত্যক্ত করার দু:সাহস করবেনা।***
(জামেউল বায়ান ২২ খন্ড,৩৩ পৃষ্ঠা)
আল্লামা যামাখশারী বলেন,
অর্থাৎ তারা যেন নিজেদের চাদরের একটি অংশ লটকে নেই এবং তার সাহায্যে নিজেদের চেহারা ও প্রান্তভাগগুলো ভালোভাবে ঢেকে নেই***
(আল কাশশাফ,২ খন্ড ২২ পৃষ্ঠা)
মুহাম্মদ সীরীন রহ: বলেন, আমি উবাদাহ সালমানীকে রহ:-
""তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের ওপর টেনে দেই--- এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার মাথা এবং মুখমণ্ডল ঢেকে ফেলে শুধু বাম চোখ খোলা রেখে দেখিয়ে দিলেন ""
(তাবারী:২০/৩২৫)
একটা ঘটনা বলি...
আমরা জানি বনু মুস্তালিকের যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে আয়েশা রা: কে নিয়ে একটা অপবাদ রটনা হয়েছিল।
এই ঘটনা থেকে মুখ ঢাকার গুরুত্বটা বুঝে নেই।
আয়েশা রা: কে যখন কাফেলা মাঝ পথে ভুল করে রেখে সছিল তখন সাফওয়ান রা: আবার সেই জায়গাতে গিয়ে দেখেন আয়েশা রা: ঘুমিয়ে আছেন। উনাকে দেখে সাহাবি রা: ইন্নালিল্লাহ পড়লেন।সাথেসাথে আয়েশা রা: সজাগ হয়ে মুখ ঢেকে ফেললেন।
কারণ পর্দার বিদান নাযিল হওয়ার আগে সাহাবী রা: আয়েশা রা: কে দেখেছিলেন আর তাই চিনে ফেললেন।
উপরের আয়াতের ব্যাখ্যা আর আয়েশা রা: ঘটনা থেকে মুখ ঢাকার গুরুত্বটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সকল যুগের বড় বড় আলেম উলামারা মুখ ঢাকার গুরুত্ব টা অনেক বেশি উত্তম বলেছেন।
আপনাকে একটা উদাহারণ দেই বাজারে যখন সবজি কিনতে যায় তখন কেমন সবজি আমরা বাঁচায় করি???
নিশ্চয় খুটিয়ে খুটিয়ে ভালটাই বাঁচায় করি??
পর্দার খেত্রেও এমনটাই ধরুন না।
যারা মুখ খুলে পর্দা করে তারা নিজেরাও একটা ফেতনার মধ্যে ডোবে থাকে, সাথে সাথে অসংখ্য পুরুষকেও গুনাহগার করছে।
কারণ মুখ খোলা থাকলে চোখ যাবেই। সেখেত্রে মেয়েটা যদি সুন্দুরী হয় তাহলে তো উপায় নেই।
আহযাবের আয়াতের লাস্টে আল্লাহ বলতেছেন এভাবেই মুমিন নারীদেরকে চেনা সহজ হবে এবং তাদেরকে উত্যক্ত করা হবেনা।
ভাই এখানে আল্লাহ মুমিন নারীদেরকে চেনার সার্টিফিকেট দিয়ে দিছেন এবং ওয়াদা করেছেন কোন ফাসেক ব্যক্তি তাদেরকে উত্যক্ত করবেনা।