সর্বশেষ

2/recent/ticker-posts

এক হিন্দু ভাইয়ের ফেরার গল্প

এক হিন্দু ভাইয়ের ফেরার গল্প,,

লিখছেনঃ Shahidul Islam Bijoy 

আজ এমন একজন মানুষের কথা লিখবো যিনি, তার নিজের মুখেই আমাকে তার ফেরার গল্প শুনিয়েছেন,আশা করবো উনার গল্পটা আপনাদের সামনে সুন্দর ভাবে উপস্থিত করতে পারবো
সাধারণ এক হিন্দু পরিবারে ছেলেটির জন্ম হয়েছিলো, উনারা ছিলেন দুই ভাই,ছেলেটির নাম উজ্জ্বল দে।ছোট বেলায় উনাদের মা মারা গিয়েছিলেন, পরবর্তীতে বাবা আরেকটা বিয়ে করে, উনাদের জন্য নতুন একজন মা আনার ব্যবস্থা করেন।
ছোট বেলা থেকেই উনি হিন্দুদের আচার আচরণ দেখেই বড়ো হয়েছেন, হিন্দুদের মধ্যে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র,অনেক ধরনের ভেদাভেদ উনার মনে দাগ কাটে সেই ছোট বেলা থেকেই।চিন্তা করতে থাকেন,মানুষের মধ্যে কেনো এতো ভেদাভেদ? নিচু জাত হওয়ার কারনে সমাজ উনাদের স্বাভাবিক চোখে দেখতোনা
মাঝে মাঝে চিন্তা করি, মানুষে মানুষে এতো ভেদাভেদ কেনো? সেই মরলে তো সবাইকে একভাবে যেতে হবে,তাও কিসের এতো অহংকার
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, শুদ্র,বৈশ্য, মানুষের মাঝে এতো ভেদাভেদ কেনো?
ছোট বেলা থেকেই হয়ে এসেছেন নিপীড়িত, উচু জাতের কাছে সব সময়ই নিপীড়িত থাকতে হতো।
 
গল্পে ফেরা যাক-

মা মারা যাওয়ার পর, উনাদের ঘরে আসে নতুন একজন মা। উনাদের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন যাতে ছেলেরা মায়ের অভাব বুঝতে না পারে,কিন্তু নতুন মা কখনোই আপন মা হতে পারেননি,নতুন মা,নতুন মা' থেকে গেলেন।ছোট বেলা থেকেই সৎ মায়ের অত্যাচার সহ্য করেই বড়ো হয়েছেন উজ্জ্বল এবং তার বড়ো ভাই। যার কারনে কেও বেশিদুর পড়ালেখা করতে পারেনি,বড়ো ভাই খুব কষ্টে দর্জির কাজ শিখেছে,আর পড়ালেখা তো অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছিলো।


উজ্জ্বলের খুব ইচ্ছা ছিলো, সে পড়াশোনা করে বড়ো মানুষ হবে,কিন্তু পড়ার সু্যোগ সে পায়নি।তাই তাকেও যেতে হয়েছে জীবিকার খোজে।ছোট বাচ্ছা।কে তাকে কাজ দিবে?আর কি কাজই বা করবে,?এমন অনেক দিন গিয়েছে যে, কয়েকদিন না খেয়ে থাকতে হতো,এক সময় কোন ভাবে গাড়ির ড্রাইভিং শেখার কাজে যোগ দেয়,দিনরাত পরিশ্রম করতে থাকে,শুধু একটু সুখের আসায়।
ধর্মের প্রতি বিশ্বাস টা অনেক আগেই উঠে গিয়েছিলো,যে ধর্ম মানুষকে ভেদাভেদ শেখায় তা কখনও মানবতার ধর্ম হতে পারেনা।

ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও উপস্থিতি ছিলো খুবই কম,কারন সে এইগুলো পছন্দ করতোনা,সে জানতো যে ব্রাহ্মণ দের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তার কিছুই করার নেই,তাই সেখান থেকে দূরেই থাকতো।
মনে মনে এমন এক ধর্মের সন্ধান করছিলো,যে ধর্ম তাকে মানবতার শিক্ষা দিবে,যে ধর্ম তাকে উপযুক্ত মর্যাদা দিবে,যে ধর্মে কোন ভেদাভেদ নেই এমন এক ধর্মের খোজ করছিলো।ড্রাইভিং শেখা অবস্থায়, খুবই হাড়ভাঙা  খাটুনি করতে হতো,রাত দিন এক করে দিয়েছিলো শুধু একটু সুখের আশায়।ড্রাইভিং শেখা অবস্থায় এমন অনেক দিন গিয়েছে কয়েক দিন না খেয়ে থাকতে হতো,কয়েক দিন পর বাড়িতে গেলেও পেতো কোন খাবার,সারাদিন না খেয়ে পরিশ্রম করতে করতে একসময় শরীর ভেঙে পরে,শরীরের শক্তি হারিয়ে ফেলে।

এতোটাই দূর্বল হয়ে পড়েছিলো যে, কলমের ভাষায় যা প্রকাশ অসম্ভব।

এক সময় অনেক কষ্টের ফল স্বরুপ ড্রাইভিং টা শিখে ফেলে।নতুন ড্রাইভিং শিখেছে,অনেক জায়গায় যেতে হতো গাড়ি নিয়ে,সারাদিন পরিশ্রম করে ঘরে ফিরলেও সেখানে পেতো না এক মুহূর্ত শান্তি।
সৎ মা এক প্রকার তার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলো।সারাদিন পরিশ্রম করে,যা আয় হতো সবই দিয়ে দিতো পরিবারে,নিজের জন্য কিছুই রাখতোনা,এমনও অনেক দিন গেছে যখন দৈনিক ১০০০-১৫০০ টাকাও আয় হতো,,কিন্তু নিজের জন্য এক পয়সাও জমাতোনা।
সব টাকাই দিয়ে দিতো পরিবারে,পরিবারও যে তাকে খুব শান্তি দিতো তা কিন্তু না,বাবার এই দিকে তেমন খেয়াল ছিলোনা,বাবা বৃদ্ধ হয়েছেন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত,সংসারে কি হচ্ছে সেটা উনার ধারণা ছিলোনা।
ড্রাইভিং করতে করতে অনেক মুসলিম বন্ধু হয়ে যায় উজ্জ্বলের।অনেকে আমরা মনে করি যারা ড্রাইভিং করি তারা অনেক খারাপ নেশায় জড়িত থাকেন,কিন্তু উজ্জ্বল ভাইয়ের ভাষ্যমতে, উনার বন্ধুরা বা উনি এই দিক থেকে ছিলেন খুবই দূরে, উনার বন্ধুরা উনাকে মাঝে মধ্যে মুসলিম হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতো, কিন্তু মনে থেকে সাহস পেতোনা।

জানা শোনাও তেমন নেই,মনে করতো ধর্ম দিয়েই বা কি হবে?

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা বলে রাখি,
``হিন্দুরা এমন এক জাতি যাদের কোন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নেই,উদ্দেশ্য হীন উদভ্রান্তের মতোই জীবন যাপন করেন।``আমরা মুসলিমরা যেমন, দৈনিক একটা কাজ অবশ্যই করতে হবে,সেটা হলো পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলিমের জন্যই ফরজ।

ইসলাম ধর্মে নিদিষ্ট কিছু নিয়ম আছে,
কিন্তু হিন্দু ধর্মে কোন বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই,যে তোমাকে দিনে অন্তত এই কাজ টা করতে হবে,এই সময় টা তোমার প্রভুকে দিতে হবে এই রকম কোন নিয়ম হিন্দু ধর্মে নেই, যার ইচ্ছা সে একটু করে প্রার্থনা করলো যার ইচ্ছা সে করলোনা।
মুসলিমের উপর রোজা ফরজ,কিন্তু হিন্দুদের উপর একাদশী বা রোজা ফরজ নয়,জন্মাষ্টমী আর রাধাষ্টমী কে একটু গুরুত্ব দিতে দেখা যায়। তাও অনেক এইগুলো মানে না,এক কথায় কোন বাধ্যতামূলক ইবাদত(উপসনা) হিন্দু ধর্মে নেই।যারা হিন্দু তারা হয়তো বুঝতে পারবেন যে, এক প্রকার উদভ্রান্তের মতোই জীবন যাপন করতে হয়,উদ্দেশ্যহীন জীবন।

গল্পে ফেরা যাক-
অন্য দশজনের মতোই চলছিলো উজ্জ্বল ভাইয়ের জীবন,উদ্দেশ্যহীন ভাবে,জীবনে যদি কোন উদ্দেশ্য থাকে তা হলো, বিয়ে করবো সংসার করবো, চাকরি করবো,ব্যস এতটুকুই যথেষ্ট,আর কিছুই প্রয়োজন নেই।কিন্তু এইভাবে কয়দিন আর উদ্দেশ্যহীন থাকা যায়? যদিও উজ্জ্বল ভাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পাননি,তবুও উনার মেধা বা বোঝার ক্ষমতা ছিলো অনেক।চিন্তা করতে লাগলেন, এইভাবে উদভ্রান্তের মতো জীবন যাবে না,জীবনে স্থিরতা আনা খুবই প্রয়োজন।জীবনে সুখ শান্তির খুবই প্রয়োজন,শারীরিক সুখের সাথে মনের সুখও প্রয়োজন,যা এইভাবে উদ্দেশ্যহীন ভাবে চলতে থাকলে কখনই পাওয়া যাবে না।
 
খুজতে লাগলেন কিভাবে সুখ পাওয়া যায়।যে হেদায়েত চায়, আল্লাহ তাকে কোন না কোন ভাবে হেদায়েত দিবেনই,আল্লাহ যাকে চান, তাকেই হেদায়েত দান করেন।
মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন-
إِنَّكَ لَا تَهْدِى مَنْ أَحْبَبْتَ وَلٰكِنَّ اللَّهَ يَهْدِى مَن يَشَآءُ ۚ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ
নিশ্চয় তুমি যাকে ভালবাস তাকে তুমি হিদায়াত দিতে পারবে না; বরং আল্লাহই যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন। আর হিদায়াতপ্রাপ্তদের ব্যাপারে তিনি ভাল জানেন।(সুরা কাসাস আয়াত ৫৬)
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করেন,,যে কোন উপায়েই হোকনা কেনো।
উজ্জ্বল ভাইয়ের দুইজন পিসিতো ভাই (ফুফাতো ভাই) ছিলো,একজন অনেক আগেই মুসলিম হয়ে গিয়েছিলেন,আর একজন, সম্প্রতি কিছু মাস হলো মুসলিম হয়েছেন।এক সময় উজ্জ্বল ভাই তার পিসিতো ভাইদের সাথে দেখা করার জন্য উনাদের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।
খুব কাছ থেকেই উজ্জ্বল ভাই উনার পিসিতো ভাইদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করতেন।উনাদের আচার ব্যবহার উজ্জ্বল ভাইকে খুবই মুগ্ধ করেছিলো।উনাদের চাল-চলন,আচার-ব্যবহার, উনাদের দৈনন্দিন জীবনের সুখ দেখে আশ্চর্য হতেন,বুঝতে পারতেন না উনারা এতো সুখি কেনো?কি জিনিস তাদের জীবনে সুখ এনে দিয়েছে,যে সুখের সন্ধান উজ্জ্বল ভাই দীর্ঘ দিন ধরে করে আসছেন অবশেষে সেই সুখের সন্ধান পেলেন।কিন্তু কিভাবে এই সুখ লাভ করা যায় তা বুঝতে পারছিলেন না।
অবশেষে জানতে পারলেন কি তাদের সুখের ঔষধ!

একমাত্র ইসলামের কারনেই জীবনে এতো সুখ আর শান্তি।
একমাত্র ইসলামই পারে তার জীবনে পূর্ণাঙ্গ সুখ দিতে।

মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন যে এই সুখ লাভ করতে যদি মুসলিম হতে হয় তাহলে তাই হবো।দকিন্তু কিভাবে মুসলিম হবে বুঝে উঠতে পারছিলেন না,উনার বন্ধুদের সাথে আলোচনা করলেন,কেউই তেমন সমাধান দিতে পারলোনা,শকিন্তু আল্লাহ যাকে সাহায্য করেন তাকে আটকানোর সাধ্য কার আছে?কোন এক পরিচিত মুসলিম চাচার মাধ্যমে কোর্টে গিয়ে কালেমা পড়ে মুসলিম হয়ে যায়,ওসরকারি ভাবে তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

কিন্তু ইসলামের স্বাদ তখনও পরিপূর্ণ ভাবে লাভ করেননি।

এরপর আমার শায়েখ,আমার সম্মানিত উস্তাদ,যার নাম এইখানে বলতে চাইনা,উনার সাথে দেখা হয়,যেহেতু আমি আমার উস্তাদের খুবই কাছের ছাত্র, সেই সুবাদে উজ্জ্বল ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয়।আমার উস্তাদের সাথে দেখা হলে, উজ্জ্বল ভাই ইসলাম গ্রহনের আগ্রহ প্রকাশ করেন,আমার শায়েখ উনাকে অনেক নসিহত করলেন,পরে হাতে হাত রেখে কালেমা পড়ালেন, কিভাবে দ্বীনি এলেম শিখা যায় সেই ব্যবস্থা করে দিলেন।

প্রয়োজনীয় এলেম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম এর জন্যই আবশ্যক।
তাই কিভাবে দ্বীনের জরুরি বিষয়গুলো শেখা যায় সে ব্যবস্থা করে দিলেন। এরপরেই উজ্জ্বল ভাইয়ের সাথে দেখা হয়,বাংলাদেশের বর্তমানে তাব্লিগের আমীর সাহেব,মাওলানা জুবায়ের সাহেবে হাফিজাহুল্লাহ এর সাথে।
শায়েখ উনাকে দ্বিতীয় বার কালেমা পড়ালেন,
যখন ভরা এক মজমায় উজ্জ্বল ভাই কালেমা পড়লেন, চারিদিকে এক আবেগ পূর্ণ মুহূর্ত তৈরি হয়েছিলো,চারিদিকে আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত হতে লাগলো,সত্যিই খুবই আত্নস্পর্শকাতর মুহুর্ত ছিলো,অনেকের চোখেই এসেছিলো আনন্দ মাখানো অশ্রু,কেউ কেউ শিক্ত হচ্ছিলেন অশ্রুজলে।সবাই নতুন ইসলামে দীক্ষিত হওয়া নবাগত মুসলিম ভাইকে জানাচ্ছিলো অভিনন্দন,সেই সময়ের আবেগ ভাষায় প্রকাশ করার সামর্থ্য আমার কলমের নেই,কতটুকু আবেগ প্রকাশ হয়েছে জানিনা, গল্পও আর দীর্ঘায়ীত করবোনা,পাঠকের ধৈর্যচ্ছুতি হতে পারে।

উজ্জ্বল ভাইয়ের নতুন নাম রাখা হয়,আব্দুল আজিজ,এই নামের অর্থও খুবই সুন্দর, আল্লাহর প্রিয় বান্দা। সত্যিই তিনি আল্লাহর প্রিয় বান্দা,যার ফল স্বরুপ আজ তিনি মুসলিম।
মুসলিম হওয়ার পর প্রথম যে কাজ, সেটা হলো ফরজ নামাজ আদায় করা, আলহামদুলিল্লাহ এখন আজিজ ভাই নামাজ শিখছেন,যদিও এখনও পরিপূর্ণ শেখা হয়নি,,ইনশাআল্লাহ আস্তে আস্তে সব শিখে ফেলবেন।
``প্রথমদিন যখন জামাতের সাথে ফজরের নামাজ পড়েছিলেন,তার মনে এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব করলেন।``

নামাজ শেষে হাটতে বের হয়েছিলাম উনাকে নিয়ে, পাশেই ছিলো হিন্দু বাড়ি,দেখে দুইজনই ভাবতে লাগলাম,কতই না কষ্টকর জীবন হিন্দু হয়ে বাচা,যখন সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন,আমরা মুসলিমরা আমাদের রবের ডাকে সাড়া দিতে ঘুম ছেড়ে দিয়েছি। দিনের সুচনা করেছি প্রভুর সন্তুষ্টি দিয়ে,যেখানে হিন্দুরা এখনও বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।(এখানে ফজরের সময়ের কথা বলা হয়েছে-সম্পাদক)।

মনের ভেতর থেকে শুনতে পেলাম, আপন প্রভুকে তুমি পেয়ে গেছো, সেই প্রভুকে আর ছেড়ে দিয়োনা।মনের অজান্তেই বললাম,হ্যাঁ, আপন প্রভুকে আমি পেয়ে গেছি, এই প্রভুকে আর ছাড়বোনা।
গল্পটা এখানেই শেষ,সবার কাছে একটাই আবেদন, উনার জন্য যাতে দোয়া করেন,যাতে উনি ঈমানে্র সাথে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারেন।ইসলাম কে ভালোভাবে জানতে পারেন, আর এভাবেই লিখা হয়ে গেলো একজন হিন্দু ভাইয়ের প্রত্যাবর্তন এর গল্প,ফিরে আসার গল্প।

সবশেষে মহান প্রভুর এই আয়াত দিয়ে এই গল্পের শেষ করছি,
فَبِأَىِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?(সুরা আর রাহমান আয়াত ৫৫)

বিঃদ্রঃ নিরাপত্তাজনিত কারনে ছেলেটির ছবি দিতে পারলাম না।