সর্বশেষ

2/recent/ticker-posts

ইসলাম বনাম আধুনিক বিজ্ঞান,সংঘাত না সমন্ময়? ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। নারী পুরুষের বৈজ্ঞানিক/ইসলামিক ডিফরেন্ট

#Campúsian-10
#আল_ফারিস-৬:
মানবী:ইসলাম বনাম আধুনিক বিজ্ঞান,সংঘাত না সমন্ময়?
ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
নারী পুরুষের বৈজ্ঞানিক/ইসলামিক ডিফরেন্ট
============================
ইসলাম মেয়েদেরকে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার দিতে চায় না। খালি বন্দী করে রাখতে চায়। ইসলামে ছেলেরা বেশি অধিকার পায়, আর নারীরা একবারেই কম পায়।
- আমি যদি বলি ইসলাম সম্পর্কে আপনার ধারণাটা ভুল?
- মানুষ হিসেবে নারী ও পুরুষ সমান, এ কথা ইসলাম কখনো অস্বীকার করে না।
- ইসলাম নারী ও পুরুষকে গড়ে সমান ঘোষণা করেছে; সর্বক্ষেত্রে নয়। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ইসলাম নামায, রোযা, যাকাত ও হজ্জকে ফরয করেছে। আল্লাহ ও তার রাসুলের (ﷺ) আনুগত্যের ব্যাপারে উভয়কেই সমান করা হয়েছে। আমলের ফযীলতের ক্ষেত্রে তাদেরকে সমান ঘোষণা করা হয়েছে। অবাধ্যতার সাজা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও তাদেরকে সমান করা হয়েছে। জ্ঞানার্জনকে উভয়ের উপরে আবশ্যক করা হয়েছে। অনুরূপভাবে নারীরা তাদের ঈমান ও বিশ্বাসের ক্ষেত্রে পুরুষদের মতই স্বাধীন। মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে উভয়কে সমান করা হয়েছে। উভয়ের জন্য আইনী অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েছে।
.
একবার এক লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার বেশী হকদার? তিনি বললেনঃ তোমার মা। লোকটি বললঃ তারপর কে? নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমার মা। সে বললঃ তারপর কে? তিনি বললেনঃ তোমার মা। সে বললঃ তারপর কে? তিনি বললেনঃ তোমার বাবা।
এই হাদীস আমাদেরকে স্পষ্ট করে দিচ্ছে, একজন মা তার সন্তানের কাছে পিতার থেকে এক গুন নয়, দুই গুন নয় বরং তিনগুন বেশি ভাল ব্যবহার পাওয়ার অধিকার রাখে।
আরেক হাদীসে রাসূল (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি দুটি মেয়েকে বালেগ হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করে, কিয়ামতের দিন সে এরূপ অবস্থায় আসবে যে, আমি আর সে এ রকম থাকবো”। (এরপর তিনি নিজের আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে দেখালেন।)
কন্যা সন্তানকে এই হাদীসের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের থেকে বেশি মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
অন্য হাদীসে রাসূল (ﷺ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে সেইসব লোক উত্তম, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম”।
এই হাদীসের মাধ্যমে স্ত্রীদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেননা ইসলামে উত্তম হওয়ার জন্য শুধু আমল নয় বরং স্ত্রীর কাছে উত্তম হওয়াকেও আবশ্যক করা হয়েছে। আর সব থেকে বড় ব্যাপার হল, ইসলামে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন বলে বিবেচিত হওয়ার মাধ্যম লিংগ নয়।
.
কোরআন কারীমের সূরা হুজুরাতের ১৩ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন; যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়াবান”।
ইসলামে মর্যাবান হওয়ার মাধ্যম নারী বা পুরুষ হিসেবে জন্ম নেয়ার মধ্যে নিহিত নয়। বরং তাকওয়ার মধ্যে নিহিত। যার তাকওয়া অধিক সে-ই ইসলামে বেশি সম্মানিত। চাই সে পুরুষ হোক বা নারী। তবে ইসলাম নারী ও পুরুষকে কখনোই সব দিক থেকে সমান বিবেচনা করে নি।
- আচ্ছা ভাই বলেন তো। বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের শারীরিক কাঠামোর মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে?।
- তাদের শরীর নরম, আমাদি শক্ত। তারা দেখতে আমাদের থেকে সুন্দর, আমরা কা ল। তারা বাচ্চার জন্ম দিতে পারে আমরা পারি না।ওদের ঋতুস্রাব অয় আমাদের হয় না। আরও অনেক পার্থক্য আছে।
এগুলো তো নর্মাল পার্থক্য। আভ্যন্তরীণ কি কি পার্থক্য আছে?
.
মস্তিষ্ক হচ্ছে মানবদেহের মূল চালিকাশক্তি। যার দ্বারা পুরো দেহ নিয়ন্ত্রিত হয়। গত ১০ বছরে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানীদের পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, পুরুষ ও মহিলাদের মস্তিষ্কে গঠনগত পার্থক্য আছে। আছে তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির ভিন্নতা। তাই তাদের উপলব্ধি, কল্পনা, স্বভাব ও পারদর্শীতার ক্ষেত্রগুলোও ভিন্ন। শারীরিক কাঠামোর দিক দিয়ে পুরুষরা অধিক শক্তিশালী। শুধু শক্তিশালীই না, তাদের পেশিশক্তিও বেশি। সাধারণভাবে পুরুষদের মস্তিষ্কের ওজন মহিলাদের তুলনায় ১০০ গ্রাম এবং মস্তিষ্কের কোষকলার সংখ্যা ৪% বেশি। মহিলাদের বিপাকীয় পদ্ধতি পুরুষদের তুলনায় শ্লথ। তবে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন মহিলাদের কিছুটা বেশি। মহিলাদের ফুসফুস অপেক্ষাকৃত ছোট। পুরুষের ফুসফুস নারীর তুলনায় বেশি পরিমাণে বাতাস ধারণ করতে সক্ষম। কিন্তু কিডনি, পাকস্থলী, যকৃৎ পুরুষদের তুলনায় বড়। সন্তান জন্মদান, স্তন্যদান ইত্যাদি কারণে হরমোন-সংক্রান্ত কার্যকারিতার ব্যাপকতা মহিলাদের বেশি। ক্রোমোজমাল গাঠনিক বৈশিষ্ট্যগত কারণে মহিলাদের জীবনীশক্তি বেশি এবং সাধারণভাবে তারা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। মহিলাদের মস্তিষ্কের ডান ও বাম অংশের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের কাজে ব্যবহৃত কোষকলার সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি। শরীরবৃত্তীয় কারণেই পুরুষ ও মহিলাদের অনুভূতির ক্ষেত্রেও পার্থক্য বিদ্যমান। পুরুষদের মধ্যকরোটিগত লোব যা গণনা সংক্রান্ত কার্য সম্পাদন করে থাকে, তা অপেক্ষাকৃত বড় হওয়ায় তারা
সাধারণভাবে অংক, জ্যামিতি ইত্যাদিতে পারদর্শী হয়। স্থান সম্পর্কিত ধারণা বেশি থাকায় তারা অনেকটা সহজে মানচিত্রের ভাষা বুঝতে পারে। মহিলাদের ‘লিমবিক সিস্টেম’ বা অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত অংশ গভীর ও বিস্তৃত হওয়ায় তারা আবেগ ও অনুভূতি বিশ্লেষণে, বিস্তৃত মাত্রায় তথ্য সংগ্রহে, তথ্যগুলোর মধ্যে পারম্পরিক সম্পর্ক চিহ্নিত ও যোগাযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে অধিক পারদর্শী। সাধারণভাবে বলা যায়, পুরুষরা পদার্থবিদ্যা এবং গণিতে পারদর্শী; আর মহিলারা ভাষা জ্ঞানে ও আবেগ-অনুভূতি অনুধাবনের ক্ষেত্রে পারদর্শী।
.
শুধু শারীরিক দিক থেকেই নয় বরং মানসিক দিক থেকেও নারীরা পুরুষদের থেকে ভিন্ন।
নারীর আবেগ-উচ্ছ্বাস পুরুষের তুলনায় অধিকতর উথলে ওঠে। নারী পুরুষের তুলনায় দ্রুত অস্থির হয়ে পড়ে অর্থাৎ পছন্দনীয় বিষয়ে ও ভয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত আবেগানুভূতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর তুলনায় অধিকতর ঠান্ডা মেজাজের পরিচয় দেয়। নারী স্বাভাবিকভাবেই সৌন্দর্যচর্চা, অলঙ্কারাদি, সাজগোজ ও বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশন পছন্দ করে। নারীর আবেগ-উচ্ছ্বাস পুরুষের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম স্থায়ী হয়। নারী পুরুষের তুলনায় অধিকতর সতর্ক, অধিকতর ধার্মিক হয়। তারা বেশি কথা বলে। বেশি ভয় পায়। আনুষ্ঠানিকতার অধিকতর পক্ষপাতী।
আরও মজার বিষয় হলো, নারী ও পুরুষের এই পার্থক্যটা তাদের শিশুকাল থেকেই শুরু হয়।
জন্মের সময় থেকেই দুটি লিঙ্গের পার্থক্যগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ছেলে শিশু যখন সম্মুখে ঘূর্ণয়মান কোনো বস্তু দেখেই অনেকটা শান্ত হয়ে থাকে। মেয়ে শিশু তখন অন্য কোনো মানুষের মুখ দেখে খুশি হয়। মেয়ে শিশুদের স্নিগ্ধ কথা বা গান দিয়ে সহজেই ভুলিয়ে ফেলা যায়। ভাষা পুরোপুরি বোঝার আগেই ভাষার অন্তর্নিহিত আবেগ তারা অনুধাবন করতে পারে। মেয়ে শিশুরা ছেলে শিশুদের তুলনায় আগে কথা বলতে শেখে এবং স্কুলে ভর্তির বয়স হওয়ার আগেই অনেকটা স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে। ভাষা জ্ঞান বিশেষ করে ব্যাকরণ, বানান, বাক্যগঠন ইত্যাদিতে তারা বেশি পারদর্শী। গবেষণায় দেখা গেছে নারীরা মানুষের সাথে কাজ করতে বেশি আগ্রহপোষণ করে। আর পুরুষরা যন্ত্রের সাথে কাজ করতে বেশি পছন্দ করে। শুধু তাই নয় নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি আবেগতাড়িত হয়। ঋতুকালীন সময়ে নারীদের স্নায়ুবিক ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পরে। ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। হজম শক্তি কমে যায়। মেজাজ খিটকিটে হয়ে যায়। কাজের একাগ্রতা ও মানসিক শ্রমশক্তি কমে যায়। আর সন্তান প্রসবকালীন সময়ে তারা মানসিক চাঞ্চল্যে ভোগে। তাদের অনুভূতি শক্তি কমে যায়। আর একেবারে শেষ দিকটায় এসে তাদের কর্মক্ষমতা পুরুপুরি কমে যায়।
.
আচ্ছা বলেন ভাই। আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী কি নারী-পুরুষ ভিন্ন নয়?
- উপরের আলোচনা দ্বারা স্বীকার করে নিলেন, নারী ও পুরুষের মধ্যে ভিন্নতা আছে এই টা বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত বিষয়। স্বীকার না কইরা উপায় আছে।
তাহলে এখন বলুন, ইসলাম কীভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে চলতে পারে?
- আধুনিক বিজ্ঞান যেখানে নারী-পুরুষকে সকল ক্ষেত্রে সমান হিসেবে ঘোষণা করে নি, সেখানে ইসলাম কীভাবে নারী-পুরুষকে সকল ক্ষেত্রে সমান হিসেবে বিবেচনা করতে পারে?
বলতে পারেন,বিজ্ঞান তো নারী-পুরুষের দৈহিক পার্থক্যের কথা কইছে। কাজের পার্থক্যের কথা না। ইসলাম তো কাজেরও পার্থক্যের কথা কয়।
- দৈহিক পার্থক্যের দ্বারা কি কর্মের পার্থক্য হয় না?
.
- আচ্ছা ভাই। মনে করুন ভার্সিটির কোন সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের সকল দায়িত্ব আপনার কাঁধে। এখন সে প্রোগ্রামে গান গাওয়ার জন্য আপনি কাকে নির্বাচন করবে? যার গলা সবথেকে কর্কষ নিশ্চয়ই তাকে?
“না। কক্ষনো না।
যে ভাল গান গাইতে পারেতাকে নির্বাচন কর বেন”।
- নাচার জন্য কাকে বেছে নেবেন? যে ভালো কবিতা আবৃতি করতে পারে তাকে?
নিশ্চই যে ভাল নাচ জানে তাকে বাইছা নি ব।
- অভিনয় করতে কাকে নেবেন? যে ভাল কবিতা লিখতে পারে তাকে?
ভাল অভিনেতা বেছে নিবেন
- তাহলে কিছুটা বৈষম্য হয়ে গেল না?
.
-এখানে আপনি সবার যোগ্যতা অনুসারেই লোক বাইচ্ছা নি লেন। যে যে টা ভাল পারে তাকে সেই কাজেই লাগালেন।
-তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন যার যার যোগ্যতা অনুসারে দায়িত্ব প্রদান করাটাই যৌক্তিক?ঠিক তো??
- তাহলে ইসলামও যদি নারী-পুরুষের সহজাত স্বভাব ও সামর্থের কথা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করে, তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়?
.
যদি গ্যারেজে অথবা অট্টালিকা নির্মাণ, ক্রেন চালানো কিংবা রাস্তা-ঘাট নির্মানের ক্ষেত্রে রুলার চালানোর কাজে নারীরা অংশগ্রহণ করে; আর বাচ্চা লালন পালন, কাপড়-চোপড় ধুঁয়া, রান্না-বান্নার কাজে পুরুষরা অংশ নেয় তাহলে কেমন হবে?
নারীকে যদি শক্ত কোন পরিশ্রমের কাজ করতে দেয়া হয় তাহলে তার ফিজিক্যাল প্রবলেম হব।
.
এর ফলে নারীদের দেহের পেশীকলা গুলো পুরুষদের মত শক্ত হয়ে যাবে। তাদের ত্বকের লাবন্যতা, দেহের সৌন্দর্যতা নষ্ট হয়ে যাবে, গর্ভধারণে সমস্যা হবে।
এখন আপত্তি তুলতে পারেন,নারীরা কোন চাকরি-টাকরি করতে পারবে না? কেবল ঘরে বসে থাকবে? আর বাচ্চা পালবে?
এটা না করলো কবে!?
কারণ, কোরআন কারীমের সূরা মুলকের ১৫ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “এতএব তোমরা তার পথেঘাটে বিচরণ কর এবং তার দেয়া রিযিক আহার কর”। এই আয়াত উল্লেখ করে ড. মুহাম্মাদ আল আরিফি বলেছেন, এই আয়াতের মাধ্যমে উভয়কেই জীবিকা অন্বেষণের জন্য চেষ্টা-তদবীর করতে বলা হয়েছে। শুধু ঘরে বসে থাকতে বলা হয় নি। তবে নারীরা সে কাজগুলোই করবে যা তাদের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যশীল।
নারী ও পুরুষের চিন্তন জগত থেকে শুরু করে সবটাই আলাদা?তাই তারা চাইলেই সব কাজ করতে পারেনা
.
এটা মনোবিজ্ঞানীদের কথা।
মার্কিন মনোবিজ্ঞানী প্রফেসর রিক্ নারী পুরুষের পার্থক্য সম্পর্কে বলেন, “নারী ও পুরুষ তাদের লৈঙ্গিক বৈশিষ্ট্যের দাবি অনুযায়ী পৃথকভাবে ক্রিয়া করে এবং ঠিক দু’টি ভিন্ন অক্ষে অবস্থিত দু’টি ভিন্ন নক্ষত্রের ন্যায় পথ চলে। তারা পরস্পরকে বুঝতে পারে এবং পরস্পরের পরিপূরক হতে সক্ষম। কিন্তু তারা কখনো এক বা অভিন্ন হয় না। এ কারণেই নারী ও পুরুষ একত্রে জীবন যাপন করতে পারে, পরস্পরকে ভালবাসতে পারে এবং পরস্পরের চরিত্রবৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী থেকে ক্লান্ত ও অসন্তুষ্ট হয় না”।
উইল ডুর‌্যান্ট তাঁর লেখা “The Pleasures of Philosophy” নামক গ্রন্থে লৈঙ্গিক ও পারিবারিক বিষয়াদি সম্বন্ধে অত্যন্ত ব্যাপক ও পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘নারীর সতীত্ব তার সন্তান জন্মদানের লক্ষ্যের সেবায় নিয়োজিত। কারণ নিজেকে আড়াল বা আবৃত করে রাখার কায়দায় সে যে নিজেকে বিরত রাখে তা তাকে বিপরীত লিঙ্গের সাথী বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে। সতীত্ব নারীকে স্বীয় প্রেমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে অর্থাৎ কাকে সে স্বীয় সমত্মানদের পিতৃত্বের গৌরব প্রদান করবে তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অধিকতর সক্ষম করে তোলে। সমষ্টির ও মানব জাতির স্বার্থ নারীর মুখে কথা বলে, ঠিক যেভাবে ব্যক্তির স্বার্থ পুরুষের কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসে।......... বস্ত্তত প্রেমের খেলায় নারী পুরুষের তুলনায় অধিকতর সুদক্ষ। কারণ, তার আগ্রহ এতটা তীব্র নয় যে, তার বিচারবুদ্ধির চোখকে বন্ধ করে দেবে”।
.
ইসলাম মনে করে নারী-পুরুষ মানবজাতীর-ই দুইটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমাজ কিংবা সভ্যতা বিনির্মানে উভয়ের অংশগ্রহণ দরকার। তাই পুরুষের ন্যায় নারীকেও তার যোগ্যতা অনুসারে যতদূর সম্ভব উন্নত হতে ইসলাম কখনোই বাধা দেয় না। বরং উৎসাহিত করে। পাশাপাশি ইসলাম তাকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার প্রদান করে।
অর্থনৈতিক অধিকার কেবল লোক দেহানো।
- কেন ভাই? কারণ মেয়েদেরকে দেয় পুরুষদের থেকে অর্ধেক। এই টা কি অভিনয় ছাড়া আর কি?
-ইসলাম পুরুষকে পৌত্রিক সম্পত্তিতে নারীর থেকে দ্বিগুণ দিয়েছে। কিন্তু কেন দিয়েছে, তা কি জানেন?
- ইসলাম পুরুষকে যতটা সম্পত্তি না দিয়েছে, তার থেকে বেশি দায়িত্ব দিয়েছে। পুরুষকে তার পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করাকে আবশ্যক করেছে। কিন্তু নারীকে করে নি। একজন নারী যখন কন্যা, তখন তার সমস্ত দায়িত্ব পিতার উপর। একজ নারী যখন স্ত্রী, তখন তার সব দায়িত্ব স্বামীর উপর। একজন নারী যখন মা, তখন তার সব দায়িত্ব পুত্রের উপর।
.
ধরুণ, আপনি আপনার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ তিন লক্ষ টাকা। তো ইসলামী বিধান অনুসারে আপনি পাবেন দুই লক্ষ টাকা, আর আপনার বোন পাবে এক লক্ষ টাকা। পিতার মৃত্যুর পর ইসলাম অনুসারে সংসারের সমস্ত দায়িত্ব আপনার উপর বর্তাবে। আপনার বোনের উপর নয়। পরিবারের সমস্ত খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। আপনার বোনকে নয়। বোনের বিয়েতে আপনাকেই যথাসাধ্য খরচ করতে হবে। মাকে দেখাশুনা করতে হবে। আবার নিজের বিয়ের খরচের কথাটাও মাথায় রাখতে হবে। এখন বলুন, এত দায়িত্ব পালন করার পর আপনার কাছে কত টাকা থাকবে? আর আপনার বোনের কাছে কত থাকবে?
- আপনার কাছে কোন টাকাই থাকবে না? বরঞ্চ চাকরি না থাকলে আরও কয়েক লক্ষ টেহা ধার করতে হবে। আর বোনের কাছে তো সব টাকাই জমা থাকবে।তার তো কোন খরচ নাই।
- আল্টিমেটলি কে লাভবান হচ্ছে?
- আপনার বোন
- তাহলে তো ইসলামের বণ্টনীতি নিয়ে আপনার সমস্যা থাকার কথা নয়?
.
আসল কথা কি জানেন? ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া মিলেই কিন্তু এই বিশাল মহাবিশ্ব গঠিত হয়েছে। আপনি যদি জমিতে লাঙ্গল চালাতে চান , তাহলে অবশ্যই জমিকে লাঙ্গলের চেয়ে নমনীয় হতে হবে। নয়ত ফসল ফলানো অসম্ভব হয়ে পরবে। আবার একেবারে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি রাসায়নিক যৌগও যদি গঠন করতে চান তাহলে সেখানেও কাউকে দাতা হতে হবে। আর কাউকে গ্রহীতা। কেউ ইলেকট্রন দান করে পজেটিভ আয়ন হবে। আর কেউ সে ইলেকট্রন গ্রহণ করে নেগেটিভ আয়ন হবে। তার পর এই দুইটা আয়ন মিলে একটি স্থিতিশীল যৌগ গঠন করবে। ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ছাড়া এ মহাবিশ্ব অচল। তাই কাউকে না কাউকে অবশ্যই ক্রিয়া করার যোগ্যতা থাকতে হবে। আর কাউকে সে ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া সহ্য করতে হবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। কখনো নারী ক্রিয়া করবে, আর পুরুষ সে ক্রিয়া গ্রহণ করবে। আবার কখনো পুরুষ ক্রিয়া করবে, আর নারী সে ক্রিয়া গ্রহণ করবে। এভাবেই মহাবিশ্ব টিকে থাকবে। দুজনকে সব সময় সমান করতে যাওয়াটা বুদ্ধিমানে কাজ নয়। কেননা প্রকৃতিই নারী-পুরুষকে আলাদা আলাদা চিন্তা-চেতনা ও স্বভাব-চরিত্র দান করেছে। আর প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধাচরণ মানে, পৃথিবীকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া।
.
আসলে মহান আল্লাহ আসলেই অনেক সত্য বলেছেন আপনাদেরকে সম্পর্কে “তারা শুধু অনুমানের অনুসরণ করে; সত্যের মোকাবেলায় অনুমানের কোন মূল্য নেই”। (সূরা আন-নাজমঃ ২৮)
.আর কিছুই বলার থাকলোনা।
.
(আলোচ্য লেখাটির সম্পূর্ণ তথ্য Jakaria Masud ভাইয়ের সংবিৎ বই থেকে সংগৃহীত।ওনার দীর্ঘায়ু কামনায়)
লেখাটি পুনঃনিরীক্ষণের জন্যে রিকোয়েস্ট করছি।
Nayan Chowdhury
Shohel Rana
Mohammad Abdul Mabud ভাইকে।শুকরিয়া
_________________________
তথ্যসুত্রঃ
1) আল কোরআনুল কারীম।
2) বুখারী, মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল, আস-সহিহ, অধ্যায়ঃ আচার ব্যবহার অধ্যায়, পরিচ্ছেদঃ (২৪৩৪), উত্তম ব্যবহার পাওয়ার কে বেশী হকদার? , ৯/৫৫৪৬; বুখারী, মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল, আল-আদাবুল মুফরাত, হাদিস নংঃ ৩,৫,৬।
3) নাবাবী, মুহিউদ্দীন ইয়াহহিয়া ইবনু আশরাফ, রিয়াদুস সালিহীন, অনুচ্ছেদঃ ইয়াতীম,কন্যা, ........ বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করা , ১/ ২৭২, হাদিসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন ।
4) নাবাবী, মুহিউদ্দীন ইয়াহহিয়া ইবনু আশরাফ, রিয়াদুস সালিহীন, অনুচ্ছেদঃ নারীদের সাথে ভালো ব্যবহার করা, ১/ ২৮৩, হাদিসটি ইমাম তিরমিযি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ হাদিস হাসান সহীহ, শাইখ আলবানীও সমর্থন করেছেন, আলবানী, মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন, আদাবুয যিফাক, পৃষ্ঠাঃ ১৫৮।
5) ড. মুহাম্মাদ আল আরেফী, ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে, পৃষ্ঠাঃ ৩০; (হুদহুদ পাবলিকেশন, বাংলাবাজার, ঢাকা, নভেম্বর, ২০১৫)
6) William F. Gangong, Medical Physiology (Mc Graw Hil, New York, 21th ed.)
7) CV Rao, a Text Book of Immunology, (Narosa Publishing House, New Delhi, 4th ed.)
8) Ogden et al (2004). Mean Body Weight, Height,and Body Mass Index, United States 1960–2002 Advance Data from Vital and Health Statistics, Number 347, October 27, 2004. http://www.cdc.gov/nchs/data/ad/ad347.pdf, Bren, Linda (July–August 2005).
9) “Does Sex Make a Difference?".FDA Consumer magazine. Archived from the original on March 26, 2009 https://web.archive.org/…/w…/fdac/features/2005/405_sex.html
10) https://en.wikipedia.org/…/Sex_differences_in_human_physiol…
11) https://en.wikipedia.org/wiki/Sex_and_psychology
12) https://en.wikipedia.org/…/Sex_Differences_in_Sensory_Syste…
13) https://en.wikipedia.org/wiki/Body_fat_percentage
14) https://www.psychologytoday.com/…/2012…/the-battle-the-sexes
15) http://findarticles.com/p/ar…/mi_g2699/is_0006/ai_2699000616
16) https://www.reference.com/…/males-physically-stronger-femal…
17) https://www.quora.com/Are-men-generally-physically-stronger…
18) https://www.reddit.com/…/almost_all_men_are_stronger_than_a…, men/ http://www.unz.com/…/men-are-stronger-than-women-on-average/
Image may contain: text that says 'LIVE'