সর্বশেষ

2/recent/ticker-posts

আমি_সৃষ্টিকর্তায়_বিশ্বাসী_ছিলাম_না

#আমি_সৃষ্টিকর্তায়_বিশ্বাসী_ছিলাম_না

                             🖋📚  Saim Shahariar

ছোট বেলা থেকে বই পড়া, গবেষণা করা, ভ্রমণ করা এবং সারাক্ষণ খেলা ধুলা করাই আমার নেশা ছিল। বিজ্ঞানের প্রতি আমার অত্যধিক দূর্বলতা ছিল, আমি সবচেয়ে কঠিন বিষয়কে অনেক সহজে আয়ত্তে আনতে পারতাম। প্লান বা পরিকল্পনা আমার নিত্যদিনের সংগী ছিল।

আমার তেমন বন্ধু বান্ধব ছিল না, আমি একা থাকতে এবং সারাক্ষণ চিন্তা করতে পছন্দ করতাম। কোন মানুষের সাথে কথা বলা বা মেশা আমার তেমন আগ্রহ ছিল না। আমি আমার স্বপ্ন গুলা নিয়ে অনেক ভাবতাম,  এখন ও ভাবি কষ্ট ও হয়, আবার হাসি ও পায়।

কি ছিলাম আর কি হয়ে গেলাম? নিজেকে যেন নিজেই চিন্তে পারি না। অনেকটা ব্লাক বোর্ড আর চকপেন্সিল এর মত, যা এখন হোয়াইট বোর্ড এবং কালো কালির মার্কারে পরিণত হয়ে গেছে।

স্কুল এবং কলেজের সেরা ছাত্রদের মধ্যে আমি একজন। আমি পড়াশুনায় প্রচণ্ড মনোযোগী ছিলাম। আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় হলঃ পড়াশুনা করা, চিন্তা করা এবং প্রশ্ন করা।

আমার সবচেয়ে মজার এবং ভাল লাগার যে গুন ছিল তা হলঃ আমি সৃষ্টিকর্তার দেওয়া নিয়ম, বাবা মা, ভাই,  বোন,  আত্নীয়-স্বজন, সমাজ,  সংষ্কৃতি কোন কিছুই আমি মানতে চাইতাম না। আমি ভাবতাম এগুলা সেকেলে, অজ্ঞ,  জাহেল এবং অশিক্ষিত মানুষেরা না বুঝে এই সব করছে। এরা আসলে জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ ও মুর্খ।

আমি বিবাহ প্রথার চরম বিপক্ষে ছিলাম, আমি মনে করতাম একজন পুরুষ মানুষ সোজা করতে চাইলে বিবাহ দেওয়াই যথেষ্ট। বিবাহ পড়াশুনা এবং গবেষণা ধ্বংসের মূল হাতিয়ার।
আমি সামাজিক কৃষ্টি কালচার এবং উৎসব,  অনুষ্ঠানের চরম বিরোধি ছিলাম।

শুক্রবার নামাজ পড়া, ইদে যাওয়া এসব চরম বিরক্তিকর বিষয় বস্তু ছিল। আমি ভিন্ন চিন্তার মানুষদের বেশি ভালবাসতাম। আমি সব সময়, নতুন কিছু জানার শেখার প্রতি চরম আগ্রহী ছিলাম।

আমার সব বিষয়ের জ্ঞান অর্জনের আগ্রহ ছিল, যাদুবিদ্যা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র শিক্ষা,মনস্তাত্ত্বিক,  অর্থনীতি, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি, পদার্থ, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান, ম্যাথ, ইতিহাস, সাহিত্য, ভাষা গবেষণা, ভুগোল, পৌরনীতি,  ইত্যাদি জ্ঞান অর্জনের । আমি ভালবাসি বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করতে। আমি শিখতে ভালবাসি আলহামদুলিল্লাহ। আর এখন শেখাতেও ভালবাসি।

.
আমার বাবা মার বিয়ের ১০ বছর অতিবাহিত  পর্যন্ত কোন ছেলে মেয়ে হয়নি, তারপর আমার বড় বোনের জন্ম, এর তিন বছর পর আরেক বোনের জন্ম হয়, এর ছয় (০৬) বছর পর জন্ম হয় আমার। আমার নানা নাম রেখেছিলেন শাহারিয়ার। বলাই যায় সোনার চামস মুখে নিয়ে জন্ম গ্রহণ করার মত। আলহামদুলিল্লাহ।

আমার বাবা মা আমাকে প্রচন্ড ভালবাসতেন, আমাকে কখন বকা মারধর করা এগুলা করেন নি। আমার জীবনে আমার বাবা মত কাউকে দেখিনি। এখনো যতদূর লোকজন চিনে সবার কাছে আব্বু, আম্মু অত্যধিক ধৈর্য্যশীল এবং সহনশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।আলহামদুলিল্লাহ।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলঃ
০১).সারাজীবনে আম্মুর কাছে একটা চড়
 খেয়েছি,

০২). আর আম্মুকে আব্বুর উপর দুই বার রাগ করতে দেখেছি এবং একবার কাদতে দেখেছি।

০৩). সব গুলা ভাই বোন কে মেরেছি জীবনে নাউজুবিল্লাহ।  ( লজ্জা পেলাম, এখন আমি নিজেই অবাক হই, সেই আমি এই আমি)

০৪). দাদি এবং নানীর ঝগড়া ছিল সীমের অফারের মত।

০৫). চরম দুষ্টামির জন্য প্রচুর মার খেতাম ছোট চাচার কাছে। আর স্কুলের শিক্ষকদের কাছে মার তো ছিলই। স্যার গুলা অনেক নিষ্টুর ছিল শুধু পিটাত দুষ্টামির জন্য। যদিও পড়াশুনার জন্য খুবই ভাল বাসত সবাই।

স্বপ্ন ছিল সাহিত্যিক হব, আজ একটা কাউন্টার লিখলাম সারা বিশ্ব চ্যালেঞ্জ করে, লিখতে ভাল লাগে না, এক সময় আমার লেখা ছাপাহত একটা ছোট্ট প্রতিষ্ঠান হতে। জীবনের কিছু কথা মনে পড়ে গেল তাই লিখলাম।

আমার লেখা পড়ে সবাই প্রচণ্ড মুগ্ধ হত, ৬০ /৭০ লাইনের কবিতা লিখতাম, উপন্যাস লিখতাম, প্রবন্ধ লিখতাম এবং সমালোচনা মূলক লেখা বেশি পছন্দ ছিল।

সবচেয়ে প্রিয় সাহিত্য ছিল, উইলিয়াম শেক্সপিয়ার,  কাজী নজরুল, প্রমথ চৌধুরী, বংক্রিমচন্দ্র ইত্যাদি।

লেখা চর্চার উপর নির্ভর করে, এখন লেখার হাত ভাল নেই, হঠাৎ মনে পড়ল জীবনের কিছু কথা এবং সাহিত্য চর্চার কথা তাই হূট করে লিখলাম।

আগের মত লেখুনি দক্ষতা নেই, ভাষার চর্চা নেই, ডিকশনারী মুখস্ত করার আগ্রহ নেই। আমার একটা লেখা লিখতে অনেক সময় লাগত, আর এখন তো ধরেই মেরে দেওয়া কাজ মানে বেশি চিন্তা না করেই লিখি।

আসলে মনের মাধুরি মিশিয়ে, শৈল্পিক ছন্দে, নান্দনিক উপস্থাপনায়, ভাষার অলংকার সাজিয়ে পাঠকদের উপহার দেওয়ার মত যোগ্যতা লেখকের নেই।

#Just_Practice :

"তব ভবে এত ভেবে কি হবে বল,
যদি কর লাজ হবে না কোন বিপ্লবি কাজ,
যদি তোমা থাকে কোন স্বপন, হেলায় কাটিও না এ ভূবন

এখন আর সাহিত্য মনে আসে না। লজ্জাই পেলাম, যাইহোক তিন চার মাস প্রাক্টিস করা লাগবে লেখা চালু করতে।
.
আজ এ পর্যন্ত ই লেখা পড়ে আপনার কেমন লাগল, সব এলোমেলো অগোছালো।  আপনার সময় নষ্ট হলে ক্ষমা করবেন। প্রিয় পাঠক বৃন্দ।
গঠনমূলক সমালোচনা আশা করতেই পারি। একজন লেখক থেকে এখন হয়ে গেছি সাধারণ একজন মুসলিম।
.
কোন একদিন জানাব ইসলাম গ্রহনের কারণ ইনশাআল্লাহ।